ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ১৭ জুন ২০২৫, ৩ আষাঢ় ১৪৩২

বাংলাদেশের সীমান্তে ভারতীয় কুকুর অন্তঃসত্ত্বা, কারণ খুঁজছে বিএসএফ

প্রকাশিত: ১৯:৩৪, ৩১ ডিসেম্বর ২০২২

বাংলাদেশের সীমান্তে ভারতীয় কুকুর অন্তঃসত্ত্বা, কারণ খুঁজছে বিএসএফ

বিএসএফের স্নিফার ডগ

মেঘালয়ের বাংলাদেশ সীমান্তে তুমুল হইচই। তোলপাড় পড়ে গিয়েছে গোটা বিএসএফ ছাউনিতে। কারণ, সীমান্তে মোতায়েন বিএসএফের গোয়েন্দা কুকুর ল্যান্সি অন্তঃসত্ত্বা হয়ে জন্ম দিয়েছে তিনটি কুকুরছানার। কিন্তু প্রশ্ন হল, ল্যান্সি অন্তঃসত্ত্বা হল কী করে? কারণ জানতে ‘কোর্ট অব এনকোয়ারি’ বসানো হয়েছে। সেখানেই খুঁজে দেখা হবে এই কাণ্ডের পেছনে কার হাত।

বাংলাদেশ সীমান্তে বিএসএফের ‘বর্ডার আউটপোস্ট’ (বিওপি) তে থাকত ল্যান্সি। বিএসএফ কর্মীদের সঙ্গেই কাজ করে সে। এই রকম উচ্চ নিরাপত্তা সম্পন্ন জায়গায় যে সমস্ত প্রশিক্ষিত গোয়েন্দা কুকুর (স্নিফার ডগ) কাজ করে তাদের প্রজননের সম্পূর্ণ আলাদা ক্যালেন্ডার তৈরি থাকে সংশ্লিষ্ট বিভাগে। কিন্তু ল্যান্সির ক্ষেত্রে সে সব মানার কোনো বালাই নেই! যা বড় ধরনের নিয়মভঙ্গের আওতায় পড়ছে। আর তাই বিষয়টিকে অত্যন্ত গুরুত্ব দিয়ে তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে ‘কোর্ট অব এনকোয়ারি’ তৈরি করে।

সেনা ও পুলিশে যে সমস্ত প্রশিক্ষিত গোয়েন্দা কুকুর থাকে, তাদের প্রত্যেকের সঙ্গে একজন করে ‘হ্যান্ডলার’ থাকেন। হ্যান্ডলারারাই ২৪ ঘণ্টা কুকুরটির দেখভাল করেন। স্নিফার ডগের কাছাকাছি যাতে কোনো রাস্তার কুকুর চলে আসতে না পারে, তাও নিশ্চিত করেন হ্যান্ডলাররাই। ল্যান্সির ক্ষেত্রে তাই তার ‘হ্যান্ডলার’-এর ভূমিকাও খতিয়ে দেখা হবে। কীভাবে সকলের নজর এড়িয়ে এই ঘটনা ঘটল তা অত্যন্ত গুরুত্ব দিয়ে দেখছে বিএসএফ। 

প্রসঙ্গত, বিএসএফসহ অন্যান্য কেন্দ্রীয় বাহিনীতে গোয়েন্দা কুকুরদের প্রশিক্ষণ, প্রজনন, টিকাকরণ, খাদ্য এবং স্বাস্থ্য নিয়ে বিশেষ সাবধানতা অবলম্বন করা হয়। বিএসএফের পশু চিকিৎসা বিভাগের অনুমতি পেলে তবেই কোনো প্রশিক্ষিত কুকুরকে প্রজনন চক্রে যেতে দেওয়া হয়। 

 

এমএইচ

সম্পর্কিত বিষয়:

×