ট্যাক্সি। ফাইল ফটো
ব্যাঙ্কের অ্যাকাউন্টে পড়েছিল ১০৫ টাকা। সেই ট্যাক্সিচালকের অ্যাকাউন্টে ঢুকল ৯ হাজার কোটি টাকা। অবশ্য সেই টাকা ফেরতও নেওয়া হয়। তাকে গাড়ির লোনেরও প্রস্তাবও দেওয়া ব্যাংকের পক্ষ থেকে। এমনই উদ্ভট কাণ্ড ঘটল।
ওই ব্যক্তি ঘুম ভাঙতে ফোনে মেসেজ দেখেন, তা প্রথমে বিশ্বাস করতে পারছিলেন না। তার ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে নাকি ৯ হাজার কোটি টাকা ঢুকেছে। প্রথমে ভেবেছিলেন নিশ্চয়ই কেউ মজা করছে।
অথবা প্রতারকদের ফাঁদ এটা। যদিও কিছুক্ষণ পরে ভুল ভাঙে। দেখেন যে সত্যি-সত্যি তার ব্যাঙ্ক থেকেই সেই টাকা পাঠানো হয়েছে। যদিও ৩০ মিনিট পরই সেই টাকা ফিরিয়ে নেওয়া হয়। ২১ হাজার টাকা বন্ধুকে দিয়ে ফেলেছিলেন, সেটা বাদ দিয়ে বাকি টাকাটা ফিরিয়ে নেয় ব্যাংক কর্তৃপক্ষ।
এমনই ঘটনা ঘটল চেন্নাইয়ের এক ট্যাক্সিচালকের সঙ্গে। তার দাবি, ব্যাংকের এক কর্মকর্তা তার বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়েরের হুমকি দেন। শেষ পর্যন্ত থানা-পুলিশ পর্যন্ত যায়নি। আলোচনার মাধ্যমে দুই পক্ষ বিষয়টি মিটিয়ে নিয়েছেন।
তামিলনাড়ুর ওই ট্যাক্সিচালক রাজকুমার জানিয়েছেন, দিনভর কাজের পর গত ৯ সেপ্টেম্বর দুপুরের দিকে বিশ্রাম নিচ্ছিলেন তিনি। দুপুর তিনটার দিকে তামিলনাডু মার্সেন্টাইল ব্যাঙ্ক থেকে তার ফোনে একটি মেসেজ আসে। মেসেজটা খুলে দেখেন যে ব্যাংকে টাকা জমা পড়েছে। প্রথমে খুব একটা পাত্তা দেননি। নির্ঘাত কেউ মজা করে সেই মেসেজ পাঠিয়েছে বা কোনও প্রতারণার চক্রের কাণ্ড ভেবে বিষয়টি উড়িয়ে দিচ্ছিলেন।
যদিও ৩০ মিনিটের মধ্যেই সেই ব্যালেন্স আবার পুরনো জায়গায় ফিরে আসে। ভুলবশত ব্যাংক যে টাকা দিয়েছিল তা ফিরিয়ে নেয়। পুরোটা অবশ্য ফেরত পায়নি ব্যাংক কর্তৃপক্ষ। ২১ হাজার টাকা নিজের বন্ধুকে পাঠিয়ে দিয়েছিলেন বলে দাবি করেছেন রাজকুমার।
এসআর
