ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

প্রবাসী শিল্পী মাটির গানের সুরে মুগ্ধ শ্রোতা

সংস্কৃতি প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ০১:৩৪, ৩ অক্টোবর ২০২২

প্রবাসী শিল্পী মাটির গানের সুরে মুগ্ধ শ্রোতা

.

এদেশেই জন্ম হয়েছিল তার। পরবর্তীতে পরিস্থিতির কারণে বদলে যায় ঠিকানা। ঢাকার মেয়েটি সাত বছর বয়সে মায়ের সঙ্গে পাড়ি জমায় মার্কিন মুলুকে। বাসমা স্বীয়া নামের সেই বালিকার অনুরাগ ছিল সঙ্গীতের প্রতি। সেই সুবাদে যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্ক শহরের পারফর্মিং আর্ট স্কুলে অডিশনের মাধ্যমে প্রবেশ ঘটে সুরের ভুবনে। শুরু হয় সাধনার ভেতর দিয়ে নিজেকে গড়ে তোলার পালা। সেই স্রোতধারায় আসে সাফল্য। আমেরিকার বেশকিছু সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে পরিবেশনার মাধ্যমে অর্জন করেন পরিচিতি। গায়িকা হয়ে ওঠা সেই মেয়েটি ধারণ করেন ছদ্মনাম মাটি। মিউজিক নিয়ে পড়াশোনা করে বর্তমানে সে একইসঙ্গে নিউইয়র্কের একজন কণ্ঠশিল্পী ও সঙ্গীত শিক্ষক। আমেরিকায় বাস করলেও এই শিল্পীর হৃদয়ের গহীনে রয়েছে বাংলাদেশ। স্বদেশের শেকড় ও সংস্কৃতির প্রতি অনুরাগী এই প্রবাসী শিল্পীর মাধুর্যময় কণ্ঠস্বরটি এবার শুনতে পেল ঢাকার শ্রোতারা। সেই সুবাদে মাটির গানের সুরে সিক্ত হলো রাজধানীর সুররসিকরা। রবিবার সন্ধ্যায় শিল্পকলা একাডেমির জাতীয় চিত্রশালায় অনুষ্ঠিত হলো এই সঙ্গীতাসর। ঘণ্টাব্যাপ্তির সঙ্গীতায়োজনে আবেদনময় কণ্ঠের আশ্রয়ে শ্রোতাকে মাতিয়ে রাখেন মাটি। মুগ্ধতার প্রকাশে ঝরেছে করতালি। গেয়েছেন বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ থেকে মানবতার সাধক ফকির লালন সাঁইয়ের গান। লোকসঙ্গীতের সমান্তরালে বৈচিত্র্য ছড়িয়ে দিয়ে শুনিয়েছেন কয়েকটি ইংরেজী গান। পরিবেশনা পর্বটি আরও আকর্ষণীয় হয়েছে হাওয়া সিনেমার তুমুল জনপ্রিয় ‘সাদা সাদা কালা কালা’ গানের সুরে।

কণ্ঠের খেলায় মাটি গেয়েছেন মায়াবন বিহারিনী শিরোনামের রবীন্দ্রসঙ্গীত। এরপর একইসঙ্গে সুর ও স্বরকে প্রসারিত করে শুনিয়েছেনÑ আমি ওপর হয়ে বসে আছি/ওহে দয়াময়/পাড়ে লয়ে যাও আমায় ...। এ ছাড়াও শুনিয়েছেন সময় গেলে সাধন হবে না, মিলন হবে কত দিনে ও তোমার ঘরে বসত করে কয়জনা শিরোনামের লালনসঙ্গীত। শ্রোতার হৃদয়স্পর্শী পরিবেশনার তালিকায় ছিল ব্যান্ডদল শিরোনামহীনের হাসিমুখ শীর্ষক সঙ্গীত। প্রবাসীর শিল্পী পরিবেশিত ইংরেজি গানগুলোর শিরোনাম ছিলÑ ক্রাউন, হোয়েন ইউ আর ডাউন এবং আওয়ার হোম।
অনুভূতি প্রকাশে শিল্পী মাটি বলেন, সুদূর আমেরিকা থাকলেও এদেশের সংস্কৃতি আমাকে আলোড়িত করে। উজ্জীবিত করে। বাংলার মাটির সঙ্গে মিশে আছে আমার প্রেম। সবুজ প্রকৃতির প্রতি ধাবিত আমার ভালবাসা। কারণ, এসবের মাঝে আমি আমার শেকড়কে খুঁজে পাই। অনুভব করি অস্তিত্বকে।
সঙ্গীতায়োজনটির সহযোগিতায় ছিল আন্তঃনগর ব্যান্ড। ড্রামস বাজিয়েছেন রিভু রোদ্দুর। ব্যাঞ্জো বাজিয়েছেন ধিয়ান গিরি। গিটারে সুর ছড়িয়েছেন রাগিব রোদেল ও তাবিন সিদ্দিকী। অনুষ্ঠান সঞ্চালনায় ছিলেন শফি ইসলাম ঊষা।

 

×