ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৩ মে ২০২৫, ৯ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২

এলপি গ্যাস সম্পর্কে জানুন

যাপিত জীবন প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ২১:২৩, ২৮ আগস্ট ২০২২

এলপি গ্যাস সম্পর্কে জানুন

.

বাসা ভাড়া নেয়ার ক্ষেত্রে সবাই নতুন ঝকঝকে বাসাই পছন্দ করেন। কিন্তু বর্তমানে ভবন বিধিমালা অনুসারে নতুন তৈরি হওয়া বাসাগুলোতে গ্যাসলাইন সংযোগ দেয়া হচ্ছে না। তাই বেছে নিতে হচ্ছে এলপি গ্যাস। তবে পর পর ঘটে যাওয়া কিছু দুর্ঘটনার কারণে অনেকে ভয়ও পাচ্ছেন।

এলপি গ্যাস আসলে কি?

এল পি জি (খচএ) লিকুইফাইড পেট্রোলিয়াম গ্যাস বা লিকুইড পেট্রোলিয়াম গ্যাস (খচএ বা খচ গ্যাস), এই নামে  বেশি পরিচিত সবার কাছে। এলপিজি আসলে একটি তরল পেট্রোলিয়াম গ্যাস। এলপিজিকে ক্লিন বা গ্রীন ফুয়েল বলেও আখ্যায়িত করা হয়। প্রোপেন বিউটেনের সংমিশ্রণে ৎপন্ন গ্যাসটি পেট্রোল অকটেনের বিকল্প হিসেবে বিশ্বব্যাপী ব্যবহৃত। যা রান্নার পাশাপাশি যানবাহনের ¦ালানি হিসেবেও বেশি কার্যকর এবং নিরাপদ।

এলপি গ্যাসের দাম প্রায় প্রতিমাসেই পরিবর্তন হয়। মাসে এলপিজির দাম কিছুটা কমেছিল। জুলাই মাসে প্রতি কেজি এলপিজির দাম ছিল ১০৪ টাকা ৫২ পয়সা, যা আগস্ট মাসের জন্য নির্ধারণ করা হয়েছিল ১০১ টাকা ৬২ পয়সা। কমেছিল প্রায় টাকা। হিসাবে এখন ১২ কেজি সিলিন্ডারের দাম পড়বে হাজার ২১৯ টাকা, যা জুলাই মাসে ছিল হাজার ২৫৪ টাকা। আর জুন মাসে ছিল হাজার ২৪২ টাকা। বাংলাদেশে বাসাবাড়িতে এলপিজি সিলিন্ডারের ব্যবহার অনেক বেড়েছে। সঙ্গে বেড়েছে বিস্ফোরণ অগ্নিকা-ের ঘটনাও। প্রচ- তাপ বা আগুনের সংস্পর্শে রাখলে, কিংবা রেগুলেটরে কোন ত্রুটি থাকলে এই ধরনের দুর্ঘটনা ঘটে। ইদানীং এ্যাপার্টমেন্টগুলোর নিচতলায় সিলিন্ডার রেখে প্রতিটা ফ্লোরে কানেকশন দেয়া হয়। এতে দুর্ঘটনার সম্ভাবনা কম থাকে। এলাকার গ্যাস সিলিন্ডার সাপ্লায়ারকে বললে তারা দ্রুত সিলিন্ডার এনে সুন্দরভাবে লাগিয়ে দিয়ে যায়। কোন সমস্যা হলেও সাপ্লায়ারকে ফোন করলে তারা দ্রুত এসে সমস্যার সমাধান করে দিয়ে যায়। আর বিকল্প একটা সিলিন্ডার না থাকলে হঠা গ্যাস ফুরিয়ে গেলে পড়তে হবে বিপত্তিতে। তাই নির্দিষ্ট একটা সময় পর আরেকটা বাড়তি সিলিন্ডার এনে রাখাই শ্রেয়। এলপিজি কেজি হিসেবে বিভিন্ন সাইজের হয়ে থাকে।

সাড়ে কেজি সিলিন্ডার থেকে ৪৫ কেজি সিলিন্ডার পর্যন্ত বাজারে পাওয়া যায়। প্রয়োজন অনুযায়ী যেকোন সিলিন্ডার বেছে নিতে পারেন। বিস্ফোরণ অধিদফতরের প্রধান পরিদর্শক আবুল কালাম আজাদ বলেন- ‘যেসব বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটছে তার মূলে রয়েছে এই সিলিন্ডারগুলো যথাযথভাবে পরিবহন, মজুদ ব্যবহার না করা। গ্যাসের লিকেজ, হোস পাইপ, রেগুলেটর, গ্যাস ভালভ ইত্যাদিতে দুর্বলতার কারণে যেকোন সময় গ্যাস লিক হতে পারে। সেই লিকেজ থেকে গ্যাস বেরিয়ে জমতে থাকে। সামান্য আগুন এমনকি স্ফুলিঙ্গের সংস্পর্শে আসার সঙ্গে সঙ্গে এই জমে থাকা গ্যাসে ঘটতে পারে ভয়াবহ বিস্ফোরণ সিলিন্ডারে কোনরকম নি¤œমানের যন্ত্রাংশ ব্যবহার না করে সব সময় অনুমোদিত সেরা মানের উপকরণ ব্যবহার করুন। সিলিন্ডার কেনার সময় মেয়াদ দেখে কিনতে হবে। সাধারণত একটি সিলিন্ডার ১০ থেকে ১৫ বছর পর্যন্ত মেয়াদ থাকে। মেয়াদোত্তীর্ণ সিলিন্ডার কোন অবস্থাতেই ব্যবহার করা যাবে না। কোম্পানির সিল, সেফটি ক্যাপ, পাইপ, রাবারের রিং, রেগুলেটর ঠিকভাবে আছে কিনা সেটা পরীক্ষা করে নিতে হবে। সিলিন্ডারটি টানা হেঁচড়া করে, ধাক্কা দিয়ে, মাটিতে গড়ানো যাবে না। তাই দেখেশুনে ভাল সিলিন্ডার কিনে নিরাপদ থাকুন।

 

×