
ছবি: সংগৃহীত
উচ্চ শিক্ষার জন্য বিদেশে পাঠানোর প্রলোভন দেখিয়ে শত শত শিক্ষার্থীর কাছ থেকে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগে গ্রেপ্তার বিএসবি গ্লোবাল নেটওয়ার্কের চেয়ারম্যান খাইরুল বাশারকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ১০ দিনের রিমান্ডে দিয়েছেন আদালত।
সোমবার (১৫ জুলাই) ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের এডিশনাল সিএমএম সানাউল্লাহ রিমান্ডের এই আদেশ দেন। শুনানির সময় রাষ্ট্রপক্ষের আবেদনের পর বিচারক আসামির উদ্দেশ্যে কঠোর মন্তব্য করে বলেন, “আপনি কিভাবে আপনার সন্তানতুল্য এত শিক্ষার্থীকে প্রতারণা করলেন? তারা তো আপনাকে বিশ্বাস করে জীবনের সঞ্চয় আপনাকে দিয়েছে। আপনার তো জীবন জেলেই কেটে যাবে।”
আদালতের জিজ্ঞাসাবাদে খাইরুল বাশার নিজেকে "পরিস্থিতির শিকার" দাবি করে বলেন, “মাননীয় আদালত, আমি পরিস্থিতির শিকার।”
এরপর বিচারক তার ব্যক্তিগত জীবন সম্পর্কে জানতে চাইলে খাইরুল জানান, তার বাড়ি ব্রাহ্মণবাড়িয়ায়, তিনি দুটি বিয়ে করেছেন এবং তাঁর পাঁচ সন্তান রয়েছে।
বিচারক পুনরায় তার উদ্দেশ্যে বলেন, “শত শত শিক্ষার্থীকে বিদেশে পাঠানোর নাম করে প্রতারণা করে টাকা আত্মসাৎ করেছেন। আপনি জানেন আপনার নামে কতগুলো মামলা রয়েছে?”
জবাবে খাইরুল বাশার বলেন, “মাননীয় আদালত, আমার জানামতে ৭০টির মতো মামলা রয়েছে।”
এ বক্তব্যের পর আদালত আবারও বলেন, “আপনার বিরুদ্ধে যত মামলা, যত গ্রেপ্তারি পরোয়ানা – আপনার তো জীবন জেলেই কেটে যাবে।” শুনানির পুরো সময় খাইরুল বাশার মাথা নিচু করে দাঁড়িয়ে ছিলেন। এ সময় বাদীপক্ষের আইনজীবী জামাল হোসেন আদালতের কাছে দাবি করেন, “শত শত শিক্ষার্থীর জীবনকে নরকে পরিণত করেছেন খাইরুল বাশার। তার জন্য ১০ দিনের রিমান্ড অত্যন্ত প্রয়োজন। এ রিমান্ড যেন দৃষ্টান্ত হয়ে থাকে।”
উভয়পক্ষের বক্তব্য শোনার পর আদালত রাগ বা আবেগ নয়, আইন অনুযায়ী খাইরুল বাশারের ১০ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
প্রসঙ্গত, খাইরুল বাশার বিএসবি গ্লোবালের মাধ্যমে দীর্ঘদিন ধরে শিক্ষার্থীদের বিদেশে পাঠানোর নামে প্রতারণা করে আসছিলেন বলে অভিযোগ রয়েছে। এ ঘটনায় বিপুল সংখ্যক শিক্ষার্থী ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন এবং ইতোমধ্যেই তার বিরুদ্ধে একাধিক মামলা দায়ের হয়েছে।
ছামিয়া