ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

সন্ত্রাসবাদের ভয়

প্রকাশিত: ২১:০৮, ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২১

সন্ত্রাসবাদের ভয়

সন্ত্রাসবাদ প্রত্যয়টি একটি চলমান ও প্রতিক্রিয়াশীল বিষয়ের স্বরূপ বিশ্লেষণ করায় এর কোন স্থায়ী বা সুনির্দিষ্ট সীমারেখা নেই। যে কারণে সন্ত্রাসবাদ প্রত্যয়টির আভিধানিক অর্থের সঙ্গে ব্যবহারবিধির কোনরূপ সাদৃশ্য নেই। কেননা বিগত ২০০ বছর ধরে সন্ত্রাসবাদের অর্থ বৈসাদৃশ্য নিয়মে পরিবর্তন হচ্ছে। বিশ্লেষকগণ নানা উপায়ে সন্ত্রাসবাদকে আলোচনায় নিয়ে এসেছেন। তবে উল্লেখ করার মতো বিষয় হলো অন্যান্য অপরাধ থেকে সন্ত্রাসবাদকে সহজেই পার্থক্য করার সহজলভ্য উপায় হচ্ছে সন্ত্রাসবাদের সঙ্গে রাজনৈতিক দুরভিসন্ধি সংযুক্ত থাকে। অর্থাৎ অবৈধ উপায়ে উদ্দেশ্যমূলকভাবে রাজনৈতিক মতাদর্শের বাস্তবায়নই সন্ত্রাসবাদ। সন্ত্রাসবাদ বিষয়ে অভিজ্ঞ তিনজন বিশিষ্ট গবেষক সন্ত্রাসবাদের ১০৯টি সংজ্ঞার সন্ধান প্রদান করেন। সঙ্গত কারণেই বোঝা যাচ্ছে সন্ত্রাসবাদের ব্যাপকতাই সন্ত্রাসবাদ প্রত্যয়টিকে আরও জটিল ও ভয়ঙ্কররূপে আবির্ভূত করেছে। তবে সকলেই একটি সিদ্ধান্তে উপনীত হয়েছেন, সন্ত্রাসবাদ একটি ক্ষতিকর প্রত্যয়। অন্যভাবে বলেছেন, সন্ত্রাসবাদ সাধারণত একটি কৌশল, যার ভিত্তিতে যে কোন পরিস্থিতিতে যে কোন উপায়ে সহিংস আক্রমণ সৃষ্টি করার আবহ তৈরি হয়। তবে সন্ত্রাসবাদ ইস্যুটি পূর্ব পরিকল্পিত, আইনের অপপ্রয়োগের যথেচ্ছ ব্যবহার, বেসামরিক জনগণকে লক্ষ্য করে টার্গেট স্থির করা, রাজনৈতিক পরিবর্তনের উদ্দেশ্য থাকে, যদিও সেখানে জনগণের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির স্পষ্টতা লক্ষণীয়, রাজনৈতিকভাবে সহায়তাপ্রাপ্ত এবং সর্বোপরি একটি বৃহৎ গোষ্ঠীকে প্রতিপক্ষ বানিয়ে অবৈধ উপায়ে কার্যসিদ্ধি করার প্রচেষ্টা। কাজেই বলা যায়, সন্ত্রাসবাদের ঘোর সহজে কাটার নয়। কেননা আপনি কাউকে সন্ত্রাসী বললে অন্যরা তাকে স্বাধীনতা সংগ্রামী হিসেবে স্বীকৃতি দেবে। সুতরাং সন্ত্রাসবাদের ভয়ের ব্যাপকতা ব্যক্তি থেকে গোষ্ঠী, গোষ্ঠী থেকে সমাজ, সমাজ থেকে রাষ্ট্র এবং রাষ্ট্রের সীমারেখা অতিক্রম করে আন্তর্জাতিক পরিসরেও আতঙ্কের সৃষ্টি করে থাকে। করোনাকালীন সন্ত্রাসীদের বেশকিছু কার্যক্রমে প্রমাণিত হয়েছে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীকে টার্গেট করে দল পরিচালনা করা। যার প্রেক্ষিতে পুলিশ ফাঁড়ি, পুলিশ চৌকির সামনে বোমা বিস্ফোরণের ঘটনা পরিলক্ষিত হয়। ঘটনার আলোকে উল্লেখ করা যায়, সন্ত্রাসী সংগঠনগুলো আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর কৌশলী ভূমিকার কারণে মাথাচাড়া দিয়ে উঠতে পারছে না। কাজেই আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীকে কোনভাবে দমিয়ে রাখতে পারলে বা অন্যদিকে দৃষ্টি ফেরাতে পারলেই সন্ত্রাসীদের সন্ত্রাসী কার্যক্রম পরিচালনার পথ সুপ্রশস্ত হয়। আবার আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীও জনসাধারণের জানমালের সুরক্ষার তাগিদে অন্যায়ের বিরুদ্ধে আইনকে সুসংহত করার প্রত্যয় ব্যক্ত করেছে। পরস্পর পরস্পরের প্রতিপক্ষ হিসেবে দাঁড়িয়েছে। একপক্ষ দাঁড়িয়েছে বৈধ উপায়ে রাষ্ট্রকে নিরাপত্তা প্রদানের স্বার্থে, ভিন্নপক্ষ দাঁড়িয়েছে রাষ্ট্রকে ধ্বংস করতে। তথাপি ভয় কিন্তু প্রতিনিয়ত তাদের তাড়িয়ে বেড়ায়। কেননা সন্ত্রাসীদের কোন ধর্ম নেই, নেই কোন বাছ-বিচার এবং এর ফলেই তারা বেশি মারাত্মক ও ধ্বংসাত্মক হয়ে ওঠে। কোন ধরনের নিয়ম-কানুনের তোয়াক্কা না করেই রাষ্ট্রবিরোধী সকল ধরনের জঘন্য ও ঘৃণ্য অপকর্মে সম্পৃক্ত হয়ে বিশ্বের সামনে বাংলাদেশকে প্রশ্নবিদ্ধ করে প্রতিনিয়ত সন্ত্রাসীরা। সেক্ষেত্রে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা যে কোন সময় যে কোন পরিস্থিতিতে যে কোন জায়গায় আক্রান্ত হওয়ার ভয়ে তটস্থ থাকে এবং এর বিরূপ প্রতিক্রিয়া রয়েছে। বিশেষ করে কর্মক্ষেত্রের পাশাপাশি পারিবারিক ও সামাজিক কর্মকা-েও নেতিবাচক প্রভাব পরিলক্ষিত হয়। সন্ত্রাসীদের বৈশ্বিক নেটওয়ার্কের যোগসূত্র সম্বন্ধে মোটামুটিভাবে সকলেই অবগত। সে কারণেই বিশ্বের যে কোন প্রান্তে সন্ত্রাসী হামলার ঘটনা ঘটুক না কেন অন্য শান্তিকামী রাষ্ট্রগুলো হামলার ভয়ে তটস্থ থাকে। এর পেছনের অন্যতম কারণ হচ্ছে সন্ত্রাসীদের নেটওয়ার্কের বিস্তৃতি বিশ্বব্যাপী এবং সাম্রাজ্যবাদে বিশ্বাসী কতিপয় শাসক রাষ্ট্র সন্ত্রাসীদের মদদ দিয়ে থাকে। তাছাড়া উন্নত প্রযুক্তি ও ইন্টারনেটের সহায়তায় বিশ্বের যে কোন প্রান্তে বসে যে কোন জায়গায় হামলা করার সক্ষমতা দেখাতে পারে সন্ত্রাসী সংগঠনগুলো। সে কারণেই সন্ত্রাসীদের নিয়ে, সন্ত্রাসীদের শক্তিমত্তা নিয়ে শান্তিকামী মানুষ মাত্রই ভয়ে তটস্থ থাকে। এ কথা হলফ করে বলা যায়, আফগানিস্তানে তালেবান যখন মার্কিন বাহিনীকে পরাস্ত করে রাষ্ট্রক্ষমতায় আসে তখন অধিকাংশই রাষ্ট্র নড়েচড়ে বসেছে, সীমান্তবর্তী এলাকায় নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করার উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। বিশেষ করে আফগানিস্তান থেকে ট্রেনিং নিয়ে এসে যারা বাংলাদেশে জঙ্গীবাদী কাজে সম্পৃক্ত হয়েছে তাদের সঙ্গে তালেবানদের যোগসূত্র থাকতে পারে। তাই বাংলাদেশও তার নিরাপত্তা ব্যবস্থার ওপর জোর দিয়েছে। বিদেশগামী বাংলাদেশ ক্রিকেট দল যখন জঙ্গী হামলার শিকার হয় কিংবা পাকিস্তানে শ্রীলঙ্কান ক্রিকেটারদের ওপর যখন সন্ত্রাসী হামলার ঘটনা ঘটে তখন অধিকাংশ ক্রিকেট দল বিদেশে গিয়ে ক্রিকেট খেলতে অনীহা প্রকাশ করে কিংবা সফর স্থগিত করে। মোদ্দা কথা হলো, সন্ত্রাসবাদের প্রকৃতির কারণেই সন্ত্রাসীদের বৈশ্বিক নেটওয়ার্কের ব্যাপকতায় দেশীয় কিংবা আন্তর্জাতিক যে কোন পর্যায়ে কেউই সন্ত্রাসীদের আক্রমণ থেকে মুক্ত থাকার গ্যারান্টি প্রদান করতে পারে না, যদি সন্ত্রাসীদের অস্তিত্ব বিনাশ করা সম্ভব না হয়। সন্ত্রাসীরা সাধারণভাবে সর্বোচ্চ পর্যায়ের ভয়ের সঞ্চার করে থাকে। পূর্বেই উল্লেখ করা হয়েছে সন্ত্রাসীরা বেসামরিক জনগণকে টার্গেট করে সহিংস আচরণ করে থাকে এবং এর মাধ্যমেই তাদের ভয়ের রেশ অধিকাংশ মানুষকে আতঙ্কগ্রস্ত করে তোলে। বাংলাদেশের প্রেক্ষিতে বলা যায় অধিকাংশ মানুষই নিরীহ এবং সরল প্রকৃতির। পারতপক্ষে তারা যে কোন ধরনের ঝঞ্ঝাট, ঝামেলাকে এড়িয়ে চলার চেষ্টা করে। সন্ত্রাসবাদের ক্ষেত্রেও ঠিক তেমনটি লক্ষ্য করা যায়। অধিকাংশ বাঙালী সন্ত্রাসবাদকে ঘৃণা করে এবং সন্ত্রাসবাদ সম্পর্কিত যে কোন ধরনের আলোচনায় থাকতেও পছন্দ করে না। সন্ত্রাসবাদের জন্য নতুন ধরনের সমস্যার সৃষ্টি হয় এবং ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ ব্যক্তি ও রাষ্ট্রকে বিপদের সম্মুখীন করে। সন্ত্রাসীরা ভয়ের সংস্কৃতি তৈরির উদ্দেশ্যে সন্ত্রাসী কর্মকা-ের মাধ্যমে জনমনে আতঙ্ক সৃষ্টির চেষ্টা করে। বলা যায়, গ্রাম্য বাজারে রাত ১১-১২টার মধ্যে বোমা হামলার ঘটনা ঘটালে গ্রামের মানুষের মধ্যে এক ধরনের ভয়ঙ্কর আতঙ্কের সৃষ্টি হয়। যদিও সরাসরি কেউ হতাহত হয় না, তথাপি সন্ত্রাসীরা কৌশলে এ ধরনের কৌশল অবলম্বন করে থাকে এবং দেখা যায় ঘটনা ঘটার কয়েকদিন পর পর্যন্ত মানুষ ভয়ে হাট-বাজারে খুবই কম আসে এবং গ্রামের দোকানপাটও তেমন একটা খোলে না। সুতরাং বোঝা যাচ্ছে সন্ত্রাসীরা ভয়ের সংস্কৃতি সৃষ্টির মাধ্যমে সাধারণ মানুষকে জিম্মি করে ফায়দা লুটার চেষ্টা করে। শুধু তাই নয়, প্রতারকচক্র ভয়ের অসহনীয় বার্তা তৈরি করে সরকারের সঙ্গে দরকষাকষির মাধ্যমে সুবিধা নেয়ার চেষ্টা করে, না হয় সরকারের অংশীদারিত্বে নিজেদের অন্তর্ভুক্তির ব্যাপারে জোর তৎপরতা চালায়। কাজেই বলা যায়, ভয়ের পরিবেশ সৃষ্টি করে সন্ত্রাসী সংগঠনগুলো উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে মানুষকে জিম্মি করে দেশী-বিদেশী চক্রের ফরমায়েশি আদেশ পালন করে থাকে। সন্ত্রাসবাদের তা-বে সৃষ্ট ক্ষয়ক্ষতির ভয়াবহতার নমুনা প্রদর্শনের ধারাবাহিকতায় কিছু গণমাধ্যমও ভয় সৃষ্টিতে নিয়ামক হিসেবে কাজ করে থাকে। ইন্টারনেটের সহজলভ্যতায় উদারনৈতিক গণতান্ত্রিক সমাজে সন্ত্রাসীদের কার্যক্রম তুলে ধরতে গণমাধ্যমের ভূমিকা অনস্বীকার্য। আবার এমনও অভিযোগ রয়েছে, সন্ত্রাসী সংগঠনগুলোর সঙ্গে কতিপয় মিডিয়ার অলিখিত চুক্তি রয়েছে। এমনকি গোপনে কিছু মিডিয়ার মালিক সন্ত্রাসীদের অর্থ সহায়তাও প্রদান করে। সন্ত্রাসীদের কার্যক্রমের ফিরিস্তি তুলে ধরতে সংবাদকর্মীরা যেমন জীবন বাজি রাখতে দ্বিধা করেন না, ঠিক তেমনিভাবে কাজ করতে গিয়ে সন্ত্রাসীদের সঙ্গে কারও কারও সম্পর্কের নতুন মাত্রা যোগ হয়। এতে করে পক্ষপাতিত্বের সুযোগ তৈরি হয় এবং অনেকে সেটা লুফে নিতে কার্পণ্য করে না। সাম্প্রতিক সময়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে গুজব ছড়ানোর কাজটি একটি চক্র খুবই পরিকল্পিতভাবে করে চলছে। এ চক্রটি সন্ত্রাসীদের সঙ্গে গোপনে যোগসূত্র স্থাপন করে সরকারের ওপর চাপ সৃষ্টির চেষ্টা করে। সরকার যদি নৈতিকভাবে শক্তিশালী হয়, জনগণের সঙ্গে সরকারের সুসম্পর্ক বিদ্যমান থাকে তাহলে সরকার কখনও সন্ত্রাসীদের সঙ্গে আপোস করে না। কিন্তু ভিন্ন দৃষ্টিতে দেখা যায়, সন্ত্রাসীদের সঙ্গে কোন কোন রাষ্ট্র গোপনে আঁতাত করে তাদের সন্ত্রাসীদের কার্যক্রমকে দেখেও না দেখার ভান করে রাষ্ট্রকে বিপদের মুখে ফেলে দেয়। যেমন-পাকিস্তান। মিডিয়াই শুধু সন্ত্রাসবাদের ভয় সর্বত্র ছড়িয়ে দিচ্ছে ব্যাপারটা তা নয়। এক্ষেত্রে রাজনীতিবিদদেরও বেশ ভূমিকা রয়েছে। রাজনীতিবিদরা প্রায়শই তাদের রাজনৈতিক অবস্থানকে সুদৃঢ় করার স্বার্থে কৌশলে সাধারণ জনগণকে আতঙ্কিত করে নিজের পক্ষে সহানুভূতি আদায়ের উদ্যোগ গ্রহণ করে। ওয়েস্টেন বলেন, ভোটাররা আবেগের দ্বারা বেশি তাড়িত হয় যেখানে কারণ কোন ভূমিকা রাখতে পারে না। বিশ্বের বিভিন্ন জায়গায় আবেগের গুরুত্ব অনুধাবন করে নির্বাচন পূর্ববর্তী সময়ে কঠিন সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষেত্রে বাঘা বাঘা রাজনীতিবিদদেরও ভ্যাবাচ্যাকা খেতে হয়। নির্বাচনোত্তর সময়ে রাজনীতিবিদদের বিভিন্ন বিষয়ে কৌশলী ভূমিকা ও আবেগকে পুঁজি করে ভোটের হিসাব-নিকাশ করতে হয়। বলা হয়ে থাকে, অমুক দল জয়লাভ করলে অমুক ধর্মে বিশ্বসীদের দেশে টিকে থাকা কঠিন হবে, ভিন্নদিকে অমুক দল পরাজিত হলে বিচারহীনতার সংস্কৃতি বেড়ে যাবে। এ ধরনের ভীতির সঞ্চার করে মানুষের আবেগকে বশীভূত করার ক্ষেত্রে সন্ত্রাসীদের প্রশ্রয় নিয়ে থাকে অনেকেই। বাংলাদেশের সংস্কৃতিতে নির্বাচনের সময় উদ্ভূত নানাবিধ পরিস্থিতিতে সন্ত্রাসীদের আস্ফালন পরিলক্ষিত হয় এবং ফলশ্রুতিতে ভীত-সন্ত্রস্ত হয় সাধারণ ভোটাররা। কাজেই সন্ত্রাসীদের সৃষ্ট ভয়ের সংস্কৃতি থেকে পরিত্রাণের জন্য তথা ভয়কে জয়কে করার জন্য যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণ করা জরুরী। সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে জনমত সৃষ্টি করতে হবে, সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে প্রচারণা জোরদার করতে হবে। সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে নিরাপত্তা ব্যবস্থা আধুনিক ও উন্নত করার স্বার্থে সরকারী ও বেসরকারী পর্যায়ে উদ্যোগ নিতে হবে। স্ট্রেস ম্যানেজমেন্ট, পাবলিক হেলথ সেক্টর, ফিয়ার ম্যানেজমেন্ট ইত্যাদি সেক্টরকে একীভূত করে সন্ত্রাসবাদের ভয়কে প্রতিরোধ করতে হবে। সাহস সঞ্চার করতে হবে। সাহস হলো ভয়কে জয় করার কৌশল। ভয়কে জয় করার মধ্যেই মানুষের সার্থকতা। মনে রাখতে হবে, সন্ত্রাসবাদকে ভয় পেলে সন্ত্রাসীরা আরও তীব্র বেগে জনগণের ওপর জেঁকে বসতে পারে। তবে একটা সময় মানুষের মধ্যে ভয়ের যে মাত্রা দেখা দিয়েছিল সেটি কিন্তু পরিবর্তন হয়েছে। মানুষের মধ্যে সচেতনতাবোধ সৃষ্টি হয়েছে, অপরাধীদের বিরুদ্ধে সোচ্চার হওয়ার মানসিকতা তৈরি হয়েছে। সর্বোপরি অন্যায়ের বিরুদ্ধে ঐক্যের ডাক দেয়ার প্রবণতা আশাহত মানুষদেরও আশার ভেলায় ভাসাচ্ছে। লেখক : সহকারী অধ্যাপক, ক্রিমিনোলজি এন্ড পুলিশ সায়েন্স বিভাগ, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়
×