
ছবিঃ সংগৃহীত
ময়মনসিংহ জেলা মোটরযান কর্মচারী ইউনিয়নের সাবেক সভাপতি আব্দুস সালাম মারা গেছেন। (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)।
মঙ্গলবার (১ জুলাই) দিবাগত রাত পৌনে তিনটার দিকে শহরের সায়েম প্রাইভেট হাসপাতালের আইসিইউ’তে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৬৮ বছর।
আব্দুস সালাম ময়মনসিংহ সিটি কর্পোরেশনের ৩২ নম্বর ওয়ার্ডের চর কালিবাড়ি এলাকার প্রয়াত মোজাফফর মণ্ডলের ছেলে। তিনি ময়মনসিংহ জেলা মোটরযান কর্মচারী ইউনিয়নের পাঁচবারের নির্বাচিত সাবেক সভাপতি ছিলেন। তিন দশকেরও বেশি সময় ধরে সংগঠনের নেতৃত্ব দিয়ে শ্রমিকদের সুখে-দুঃখে পাশে থাকা এবং তাদের কল্যাণে নিবেদিত প্রাণ হিসেবে কাজ করায় তিনি ব্যাপক জনপ্রিয়তা অর্জন করেন।
মৃত্যুকালে তিনি পাঁচ ছেলে, এক মেয়ে এবং নাতি-নাতনিসহ অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে গেছেন।
পারিবারিক ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, বার্ধক্যজনিত সমস্যা ছাড়াও আব্দুস সালাম দীর্ঘদিন ধরে কিডনির জটিলতায় ভুগছিলেন। সম্প্রতি তিনি স্ট্রোক করেন। পরে তাকে শহরের নেক্সাস প্রাইভেট হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। মঙ্গলবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে তার শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে সেখানকার আইসিইউতে বেড না থাকায় দ্রুত সায়েম প্রাইভেট হাসপাতালের আইসিইউ’তে স্থানান্তর করা হয়। সেখানে রাত পৌনে তিনটার দিকে তিনি ইন্তেকাল করেন।
তার মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়লে মরদেহ দেখতে হাসপাতাল এবং বাসায় ভিড় করেন পরিবহন নেতা, শ্রমিকসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ।
বুধবার (২ জুলাই) দুপুর আড়াইটায় চর ঈশ্বরদিয়া ঈদগাহ মাঠে তার জানাজার নামাজ অনুষ্ঠিত হবে। এরপর পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হবে।
কান্নাজড়িত কণ্ঠে পরিবহন শ্রমিক শামসুল হক বলেন, “আমরা একজন নিরহংকারী শ্রমিক নেতাকে হারালাম। আব্দুস সালাম ছিলেন আমাদের মাথার মুকুট। যখনই শ্রমিকরা কোনো প্রয়োজনে তাকে ডেকেছে, তিনি পাশে দাঁড়িয়েছেন। তিনি শ্রমিকদের কল্যাণে কাজ করে দীর্ঘ সময় নেতৃত্ব দিয়েছেন। আমরা একজন মানবিক নেতাকে হারালাম, এটি আমাদের জন্য অপূরণীয় ক্ষতি।”
মারা যাওয়া শ্রমিক নেতা আব্দুস সালামের ভাতিজা ও পরিবহন নেতা খোরশেদ আলম বলেন, “কাকা ছিলেন সকলের প্রিয়ভাজন। কখনও কারও বিরুদ্ধে কটু কথা বলতে শুনিনি। অসুস্থ হওয়ার পর তিনি বাসায়ই সময় কাটাতেন। তার মৃত্যু আমাদের জন্য গভীর শোকের।”
ময়মনসিংহ জেলা মোটরযান কর্মচারী ইউনিয়নের বর্তমান সভাপতি নজরুল ইসলাম বলেন, “আব্দুস সালাম সাহেব আমারও উস্তাদ ছিলেন। তার মৃত্যুর সংবাদে আমি ভীষণ কষ্ট পেয়েছি। আল্লাহ যেন তাকে জান্নাত নসিব করেন।”
মারিয়া