ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১

৩০ বছরের নারীকে বিয়ে করতে না পারায় হত্যাকারী ৭০ বছরের বৃদ্ধ গ্রেফতার

প্রকাশিত: ২০:৪৮, ১০ জুন ২০২১

৩০ বছরের নারীকে বিয়ে করতে না পারায় হত্যাকারী ৭০ বছরের বৃদ্ধ গ্রেফতার

নিজস্ব সংবাদদাতা, টঙ্গী ॥ ৩০ বছরের এক নারীকে বিয়ের প্রস্তাবে প্রত্যাক্ষাৎ হয়ে ছুরিকাঘাতে হত্যাকারী ৭০ বছরের বৃদ্ধকে গ্রেফতার করেছে টঙ্গী পূর্ব থানা পুলিশ। হত্যার পর টঙ্গী থেকে পালিয়ে যাওয়ার ২৩ দিনের মাথায় পলাতক বৃদ্ধ সৈজউদ্দিন খানকে মৌলভীবাজার জেলা থেকে গ্রেফতার করা হয়। আজ বৃহস্পতিবার গাজীপুর মহানগর দক্ষিণ পুলিশের টঙ্গী জোনের উপপুলিশ কমিশনার ইলতুৎমিশ সাংবাদিকের এ তথ্য জানিয়েছেন। নিহতের নাম স্বপ্না রায় ওরফে ফাতেমা আক্তার সুমি। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই শেখ সজল হোসেন জনকণ্ঠকে জানান, নিহতের মেয়ে তুলির করা মামলার প্রেক্ষিতে গাজীপুর মহানগর পুলিশ কমিশনার খন্দকার লুৎফুল কবির এবং দক্ষিণ পুলিশের টঙ্গী জোনের উপপুলিশ কমিশনার ইলতুৎমিশ মামলার মুল রহস্য উৎঘাটন ও নির্দিষ্ট আসামী গ্রেফতারের জন্য দিকনির্দেশনা দেন। হত্যায় জড়িত আসামীকে সনাক্ত ও গ্রেফতারে তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় আসামীর অবস্থান শনাক্ত করে মৌলভীবাজার জেলার বড়লেখা থানার গৌবিন্দপুর গ্রামের পল্লী বিদ্যুৎ অফিসে নির্মান শ্রমিকের কাজ করা অবস্থায় বৃদ্ধ সৈজউদ্দিন খানকে (৭০) গ্রেফতার করা হয়। তার পিতার নাম মৃত তুরাব আলী খান, ঝালকাঠি জেলার নাগপাড়া গ্রামে তার দেশের বাড়ি। টঙ্গীর দত্তপাড়া হাউজবিল্ডিং এলাকায় থেকে সে সাইকেলের ব্যবসা করতো। হত্যায় ব্যবহৃত ছোরাটিও পুলিশ উদ্ধার করেছে টঙ্গী থেকে। আসামী বৃদ্ধ সৈজউদ্দিনের দেয়া বক্তব্যের উদ্বৃতি দিয়ে টঙ্গী পূর্ব থানা পুলিশের ওসি জাবেদ মাসুদ জনকণ্ঠকে জানান, স্বপ্না রায় ওরফে ফাতেমা আক্তার সুমিকে সৈজউদ্দিন পছন্দ করতো। সুমিকে সৈজউদ্দিন বিয়ের প্রস্তাব দিলে সুমি তা প্রত্যাখান করায় আসামী ক্ষিপ্ত হয়ে হত্যা করার পরিকল্পনা করে এবং গত ১৬ মে সকালে প্রকাশ্যে দিবালোকে সুমিকে ডান পায়ের উরুতে ধারালো ছুরি দিয়ে আঘাত করে পালিয়ে যায়। পরবর্তীতে আসামী সৈজউদ্দিন খান জানতে পারে সুমি মারা গেছে, তখন সে টঙ্গী থেকে মৌলভীবাজার জেলায় পালিয়ে যায়। স্বামী পরিত্যাক্তা সুমি দু'সন্তান নিয়ে টঙ্গী দত্তপাড়ায় রান্না করা খাবার বিক্রির ব্যবসা করে জীবিকা নির্বাহ করতো।
×