ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

পটুয়াখালী জেলা ছাত্রলীগের সভাপতির পক্ষে মানববন্ধন-বিপক্ষে সাংবাদিক সম্মেলন

প্রকাশিত: ১৯:২২, ১০ জুলাই ২০২০

পটুয়াখালী জেলা ছাত্রলীগের সভাপতির পক্ষে মানববন্ধন-বিপক্ষে সাংবাদিক সম্মেলন

নিজস্ব সংবাদদাতা, পটুয়াখালী ॥ পটুয়াখালী জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি হাসান শিকদারে বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র ও উদ্দেশ্যমূলক ভবে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অপপ্রচারের প্রতিবাদে পটুয়াখালী সদর উপজেলা ছাত্রলীগের উদ্যোগে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। অপরদিকে তার ক্ষমতার অপব্যবহারের ও জুলুম অত্যাচার থেকে জানমাল রক্ষার দাবিতে সাংবাদিক সম্মেলন করেছে তার চাচাত ভাইযুবলীগ কর্মী বাকি বিল্লাহ সিকদার। সাকলে পটুয়াখালী সরকারী কলেজের সামনে হাসান সিকদারের পক্ষে মানববন্ধ ও বিক্ষোভ কর্মসূচীতে অংশগ্রহকারী ছাত্রলীগ নেতারা দাবি করেন, পটুয়াখালী জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি হাসান শিকদার ক্লিন ইমেজের হলেও সাম্প্রতিক সময়ে তাদের পারিবারিক বিরোধকে পুঁজি করে হাসান শিকদারের বিরুদ্ধে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বক্তব্য দিয়ে অপপ্রচার চালাচ্ছেন একটি গ্রুপ। এই ঘটনায় অনতিবিলম্বে ষড়যন্ত্রকারীদের চিহ্নিত করে তাদের আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান ছাত্রলীগ নেতারা। এর আগে ৮ জুলাই হাসান সিকদার নিজেও একই অভিযোগে নিয়ে পটুয়াখালী প্রেসক্লাবে সাংবাদিক সম্মেলন করেন। অপর দিকে একই দিনে সকাল ১২ টায় পটুয়াখালী প্রেসক্লাবে সংবাদিক সম্মেলন করে তার আপন চাচাত ভাই বাকি বিল্লাহ। তিনি অভিযোগ করেন, পটুয়াখালী জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি হাসান সিকদার ক্ষমতার অপব্যবহার করে তাদের উপর জুলুম নির্যাতন করছে। লিখিত বক্তব্যে বাকি বিল্লাহ অভিযোগ করেন, গত ০৭ জুন আমি এবং আমার নাবালক ছোট দুই শ্যালক বিসিক শিল্প নগরী এলাকা দিয়ে আসার সময়ে সন্ত্রাসী হাসান সিকদার এবং তার গুন্ডা বাহিনী নিয়ে আমাদের নিকট বিশ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে। টাকা না পেয়ে আমার শ্যালক মাহমুদের মাথার উপর কোপ দিয়া রক্তাক্ত জখম করে। এ সময় সন্ত্রাসীরা তার এবং শরীরের বিভিন্ন স্থানে লোহার রড দিয়া পিটিয়ে জখম করে। লিখিত বক্তব্যে উল্লেখ করা হয়, আমার চাচা ও চাচী অপর দিকে আমার শ^শুর এবং শাশুরী ২০০৮ সনে পবিত্র মদিনা নগরীতে সড়ক দূর্ঘটনায় মৃত্যু বরণ করেন। ঐ দুর্ঘটনায় বোঁচে থাকে ০৪ জন এতিম নাবালক সন্তান। এই এতিমরা সৌদি-আরব থেকে বাংলাদেশে আসার প্রায় বছর খানেক পর থেকে বিভিন্নভাবে সভাপতি হাসান সিকদার ও তার পরিবার দ্বারা জুলুম নির্যাতনের স্বীকার হয়। তাত্মসাৎ করেন এতিম ৪ সন্তার টাকা-পয়সা। এদের অত্যাচারে এক পর্যায়ে শহর ছাড়তে হয় এতিম সন্তানদের। এর পরে আদালত এই এতিমদের দ্বায়িত্ব দেয় আমার স্ত্রীর উপর। এতে তারা ক্ষুদ্ধু হয়ে আমাদের বিরুদ্ধে নানা ষড়যন্ত্র শুরু করে। শত বাধা উপেক্ষ করে আদালতের দেয়া দায়িত্ব এই এতিমদের অধ্যবধি লালন পালন করে আসছি। লিথিত বক্তব্যে আরো উল্লেখ করা হয় সভাপতি হাসান সিকদারের বিরুদ্ধে খুন, মাদক, দ্রুত বিচার, চাঁদাবাজীসহ একাধিক মামলা রয়েছে। এ ছাড়া সে নিজে বাদী হয়ে বিভিন্ন লোকের বিরুদ্ধে একাদিক মামলা দিয়ে হয়রানি করছেন বলে উল্লেখ করা হয়।
×