ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

ঈশ্বরগঞ্জে ব্রহ্মপুত্রের ভাঙন ঠেকাতে এলাকাবাসীর দাবী

প্রকাশিত: ১৯:১৩, ২৭ জুন ২০২০

ঈশ্বরগঞ্জে ব্রহ্মপুত্রের ভাঙন ঠেকাতে এলাকাবাসীর দাবী

সংবাদদাতা, নান্দাইল, ময়মনসিংহ ॥ ব্রহ্মপুত্র নদের ভাঙন ঠেকাতে মানববন্ধন কর্মসূচী পালন করেছে ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলার মরিচারচর গ্রামের বাসিন্দারা। গ্রামবাসীর দাবি মূল জায়গা দিয়ে ব্রহ্মপুত্র নদ খনন করে বসত ভিটা ও জমি রক্ষা করা। আজ শনিবার দুপুরে ব্রহ্মপুত্রের পাড়ে হাজারো নারী, পুরুষ ও শিশুর অংশগ্রহণে মানববন্ধন কর্মসূচি পালিত হয়। জানা গেছে, উপজেলার মরিচারচর গ্রামে ব্রহ্মপুত্র নদের ভাঙনের ফলে শতশত বসত ভিটা ও ফসলি জমি বিলীন হয়ে যাচ্ছে। ফলে প্রতিদিন নিঃস্ব হচ্ছে নতুন নতুন পরিবার। ব্রহ্মপুত্র নদের মূল ধারা ভাঙনের কবলে পড়ে মরিচারচর গ্রাম দিয়ে নতুন গতিপথ সৃষ্টি হয়েছে। এতে কয়েক বছর ধরে বসতভিটা ও ফসলি জমি হারাচ্ছে মানুষ। এমন পরিস্থিতিতে অনেকদিন যাবৎ ভাঙন থেকে রক্ষা পাবার জন্য নদের মূল ধারায় খননের দাবি জানিয়ে আসছে গ্রামবাসী। এরই প্রেক্ষিতে শনিবার মানববন্ধনের আয়োজন করে তারা। ওই মানববন্ধনে শতশত নারী, পুরুষ ও শিশু অংশগ্রহণ করে। এসময় মরিচারচর গ্রামের ২০/২৫ জন বাসিন্দা জানান, ব্রহ্মপুত্র নদ মরিচারচর গ্রাম সহ কয়েকটি এলাকায় প্রায় ১১/১২ কিলোমিটার জায়গা জুড়ে তিব্র ভাঙন দেখা দিয়েছে। চলতি বর্ষা মৌসুমে প্রায় ২শ বাড়ি ঘর এবং ১ হাজার একর জায়গা ব্রহ্মপুত্রে বিলিন হয়ে গেছে। কিন্তু পানি উন্নয়ন বোর্ড কোন পদক্ষেপ নিচ্ছে না। এই ভাঙন অব্যহত থাকলে ঈশ্বরগঞ্জের মানচিত্র থেকে মরিচারচর গ্রামটি হারিয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। উচাখিলা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শফিকুল ইসলাম জানান, মূল ধারায় নদ খনন করলে রক্ষা পাবে গ্রামের মানুষের বসত ভিটা ও ফসলি জমি। এই মূহুর্তে যদি কোন ব্যবস্থা না নেয়া হয় তাহলে আরো শত শত বাড়িঘর, ফসলি জমি নদীগর্ভে যাওয়ার আশঙ্খা করছেন তারা। না হলে নদী পারের কয়েকটি গ্রাম বিলীন হয়ে যাওয়ার আশঙ্খা করছেন বলে জানান তিনি।স্থানীয় মুক্তিযোদ্ধা মফিদুল ইসলাম চৌধুরী নোমান বলেন, নদী ভাঙতে ভাঙতে মূল ধারা রেখে গ্রামে ডুকে পড়েছে। প্রতি বছরই এই ভাঙন অব্যাহত রয়েছে। এতে ভিটা মাটি হারিয়ে নিঃস্ব হচ্ছে গ্রামের মানুষ। এই বিষয়ে পানি উন্নয়ন বোর্ড কোন পদক্ষেপ নিচ্ছে না। উপজেলা নির্বাহী অফিসার জাকির হোসেন বলেন, মূল ধারায় নদ খননের জন্য সরেজমিন পরিদর্শন শেষে প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে। মূল ধারায় নদ খনন করলে গ্রামের মানুষের বসত ভিটা ও ফসলি জমি রক্ষা পাবে ।
×