ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

হালদায় মা মাছের পরিমাণ বাড়াতে হাটহাজারীতে মডেল পুকুর

প্রকাশিত: ১২:১০, ৩১ মে ২০২০

হালদায় মা মাছের পরিমাণ বাড়াতে হাটহাজারীতে মডেল পুকুর

নিজস্ব সংবাদদাতা, ফটিকছড়ি ॥ দক্ষিণ এশিয়ার একমাত্র প্রাকৃতিক মৎস্য প্রজনন ক্ষেত্র হালদা নদীতে মা মাছের পরিমাণ বৃদ্ধির লক্ষ্যে সরকার অভিনভ পদ্ধতি হাতে নিয়েছে। এ পদ্ধতি পরীক্ষামূলক ভাবে গেল বছর বাস্তবায়ন করার পর চলিত মৌসুমে সফলতা পাওয়া যায়। এরই ফলশ্রুতিতে মৎস্য অধিদফতরের সাথে সমন্বয় করে এবার চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসকের পৃষ্ঠপোষকতায় এবং উপজেলা প্রশাসনের সহযোগিতায় হাটহাজারীতে মডেল পুকুর নির্বাচন করা হয়েছে। নির্বাচিত এ মডেল পুকুরে হালদা থেকে আহরিত ডিম ফুটিয়ে রেণু অবমুক্ত করা হচ্ছে। এ সব রেণু দেড়/দু'মাসে নির্দিষ্ট আকৃতিতে পৌঁছলে বড় পোনায় পরিণত হবে (অর্থাৎ,প্রতি কেজিতে ১০/১২ টি)। এ বিষয়ে হাটহাজারী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রুহুল আমিন জানান, হালদার রেণু পুনরায় হালদায় অবমুক্ত করতে একটি মডেল পুকুর নির্বাচন করা হয়েছে। এ পুকুরে এক কেজি ৬'শ গ্রাম রেণু কেনা হয়েছে। এবার ৫০ হাজার পোনা অবমুক্ত করা হবে। গেল বছরে প্রায় এক লাখ পোনা ছাড়ার পরিকল্পনা নেয়ার পরেও সবটুকু অবমুক্ত করা হয়েছিল। এই পোনা অবমুক্তের ফলে মাছের জ্বীনগত বৈশিষ্ট্য ঠিক থাকবে এবং ৪/৫ বছর পর মা মাছ হিসেবে ডিম ছাড়বে। তখন ডিমের পরিমান বাড়বে, এটা সুদূরপ্রসারী একটা উদ্যোগ। এক পরিসংখ্যানে জানা যায়, প্রাকৃতিক মৎস্য প্রজনন ক্ষেত্র হালদায় উন্নত জিন সম্মৃদ্ধ মা মাছের ডিম, ডিম থেকে রেণু , রেণু থেকে বড় আকৃতির (৪-২৫ কেজি) ওজনের মাছ উৎপাদন পূর্বক ভোক্তা পর্যন্ত পৌঁছাতে ইতিমধ্যে প্রতি বছর সরকারী রাজস্ব পাওয়া যায় আনুমানিক ৮'শ কোটি টাকা। সরকার উল্লিখিত পদ্ধতি অব্যাহত রাখলে, দূষণ রোধ, বালু উত্তোলন বন্ধ, ইঞ্জিন চালিত নৌকা চলাচলে নিষেধাজ্ঞা বলবৎ সহ নিরাপত্তা জোরদার করা হলে রাজস্ব আয় আরো ৩০-৪০ শতাংশ বেড়ে যাবে। এমনটাই ধারণা মৎস্য বিজ্ঞানীদের।
×