ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

হাতিয়ায় শিক্ষকবিহীন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়

প্রকাশিত: ০২:০০, ২৮ নভেম্বর ২০১৯

হাতিয়ায় শিক্ষকবিহীন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়

নিজস্ব সংবাদদাতা, হাতিয়া ॥ শ্রেনী কক্ষে রাখা হয়েছে ধানভর্তী বস্তা, অন্য কক্ষে রাতে রাখা হয় ছাগলের পাল, ভবনের ছাদে শুকানো হয় সিদ্ব ধান, ছাত্র-ছাত্রী নয় এসব কাজে ব্যস্ত এলাকার লোজনের বিচরনে মোখরীত থাকে বিদ্যালয়টি। শিক্ষক না থাকায় ভর্তী, পড়ালোখা, পরীক্ষা কিছুই হয়না এ বিদ্যালয়ে। এতে অনেকটা পরিত্যক্ত ভবনে পরিনত হয়েছে নোয়াখালী দ্বীপ উপজেলা হাতিয়ার নিঝুমদ্বীপ বাতায়ন কিল্লা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়। প্রধানমন্ত্রীর ঘোষিত “বিদ্যালয় বিহীন এলাকায় ১৫০০ বিদ্যালয় নির্মাণ“ প্রকল্পের অধিনে নিঝুমদ্বীপের ৪নং ওয়ার্ড়ে এ বিদ্যালয়টি ২০১৬ সালে স্থাপন করা হয়। স্থাপনের পর থেকে স্থায়ীভাবে কোন শিক্ষক নিয়োগ না দেওয়ায় আলোর মূখ দেখেনি বিদ্যালয়টি। স্থাপনের পরে দুজন শিক্ষককে ডিপুটিশনে নিয়োগ দেওয়া হয়েছিল কিন্তু তারা কিছুদিন পর বদলি হয়ে চলে যায়। বর্তমানে বেসরকরী একটি এনজিওর একজন শিক্ষক ১ম ও ২য় শ্রেনীর কয়েকজন ছাত্র-ছাত্রীকে নিয়ে বিদ্যালয়ের কার্যক্রম চালিয়ে নিচ্ছেন। দ্বীপ উন্নয়ন সংস্থা থেকে নিয়োগ নিয়ে বিদ্যালয়ে দুটি শ্রেনীতে ১৫-২০ ছাত্র-ছাত্রীকে পাঠদান দিচ্ছেন ইয়াসমিন আক্তার নামে একজন শিক্ষক। ইয়াসমিন জানান শিক্ষক না থাকায় গ্রামের অনেক শিশু এখন পড়ালেখা বাদ দিয়ে অন্য কাজ করছেন। মূলভূখন্ড থেকে নিঝুমদ্বীপ শিক্ষায় অনেকটা পিছিয়ে তাই কর্তপক্ষ নিঝুমদ্বীপে বিদ্যালয়টি স্থাপন করে । নতুন এ বিদ্যলয়কে গিরে অনেকে বিদ্যালয়ের পাশে বসবাস গড়ে তোলে কিন্তু শিক্ষক না দেওয়ায় গ্রামের ছেলে মেয়েদের শিক্ষায় কোন কাজে আসেনি এটি বলে জানান নিঝুমদ্বীপ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ছাইফুল ইসলাম। বিদ্যালয়ের ২য় শ্রেনীর ছাত্রী রুপসী ও রুপবানের সাথে আলাপ করে জানাযায়, বর্তমানে বিদ্যালয়ে ১ম ও ২য় শ্রেনীর পড়ালেখা চললে ও তাতে নেয় অনুকোল পরিবেশ । এলাকাবাসীর অভিযোগ হাতিয়া উপজেলা সদরের পাশাপাশি অনেক বিদ্যালয়ে ৬-৭জন করে শিক্ষক রয়েছে। কর্তপক্ষ ইচ্ছা করলে উপজেলা সদর কিংবা পাশবর্তী ইউনিয়ন থেকে শিক্ষক দিয়ে বিদ্যালয়টি ভালোভাবে চালাতে পারে। এ ব্যপারে হাতিয়া উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা ভবরঞ্জন দাস জানান, শিক্ষক সল্পতার কারনে এ বিদ্যালয়টি চালু করা যাচ্ছে না । তবে পাশবর্তী বিদ্যালয়ে গিয়ে এখানকার ছাত্র-ছাত্রীরা পড়া লেখা করতে পারে । আমি আশা করছি আগামী জানুয়ারিতে কয়েকজন শিক্ষক দিয়ে বিদ্যালয়টি চালুকরবো।
×