ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

স্থবির হয়ে পড়েছে বুড়িমারী স্থলবন্দর

প্রকাশিত: ১২:৫২, ২৪ অক্টোবর ২০১৯

স্থবির হয়ে পড়েছে বুড়িমারী স্থলবন্দর

অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ স্থবির হয়ে পড়েছে বুড়িমারী স্থলবন্দর। শুরু থেকে এ বন্দর দিয়ে ২৪টি পণ্য আমদানি হলেও বর্তমানে হচ্ছে ১০টি। যার ৯৫ ভাগই আবার পাথর। ফলে বন্দরটি ব্যবহারে আগ্রহ হারিয়ে ফেলছেন আমদানিকারকরা। এর কারণ হিসেবে পাল্টাপাল্টি বক্তব্য বন্দর সিএ্যান্ডএফ সভাপতি ও স্থানীয় সংসদ সদস্যের। আর পরিস্থিতি উন্নয়নে যথাযথ পদক্ষেপ চান আমদানিকারকরা। ভারত, নেপাল ও ভুটানের সঙ্গে আমদানি-রফতানি বাড়াতে ১৯৮৮ সালে লালমনিরহাটে স্থাপন করা হয় বুড়িমারী স্থলবন্দর। দ্রুততম সময়ে স্থলবন্দরটি জমে উঠলেও বর্তমানে প্রায় অচল অবস্থায় রয়েছে এটি। এই স্থলবন্দর দিয়ে শুরু থেকে ২৪টি পণ্য আমদানি হলেও এখন তা নেমে এসেছে দশে। আর আমদানি হওয়া পণ্যের শতকরা ৯৫ ভাগই পাথর। এর ফলে আমদানিকারকরা আগ্রহী হচ্ছে অন্য বন্দর ব্যবহারে। আর কর্মহীন হয়ে পড়ছেন শ্রমিকরা। শ্রমিকরা জানান, বর্তমানে আমরা ট্রাকওয়ালারা খুব বেকায়দায় আছি। মাল আসেও না যায় না। পুলিশকে চাঁদা দিতে হয়, হাইওয়েকে চাঁদা দিতে হয়, বিভিন্নভাবে ড্রাইভাররা বেকায়দায় আছে। আগে বুড়িমারী বন্দর খুব চালু ছিল এখন কামাই নাই আমরা বেকার বসে আছি। স্থানীয় সিএ্যান্ডএফ সভাপতি বলছেন, রাস্তার বেহাল দশা, বিদ্যুত সঙ্কট ও বেশিরভাগ পণ্য আমদানিতে নিষেধাজ্ঞাই বন্দরে স্থবিরতার মূল কারণ। তবে স্থানীয় সংসদ সদস্যের দাবি, এর পেছনে দায়ী সিন্ডিকেট ও চাঁদাবাজি। বুড়িমারী স্থলবন্দরের সিএ্যান্ডএফ সভাপতি রুহুল আমিন বাবলু জানান, ‘যদি ১৪টি আইটেম আমদানিতে সাময়িক নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করা হয়, তাহলে কস্টিংটা কমে যাবে, সুলভমূল্যে আমাদের ভোক্তারা সুবিধাটা পাবে।’ লালমনিরহাট-১ আসনের সংসদ সদস্য মোতাহার হোসেন বলেন, ‘মাল আসে সেখানে অনিয়ম, ট্রাকে যায় সেটা অনিয়ম, চাঁদাবাজি সেটা অনিয়ম, সব অনিয়মের হেডকোয়াটার হল বুড়িমারী।’ এ বন্দরে ২০১৭-১৮ অর্থবছরে লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ২৮ শতাংশ বেশি রাজস্ব আদায় হয়। তবে পরের বছর রাজস্ব আদায়ের পরিমাণ বাড়লেও পূরণ হয়নি লক্ষ্যমাত্রা।
×