ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

সীমান্ত হাটে চাহিদা বাড়ছে বাংলাদেশী পণ্যের

প্রকাশিত: ০৯:৩৮, ৩১ জুলাই ২০১৯

সীমান্ত হাটে চাহিদা বাড়ছে বাংলাদেশী পণ্যের

অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ ভারত-বাংলাদেশের সম্পর্ক অনেক পুরনো। আর সেই পুরনো সম্পর্ক ঠিক রাখতে সুনামগঞ্জের সীমান্তে বসে বর্ডার হাট। সদর উপজেলার জাহাঙ্গীরনগর ইউনিয়নের ডলুরা সীমান্তে বসে এই বর্ডার হাট। ভারতীয় পণ্যের পাশাপাশি থাকে বাংলাদেশী পণ্যের কদর। এই মেলাকে এগিয়ে নিতে চান দু’দেশের সাধারণ মানুষ। প্রতি মঙ্গলবার বসে এই হাট। জানা যায়, ২০১০ সালের মে মাস থেকে এ হাটে আনুষ্ঠানিক বেচা-কেনা শুরু হয়। কিন্তু হাটে সাধারণ মানুষ পণ্য ক্রয়-বিক্রয় করতে পারেন না। দুই দেশের সীমান্ত থেকে ৫ কিলোমিটার পর্যন্ত যাদের বসবাস তাদেরই মূলত সীমান্ত হাটে পণ্য বিক্রয়ের অনুমতি দেয়া হয়। প্রতি ব্যবসায়ীকে একটি করে কার্ড দেয়া হয়। তারা এই কার্ডের মাধ্যমে দুই শ’ ডলার পর্যন্ত পণ্য বিক্রি করতে পারবেন। বাজারে মানুষের আনাগোনাতেও রয়েছে কড়াকড়ি। যে কেউ বাজারে আসতে পারবেন না। বাজারে রয়েছে বিভিন্ন রকমের পণ্য। বাংলাদেশীদের চাহিদায় থাকে ভারতীয় জুতা, গরম মশলা ও বিভিন্ন ধরনের কসমেটিক্স পণ্য। অপরদিকে ভারতীয়দের কাছে বাংলাদেশের বিভিন্ন রকমের প্লাস্টিক পণ্য, ড্রিংকস ও চিপস বেশ জনপ্রিয়। বাজারে ভারতীদের মধ্যে খাসিয়া, মাইনাজা, গারো ও হিন্দু সম্প্রদায়ের লোক আসেন বেশি। তারা তাদের নিজস্ব ভাষায় কথা বলেন। তবে সামান্য ইংরেজী ও হিন্দি সংমিশ্রণে কথা বলে বাজার থেকে পণ্য ক্রয় করেন। বাজারের মাঝখানে একটি ঘর রয়েছে। সেই ঘরের দুই পাশে বসে বাজার। সরেজমিনে নারায়ণতলা বাজার ঘুরে কথা হয় ভারতের গোয়াটি এলাকার বাসিন্দা করন্তি মমনের সঙ্গে। তিনি বলেন, আমরা বাংলাদেশে এসে বাজার করি, সেটা সত্যিই আমাদের খুব ভাল লাগে। ভারতে বাংলাদেশের বিভিন্ন পণ্যের চাহিদা অনেক। বাংলাদেশের ব্যবসায়ীরা যদি পণ্যের সংখ্যা আরও বাড়ান তাহলে আমাদের জন্য ভাল হয়। ভারতীয় ব্যবসায়ী রাম কৃষ্ণ বলেন, আমি শিলং থেকে বর্ডার বাজারে এসেছি ব্যবসা করতে। বাংলাদেশের মানুষ খুব ভাল ও মিশুক।
×