ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১

কবিতা

প্রকাশিত: ১২:৪৬, ২২ মার্চ ২০১৯

কবিতা

কবিতার জন্মমুহূর্ত সরকার মাসুদ কবিতার জন্মমুহূর্তে কেঁপে উঠছে হিজলডোবার পানা ফুল এখানে জোনাকি লেগে আছে রাত্রির চুলে আমার চারপাশে শতাব্দীর জংপড়া হাওয়া আমি এখন হিংসুটে প্রিয়তমার শীতল হাসি শুনছি শেষ বসন্তের জানালা খুলে। গেস্টরুমে কফির পেয়ালা এগিয়ে দেওয়ার সময়কার চেনা অনুভব ফাটাফাটি ক্রিকেট ম্যাচের বিজয় আনন্দ, বেইলি ব্রিজ... এইসব এখন সন্ধ্যার সমুদ্র তীরে মাড়িয়ে যাওয়া ঝিনুকের গুঁড়ো সন্ধ্যার স্মৃতির ভেতর বেলাভূমি বাড়িয়ে দিয়ে রং-বেরং বেলুন উড়ছে এই ছোট কবিতার জন্মমুহূর্তে চমৎকার হাওয়া দিচ্ছে হিজল ফুল শিস দিচ্ছে থেকে থেকে। ** চেনা-অচেনা শহর তুষার আব্দুল্লাহ কখন যে ভিন শহরে চলে যাই গলিপথ, মুদির দোকানের ভিড় দেয়ালে শুকোতে দেয়া বাসি কাঁথা সবই একই রকম , তবু শহরটা ভিন সিগন্যাল বাতি, মাতাল চালক সব কিছু এক, তবু মনে হয় এ কোন ভিন নক্ষত্রের শহর । একবার ভাবি মেয়রের দপ্তরে যাই শহরের নাম তারও জানা আছে নাকি । হয়তো তখন আধো ঘুমে, চৈত্রে মাতাল আমি বেরিয়ে পড়ি ছায়াপথ ধরে ভিন্ন কোন নক্ষত্রের শহরে আসলে কোথাও কোন ভিন্নতা নেই আছে কেবল স্বপ্নালু আবরণ ! ** রহস্য তালুক! মোস্তফা মহসীন ঝাঁ ঝাঁ রোদ... চরম উত্তাপে তড়পাচ্ছে বিরক্তিরা অভিভাবকহীন দিঘীর পাড়ে ভূমিকা ছাড়াই ঝুলে আছে জলজ শ্যাওলা... তাঁকে তছনছ করে দিতেই লাফাচ্ছেÑ ল্যাংটো শিশুমেলা! চোখের মণির চিকচিক... দেখি, সামছু হোটেলে জৈবিক-গরম তেলেবেগুনে জ্বলছে চাঁদপুরের ইলিশ! ঝাঁ ঝাঁ রোদ... তাড়িয়ে রাজ্যির গুমোট হাওয়া... আর বুড়োদের চিন্তা-আগ্রাসন; এই গ্রীষ্মে নিজেকে জেতাতে চাই যৌথ আলিঙ্গন! গুপ্তধন বলে আর কিছু নাই; অসংখ্য দহন! তবে অনুমান বলছে, আসন্ন শীতে বিনামূল্যে পেয়ে যেতে পারি অরুণ+অবণী? বা অথবা অধরা প্রীতির ব্যাকরণ! বা অথবা শয়তানের রহস্য-তালুক!
×