ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১

বাঁশখালীতে নদী দখল করে অবৈধ স্থাপনা নির্মাণের হিড়িক

প্রকাশিত: ০৪:৩৭, ১৬ জুলাই ২০১৮

 বাঁশখালীতে নদী দখল  করে অবৈধ স্থাপনা  নির্মাণের হিড়িক

নিজস্ব সংবাদদাতা, বাঁশখালী, ১৫ জুলাই ॥ বঙ্গোপসাগরের কোল ঘেঁষে বয়ে যাওয়া জলকদর খাল চট্টগ্রামের বাঁশখালীর ৯টি ইউনিয়নের ওপর দিয়ে বেষ্টিত। সেই জলকদর খাল দখল করে অবৈধ স্থাপনা নির্মাণের হিড়িক চলছে। নদী দখলে রয়েছে প্রভাবশালী মহলের একাধিক সিন্ডিকেট। তবে দীর্ঘদিন নদী দখল করে স্থাপনা নির্মাণ করলেও পানি উন্নয়ন বোর্ড কর্তৃপক্ষ রহস্যজনক কারণে নীরব ভূমিকা পালন করছে। এদিকে রবিবার বিকেলে এলাকাবাসীর অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে উপজেলার পুঁইছড়ি ইউনিয়নের সরলিয়া বাজার জলকদর খাল পরিদর্শনে গিয়ে দেখা যায়, নদীর উভয় পার্শ্বে বসতঘর, দোকান ও বিভিন্ন কলকারখানা গড়ে তুলেছে প্রভাবশালী মহল। তাছাড়া ওই নদীর চর দখল করে মাদ্রাসার সাইনবোর্ড লাগিয়ে চিংড়ি ঘেরও নির্মাণ করছে একটি মহল। নদী দখল করে অবৈধ স্থাপনা নির্মাণ করায় সাধারণ মানুষের মধ্যে ক্ষোভ দেখা দিয়েছে। এ ব্যাপারে পানি উন্নয়ন বোর্ডের বিভাগী প্রকৌশলী খ.ম. জুলফিকার তারেকের কাছ থেকে জানতে চাইলে তিনি জানান নদী দখলের বিষয়টি গুরুত্বসহকারে দেখা হচ্ছে। তাছাড়া ডিপিও প্রকল্প বাস্তবায়ন করে শীঘ্রই অবৈধ স্থাপনা নির্মাণকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলেও তিনি জানান। স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, পুঁইছড়ি ও ছনুয়া ইউপির ওপর দিয়ে বয়ে যাওয়া পানি উন্নয়ন বোর্ড কর্তৃপক্ষের ৬৪/২এ এর জলকদর খালের উভয় পার্শ্বে নতুন নতুন অবৈধ স্থাপনা নির্মাণ করা হচ্ছে। এর পূর্বেও অধিক অবৈধ স্থাপনা নির্মাণ করায় নদীর সম্পূর্ণ নাব্য হারিয়ে ফেলেছে। ব্যাহত হচ্ছে নৌযান চলাচল। তাছাড়া ৯টি ইউনিয়নের ওপর দিয়ে বয়ে যাওয়া জলকদর খালের উভয় পার্শ্বে গড়ে উঠেছে অবৈধ স্থাপনা। অবৈধ স্থাপনা গড়ে ওঠার ফলে নদীর স্বাভাবিক গতি হারিয়ে সরু হয়ে পড়েছে। যার ফলে বর্ষা মৌসুমে বন্যার পানি সাগরে পতিত হতে না পারায় বন্যার আশঙ্কাও দেখা দিয়েছে প্রত্যন্ত অঞ্চলে। অচিরেই জলকদর খাল অবৈধ দখলমুক্ত করা না হলে এলাকাবাসী বন্যার পানিতে নিমজ্জিত হবে।
×