ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ১৭ এপ্রিল ২০২৪, ৩ বৈশাখ ১৪৩১

প্রসঙ্গ ইসলাম – অধ্যাপক হাসান আবদুল কাইয়ূম

প্রকাশিত: ০৪:১৬, ২০ এপ্রিল ২০১৮

প্রসঙ্গ ইসলাম – অধ্যাপক হাসান আবদুল কাইয়ূম

আরবীতে বিয়েশাদিকে বলা হয় নিকাহ্্। আর বৈবাহিক চুক্তি বা বিয়ে বন্ধ হচ্ছে আক্্দ। একজন পুরুষ ও একজন নারীর স্বামী-স্ত্রী হিসেবে বৈধ পন্থায় সাক্ষীদের সামনে পরিণয় সূত্রে আবদ্ধ হওয়াটাই হচ্ছে বিয়ে। আর এই বিয়ের মধ্য দিয়ে দাম্পত্য জীবনের শুভ সূচনা হয় এবং পরিবার গঠনের সুদৃঢ় পথ প্রশস্ত হয়। বিয়ের মাধ্যমে একজন পুরুষ এবং একজন নারী পরস্পরে জীবনের যাবতীয় কর্মকাণ্ডের সাথী হয়ে যায়, তাদের একত্রে বসবাসের সামাজিক স্বীকৃতি লাভ হয়। তাদের প্রেম, প্রীতি, ভলবাসা, মিলন এবং তাদের সন্তান-সন্ততি পবিত্রতার সৌরভে সুরভিত হয়। ইসলাম বিয়েশাদির ওপর অত্যন্ত গুরুত্বারোপ করেছে, তবে ক্ষেত্র বিশেষে নিরুৎসাহিতও করেছে। যারা দৈহিক ও আর্থিকভাবে সামর্থ্যহীন তাদের ক্ষেত্রেই বিয়ে নিরুৎসাহিত করা হয়েছে। বিশিষ্ট সাহাবি হযরত আবদুল্লাহ্্ ইবনে মাস’উদ রাদিআল্লাহু তায়ালা আন্্হু থেকে বর্ণিত আছে যে, হযরত রসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলায়হি ওয়া সাল্লাম, বলেন : ইয়া মাশারাশ্্শাবাবি মানিসতাতা’আ মিনকুমুল বা’আতা ফালইয়াতাযাওয়াজ ফাইন্নাহু আগাদ্্দু লিল্্ বাসারি ওয়া আহ্্সানু লিল্্ ফারজি ওয়া মাল্লাম ইয়াসতাতি ফা’আলায়হি বিসসওমি ফাইন্নাহু লাহু ভিজাউ- হে যুব সমাজ! তোমাদের মধ্যে যে বিয়েশাদি করার সামর্থ্য রাখে সে যেন বিয়ে করে, কেননা তা দৃষ্টিকে সংযত রাখে এবং গুপ্ত অঙ্গকে হিফাজত করে, আর যার সামর্থ্য নেই সে যেন রোজা রাখে, এটা তার জন্য ছিন্নমুষ্ক হওয়া। (বুখারি শরীফ, মুসলিম শরীফ)। এই হাদিস খানি থেকে সুস্পষ্ট হয়ে যায় যে, যার দৈহিক সামর্থ্য নেই এবং যার স্ত্রীর খোরপোষ দেয়ার মতো আর্থিক সচ্ছলতা নেই তার উচিত হবে বিয়ে না করে সংযমি হওয়া। যখন সে সংসারের ব্যয় নির্বাহের মতো সচ্ছলতা অর্জন করবে এবং দৈহিকভাবে সমর্থ হয়ে উঠবে তখন অবশ্যই সে বিয়েশাদি করবে। কুরআন মজিদে ইরশাদ হয়েছে : ওয়াল ইয়াসতা ‘ফিফিল্লাযিনা লা ইয়াজিদুনা নিকাহান হাত্তা ইউগনিয়া হুমুল্লাহু মিন্্ ফাদ্ইলহিÑ যাদের বিয়েশাদি করার মতো সামর্থ্য নেই তারা যেন সংযম অবলম্বন করে যত দিন না আল্লাহ্্ অনুগ্রহ করে অভাব মুক্ত করেন (সূরা নূর : আয়াত ৩৩)। ইসলাম বিয়েশাদির ক্ষেত্রে কনের সম্মতিকে অগ্রাধিকার দিয়েছে। কনের ইজিন (সম্মতি) ব্যতিরেকে বিয়ে হয় না। কনের থেকে প্রস্তাব আসে আর সেটা কবুল করে বর। এই ইজাব-কবুল সম্পাদিত হয় সাক্ষীদের সামনে। বিয়েতে কনের জন্য মোহর নির্ধারণ করতে হয় এবং তা অবশ্য কনেকে দিতে হয়। কুরআন মজিদে ইরশাদ হয়েছে : ওয়া আতুন নিসাআ সাদুকাতিহিন্না নিহলাতানÑ আর তোমরা নারীদের তাদের মোহর স্বতঃপ্রবৃত্ত হয়ে প্রদান করবে (সূরা নিসা : আয়াত ৪)। মোহর বা মোহরানার হকদার কনে। পূর্বকালে রেওয়াজ ছিল, কনের অভিভাবকরা কনে পণ হিসেবে বর পক্ষ থেকে অর্থ আদায় করে তা কনেকে না দিয়ে নিজেরাই খরচাদি করত। আল্লাহ জাল্ল্ াশানুহু এই প্রথাটিকে বাতিল করে দিয়ে উপরের আয়াতে কারিমায় মোহরের অধিকারী যে একমাত্র কনেই তা স্থির করে দিয়েছেন। বর কনে পক্ষ থেকে দাবি করে যে, অর্থ-সম্পদ আদায় করে তা ইসলামে বৈধ নয়। এই যৌতুককে ইসলাম নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে। মোহর নির্ধারণ এমনভাবে করার কথা বলা হয়েছে যা বর আদায় করতে সমর্থ। কেননা ওই মোহ্র তাকে আদায় করতেই হবে। অনেক ক্ষেত্রে দেখা যায় বড়লোকি দেখানোর জন্য বরের সাধ্যের বাইরে মোহর ধার্য করা হয়। এটা আদৌ শরিয়তসম্মত নয়। মোহ্র ধার্য হতে হবে বরের আর্থিক সামর্থ্যানুযায়ী। কুরআন মজিদে ইরশাদ হয়েছে : মোহ্র নির্ধারণের পর কোন বিষয় পরস্পর রাজি হলে তাতে তোমাদের কোন দোষ নেই। নিশ্চয়ই আল্লাহ্্ সর্বজ্ঞ, প্রজ্ঞাময় (সূরা নিসা : আয়াত ২৪)। স্ত্রীকে মোহরানার টাকা প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী দিতে হবে। যদি দাম্পত্য জীবনে স্বামী-স্ত্রীর বনিবনা না হওয়ার কারণে পরিস্থিতি দুর্বিষহ হয়ে ওঠে এবং পরিণতিতে তা বিয়ে-বিচ্ছেদ পর্যায়ে উপনীত হয় তবুও স্বামী কোন অবস্থাতেই মোহ্র যা স্ত্রীকে প্রদান করেছে তার কিছুই ফেরত নিতে পারবে না। এমনকি পোশাকাদি-গয়না যা দিয়েছে তাও ফেরত নিতে পারবে না। কুরআন মজিদে ইরশাদ হয়েছে : একজনকে অগাধ অর্থও দিয়ে থাক তবুও তা হতে কিছুই প্রতিগ্রহণ করবে না (সূরা নিসা : আয়াত ২০)। মোহর নির্ধারণে জটিলতা সৃষ্টি হলে বোন, ফুফুদে মোহরের নিরিখে ধার্য করা যেতে পারে, একে বলা হয় মোহ্র মিছল। মোহরকে আমাদের দেশে দেনমোহর বলে। এই মোহর কনের সম্মান ও মর্যাদার প্রতীক। এটা তার অধিকার। মোহর কমপক্ষে কত ধার্য করা যেতে পারে সে সম্পর্কে ভিন্ন ভিন্ন মত রয়েছে। তবে আমাদের ইমাম ইমামে আজম হযরত আবূ হানিফা রহমাতুল্লাহি আলায়হির মতে দশ দিরহামের কম মোহর হতে পারে না। উল্লেখ্য, দশ দিরহামকে আমরা শ’ তোলা রুপার মূল্যের হিসাবে গণ্য করতে পারি। এর বেশি কত ধার্য করা যায় তা নির্ভর করবে বরের সামর্থ্যরে ওপর। হযরত আলী করামাল্লাহ ওয়াজ্্হাহুর সঙ্গে প্রিয়নবী হযরত রসূলুল্লাহ্্ সাল্লাহু আলায়হি ওয়া সাল্লাম তাঁর কন্যা খাতুনে জান্নাত হযরত ফাতিমাতুয্্ যোহরা রাদিআল্লাহু তায়ালা আন্্হাকে বিয়ে দেন। এই বিয়েতে যে দেনমোহর ছিল তা চার শ’ দিরহাম। এটা মোহরে ফাতিমা। জানা যায়, হযরত আলী রাদিআল্লাহু তায়ালা আন্্হুর বয়স ছিল ২৪ বছর আর হযরত ফাতিমা রাদিআল্লাহু তায়ালা আন্্হার বয়স ছিল প্রায় ১৯ বছর। আল্লাহ্্ জাল্লাহ শানুহুর নির্দেশ পেয়ে প্রিয়নবী হযরত রসূলুল্লাহ সাল্লাহু আলায়হি ওয়া সাল্লাম তাঁর নয়নমণি কন্যা ফাতিমা (রা)-কে বললেন : আমি তোমার শাদি আলীর সঙ্গে দেয়ার আদেশ পেয়েছি, এ ব্যাপারে তোমার সম্মতি চাই। এ কথা শুনে হযরত ফাতিমা (রা) কাঁদতে কাঁদতে বললেন : আব্বা! আপনি আমাকে একজন দরিদ্র কুরায়েশের হাতে সমর্পণ করতে যাচ্ছেন! হযরত (সা) বললেন : সেই মহান সত্তার কসম যিনি আমাকে সত্যসহ পাঠিয়েছেন, তাঁর থেকে অনুমতি না পেলে আমি এ ব্যাপারে কিছু বলতাম না। তখন হযরত ফাতিমা (রা) বললেন : আল্লাহ ও তাঁর রসূল যাতে রাজি আমিও তাতে রাজি। এরপর হযরত (সা) হযরত আলী (রা)-কে বললেন : তোমার কাছে কি আছে? তিনি বললেন একটি ঘোড়া এবং একটি বর্ম। হযরত রসূলুল্লাহু (সা) বললেন : ঘোড়াটি তোমার কাজে লাগবে। বর্মটি বিক্রি কর। তিনি বর্মটি চার শ’ আশি দিরহামে বিক্রি করে প্রাপ্ত মূল্য এনে প্রিয়নবী (সা)-এর কোলের ওপর রাখলেন। হযরত রসূলুল্লাহ্্ (সা) কিছু দিরহাম হযরত বিলাল রাদিআল্লাহ্্ তায়ালা আন্্হুর হাতে দিয়ে বললেন : বাজার থেকে খোশবু কিনে আন। হযরত বিলাল খোশবু কিনে আনলেন। হযরত রসূলুল্লাহ্্ (সা)-এর নির্দেশে তিনি হযরত আনাস (রা), হযরত আবু বকর (রা), হযরত উমর (রা), হযরত উসমান (রা), হযরত আবদুর রহমান বিন আউফ (রা)-সহ বেশ কয়েকজন মুহাজির ও আনসার সাহাবায়ে কেরামকে ডেকে আনলেন। হযরত আলী (রা) তখনও মজলিসে উপস্থিত হননি। হযরত রসূলুল্লাহ্্ (সা) খুতবা পাঠ করে বললেন : ফাতিমাকে আলীর সঙ্গে শাদি দেয়ার নির্দেশ আমি আল্লাহর কাছ থেকে পেয়েছি। তোমরা সাক্ষী হও যে, আমি চার শ’ মিসকাল রুপার মোহরানার ইওয়াজে ফাতিমাকে আলীর সঙ্গে বিয়ে দিচ্ছি, যদি আলী তা কবুল করে। ঠিক সেই মুহূর্তে মজলিসে আলী (রা) হাজির হলেন। হযরত রসূলুল্লাহ (সা) আবার ওই কথাগুলো হযরত আলী (রা)-কে শুনিয়ে বললেন, আলী! তুমি কি এটা কবুল করেছ? হযরত আলী (রা) বললেন, আলহাম্্দুলিল্লাহ্্ আমি আল্লাহ্্ সব নিয়ামতের শোকর গুজারি করছি এবং সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, আল্লাহ ছাড়া কোন ইলাহ্্ নেই। ইয়া রসূলুল্লøাহ্! আমি তাকে কবুল করলাম। হযরত (সা) বললেন : আল্লাহ্্ তোমাদের মিলন দান করুন, তোমাদের চেষ্টাকে ফলবতী করুন, তোমাদের ওপর বরকত বর্ষণ করুন, তোমাদের পবিত্র সন্তান-সন্ততি দান করুন। এরপর এক ঝুড়ি খেজুর আনিয়ে তিনি মজলিসের সবাইকে বললেন : এর থেকে তোমরা লুট করে খাও। মজলিসের সবাই ঝুড়ি থেকে কাড়াকাড়ি করে খেজুর তুলে নিয়ে আনন্দের সঙ্গে তা খেতে লাগলেন। প্রিয়নবী সরকারে দো-আলম নূরে মুজাসসম হযরত মুহম্মদ (সা) হযরত ফাতিমা (রা)-কে জেহেজ দিলেন ঝাউ কাঠ দিয়ে তৈরি করা খাটিয়া, খেজুরের পাতা ভরা একটি চামড়ার বালিশ, ছাগলের চামড়া ও ভেড়ার চামড়ার দুটো মশক, আটা পেষার জন্য যাঁতা, দুটো মাটির কলসি আর হযরত আলী (রা)-কে দিলেন একটি মেষ চর্ম ও একখানি পুরনো ইয়ামনী চাদর। তারপর রুনুমায়ী (বর-কনের মুখ দর্শন) হলো। হযরত রসূলুল্লাহ (সা) হযরত আলী (রা)-কে বললেন : আমি না আসা পর্যন্ত তুমি ফাতিমার সঙ্গে কথা বলবে না। রাতে প্রিয়নবী (সা) বাসর ঘরে ঢুকে ফাতিমা (রা)-কে বললেন : মা, এক পেয়ালা পানি নিয়ে এসো। হযরত ফাতিমা (রা)-এর পা হাঁটতে গিয়ে লজ্জায় ওড়না জড়িয়ে যাচ্ছিল। তিনি কাঠের পেয়ালায় পানি ভর্তি করে আনলেন। হযরত রসূলুল্লাহ (সা) পেয়ালার কিছুটা পানি মুখে নিয়ে আবার তা পেয়ালাতেই রাখলেন। তিনি কন্যাকে তঁাঁর দিকে মুখ ফিরিয়ে দাঁড়াতে বললেন। তখন তিনি ফাতিমা (রা)-এর মাথায় ও বুকে ওই পেয়ালার পানি হাতে নিয়ে ছিটিয়ে দিলেন, তারপর দু’আ করলেন এবং সমস্ত পানি ফাতিমার দুই কাঁধে ঢেলে দিলেন, তারপর হযরত আলী (রা)-কে আর এক পেয়ালা পানি আনতে বললে হযরত আলী পানি নিয়ে এলে একইভাবে আলীর ওপর পানি ছিটিয়ে দিয়ে দু’আ করে বললেন : আল্লাহুম্মা বারিক ফীহিমা ওয়া বারিক লা হুমা ফী শামলিহিমা। তারপর সূরা ইখলাস, সূরা ফালাক ও সূরা নাস পাঠ করে এই নবদম্পতির জন্য দু’আ করে বললেন : বিসমিল্লাহি ওয়া বারাকাতিহি অতঃপর হযরত আলী করামাল্লাহু ওয়াজহাহুকে বললেন : আপন স্ত্রীর সমীপবর্তী হও। এই বলে তিনি বাইরে এলেন। আসার সময় তিনি কন্যা ফাতিমা (রা)-কে বললেন : মা, আমার বংশের উত্তম ব্যক্তির সঙ্গে তোমার শাদি দিলাম। বিয়ের তিন দিন পর হযরত আলী (রা) ওয়ালিমা (বউভাত) অনুষ্ঠানের আয়োজন করলেন। তাতে খাবার ব্যবস্থা করা হয়েছিল যবের রুটি এবং মেষের গোশত। এ ছাড়া ছিল খেজুর এবং ঘি ও খেজুর দিয়ে তৈরি হায়স নামক এক উন্নত মানের হালুয়া। এই হযরত আলী (রা) ও ফাতিমা (রা) দম্পতির পুত্র হচ্ছেন হযরত হাসান (রা) ও হযরত হুসাইন (রা.)। যাদের সম্পর্কে প্রিয়নবী (সা) বলেছেন : এঁরা জান্নাতের যুবকের সরদার। প্রিয়নবী হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলায়হি ওয়া সাল্লাম বলেছেন : বিয়ে আমার সুন্নত, যে আমার সুন্নতকে প্রত্যাখ্যান করে সে আমার দলের নয়। বিয়েশাদি উপলক্ষে আত্মীয়স্বজন, নিকটজন, আপনজন, পাড়া-প্রতিবেশীকে খাওয়ানো হয়, বিশেষ করে যে ওয়ালীমা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয় তা করা সুন্নত। তবে এতে অপচয় হতে পারে এমন কোন ব্যয় করা আদৌ উচিত নয় এবং শুধু ধনী ও প্রভাবশালীদের বেছে বেছে দাওয়াত না দিয়ে দরিদ্র ভুখা-নাঙ্গা মানুষকেও এই দাওয়াতের অন্তর্ভুক্ত করা উচিত। হাদিস শরীফে আছে : সর্বনিকৃষ্ট খানার মজলিস হচ্ছে সেই ওয়ালিমার মজলিস যাতে ধনবানদের দাওয়াত দেয়া হয় আর বিত্তহীনদের বাদ দেয়া হয়। আর যে জন দাওয়াত পেয়ে তা প্রত্যাখ্যান করল সে অবশ্যই রসূলুল্লাহর নাফরমানি করল। প্রিয়নবী (সা) কারও বিয়ে করার কথা শুনলে তাঁকে বলতেন : বারাক আল্লাহ লাকা আওলিম ওয়ালাও বিশাতি-আল্লাহ তোমাকে প্রাচুর্য দান করুন। ওয়ালিমার আয়োজন কর একটি বকরি দিয়ে হলেও (বুখারী শরীফ, মুসলিম শরীফ)। লেখক : পীর সাহেব দ্বারিয়াপুর শরীফ
×