
ছবি: সংগৃহীত
ঢাকার মিডফোর্ড হাসপাতালের সাম্প্রতিক সহিংস ঘটনার প্রতিবাদে শাহবাগে সংবাদ সম্মেলন করেছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন। এই সংবাদ সম্মেলনে সংগঠনের সমন্বয়ক রিফাত রশিদ বর্তমান সরকার, ক্ষমতাসীন দলের ছাত্র ও যুব সংগঠন এবং মিডিয়ার ভূমিকাকে কঠোরভাবে সমালোচনা করেন।
রিফাত রশিদ বলেন, “আমরা স্পষ্টভাবে বলতে চাই—ফ্যাসিবাদী ব্যবস্থার বিলোপ ও নতুন রাজনৈতিক বিনির্মাণের আকাঙ্ক্ষা থেকেই আমরা একটি নতুন বাংলাদেশ গঠনের লড়াই করছি। সেই বাংলাদেশে আমরা আর কাউকে নতুনভাবে ফ্যাসিবাদী হয়ে উঠতে দেব না।”
তিনি অভিযোগ করেন, “ছাত্রলীগ, যুবলীগ, আওয়ামী লীগ আমাদের আন্দোলনকারীদের বিরুদ্ধে বারবার অপপ্রচার চালিয়েছে—এই বলে যে, আমরা কেউ ছাত্র না, সবাই ইশরাকের লোক, ছাত্রদল, যুবদল কিংবা শিবির বা জঙ্গি। আজও সেই একই পন্থায়, যারা হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদ জানায়, তাদের বিভিন্ন রাজনৈতিক ট্যাগ দিয়ে বিতর্কিত করার চেষ্টা করা হচ্ছে। এই ট্যাগিং-ই হাসিনার রাজনৈতিক স্টাইল। আমরা বিএনপিকে আহবান করছি , ছাত্রদলকে আহবান করছি হাসিনার যে বয়ান, হাসিনার যে স্টাইল এগুলো সাবস্ক্রাইব করবেন না। বাংলাদেশের মানুষ বহু আগেই এই স্টাইলগুলোকে ছুড়ে ফেলে দিয়েছে। ”
রিফাত রশিদ তার বক্তব্যে বুয়েটের ইতিহাস তুলে ধরেন। তিনি বলেন, “২০১৯ সালে প্রথমবার ছাত্রলীগের বিরুদ্ধে সরাসরি প্রতিবাদ করেছিল বুয়েটের শিক্ষার্থীরাই। তারা ক্যাম্পাস থেকে ছাত্রলীগকে বিতাড়িত করেছিল, স্বৈরাচার মুক্ত করেছিল। আজ ছয় বছর পর সেই লিগ্যাসির ধারাবাহিকতায় দেখা যাচ্ছে—ছাত্রলীগ, আওয়ামী লীগ সবাই রাজপথ থেকে সরে গিয়েছে। তাই সকলকে বলছি, ইতিহাস থেকে শিক্ষা নিন। সকলকে বলবো আপনারা ইতিহাস থেকে শিক্ষা নিন, বাড়াবাড়ি কইরেন না। বাড়াবাড়ির ফল বাংলাদেশে কোনোদিন মিষ্টি হয়নাই।
মিডফোর্ডের ঘটনার বিষয়ে তিনি বলেন, “ঘটনাটি ঘটেছে ৯ তারিখে, কিন্তু আমরা মিডিয়ায় তা দেখেছি ১১ তারিখে। অর্থাৎ ৪৮ ঘণ্টা ধরে মিডিয়ার কাছে ফুটেজ থাকলেও তা প্রকাশ করা হয়নি। কেন এই গড়িমসি? আগে দেখা যেতো যারা আন্দোলনের ভিডিও করত, তারা রাতারাতি তা আওয়ামী লীগ বা ডিজিএফআইয়ের কাছে জমা দিয়ে আসতেন। তখনও তারা তা প্রকাশ করতে পারতেন না, এখনও তাইই হচ্ছে।”
তিনি দুঃখ প্রকাশ করে বলেন, “৪৮ ঘণ্টা পরেও আমরা গণমাধ্যমে কোনো ভিডিও বা প্রতিবেদন পাইনি। এটা বড়ই আফসোসজনক।”
নোভা