ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

জাফর ওয়াজেদ

রোহিঙ্গাদের সর্বনাশ জামায়াত বিএনপির পৌষ মাস

প্রকাশিত: ০৫:০৬, ১১ সেপ্টেম্বর ২০১৭

রোহিঙ্গাদের সর্বনাশ জামায়াত বিএনপির পৌষ মাস

নাফ নদীর বানের মতো পালে পালে দলে দলে রোহিঙ্গাদের অনুপ্রবেশ ঘটছে বাংলাদেশে। বর্মী বাহিনীর অমানবিকতার এক চূড়ান্ত নিদর্শন এ রোহিঙ্গারা। তাদের দেশ ছেড়ে উদ্বাস্তুতে পরিণত হওয়া কারও কারও পালে হাওয়া লাগিয়েছে। বিশেষ করে জামায়াত-শিবির এবং তাদের ঘনিষ্ঠ মিত্র বিএনপি যেন প্রাণ ফিরে পেয়েছে। আত্মগোপনে থাকা জামায়াত-শিবিররা সক্রিয় হয়ে ওঠেছে। বিএনপির প্রাণেও যেন জোয়ার জেগেছে। রোহিঙ্গা ইস্যু নিয়ে কোন ধরনের নোংরা রাজনীতি না করতে বিএনপির প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন আওয়ামী লীগ তথা সরকারী দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। তার মতে, রোহিঙ্গাদের নিয়ে বিএনপি রাজনীতির নোংরা খেলায় মেতে ওঠেছে। অবশ্য এই ওঠা তাদের জন্য স্বাভাবিক। তাই বিরত থাকার এই আহ্বানে বিএনপি যে থেমে যাবে না তা স্পষ্ট। কারণ বিএনপি একটি মোক্ষম ইস্যু হাতে পেয়েছে। পেট্রোলবোমা মেরে অসাধ্য সাধন করতে না পারার ব্যর্থতা থেকে হতাশায় নিমজ্জিত হয়ে খাবি খেতে খেতে ডুবে যাওয়ার উপক্রম; তখন তাকে তীরে উঠে শ্বাস-প্রশ্বাস নেয়ার পথ করে দিয়েছে এই অনুপ্রবেশকারী রোহিঙ্গা ইস্যু। ষড়যন্ত্র যেহেতু বিএনপির মজ্জাগত রাজনৈতিক চর্চা, যার বিস্তার ক্ষমতায় আসীন হতে সহায়তাও করেছে। তাই সেই পথ থেকে বিচ্যুত হওয়ার কোন লক্ষণ দলটির মধ্যে কস্মিনকালে গড়ে উঠেনি, উঠবেও না। আর রোহিঙ্গাদের উদ্বাস্তু হয়ে এ দেশে আসা শুরু হয় ক্ষমতা দখলদার ও রাজাকার পুনর্বাসনকারী সাময়িক জান্তা শাসক জিয়ার আমলেই ১৯৭৮ সালে। সৌদিসহ বিদেশী সাহায্য-সহায়তা মিলবে বিপুল পরিমাণে-সেই আশাবাদ থেকে জিয়া সীমান্ত খুলে দিয়েছিলেন। রোহিঙ্গারা কক্সবাজারের বন ও পাহাড় কেটে বসত গড়ে তোলে সৌদি অর্থ সহায়তায়। জিয়া রোহিঙ্গাদের প্রশিক্ষণের উদ্যোগও নেন। গড়ে উঠে রোহিঙ্গা সলিডারিটি অর্গানাইজেশন। তারা অস্ত্র সহায়তাও পায়। কিন্তু আরাকানের স্বাধীনতার জন্য তারা সামান্য অভিযানও চালায়নি। খালেদা জিয়া ক্ষমতা গ্রহণের পরপরই আবার সীমান্ত অবাধ করে দেয়া হয় ১৯৯২ ও ২০০৪ সালে। আর লাখে লাখে রোহিঙ্গা বাংলাদেশে অনুপ্রবেশ করে। বিএনপি-জামায়াত সরকার অনুপ্রবেশ ঠেকানোর কোন উদ্যোগ নেয়নি। সে সুযোগে মিয়ানমার কর্তৃপক্ষ রোহিঙ্গাদের তাদের নাগরিক হিসেবে স্বীকৃতি দিতে অস্বীকার করে। দুর্বল কূটনৈতিক কারণে বিষয়টি নিষ্পত্তিতে মিয়ানমার সরকারের ওপর চাপ প্রয়োগও করতে পারেনি। এর আগে শরণার্থীদের ফেরত পাঠানোর জন্য ১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর মিয়ানমার সরকারের ওপর চাপ প্রয়োগ করে। তখন কয়েক হাজার রোহিঙ্গাকে ফেরত নেয়া হয়। আর ২০০৫ সালে বিএনপি-জামায়াত জোটের অনাগ্রহের কারণে মিয়ানমার তাদের তালিকাভুক্ত নাগরিক রোহিঙ্গাদের ফেরত নিতে আবারও অস্বীকৃতি জানায়। একই সঙ্গে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন বন্ধ ঘোষণা করে মিয়ানমার। জাতিসংঘের শরণার্থীবিষয়ক হাইকমিশনও চাইছিল প্রত্যাবাসন বন্ধ রাখার জন্য। শরণার্থী না থাকলে সংস্থাটিকে যে ডালপালা গুটিয়ে নিতে হবে সেই শঙ্কায় তারা ফেরত পাঠাতে অনুৎসাহী ছিল। পরবর্তীকালেরোহিঙ্গারা নানা অপরাধে জড়িয়ে পড়ে দেশে-বিদেশে। ফলে তাদের সম্পর্কে সর্বত্র নেতিবাচক ধারণা তৈরি হয়। এমনিতে তাদের শিক্ষা-দীক্ষা নেই বলে ভাল-মন্দ বোধে ঘাটতি রয়ে যায়। এরা ধর্মের ক্ষেত্রেও কট্টর। সৌদি আরবের ওহাবী মতবাদের অনুসারী হয়ে আরাকানে তারা স্বতন্ত্র অবস্থান রাখতে সচেষ্ট ছিল। জনজীবনের মূলধারায় সংযুক্ত হতে পারেনি। প্রতিবেশী বৌদ্ধ এবং মগদের সঙ্গেও নেই সুসম্পর্ক। ফলে এরা প্রায় নিজেদের মধ্যেই সঙ্কুচিত রয়ে গেছে। এদের কোন নেতা নেই বলে রাজনৈতিকভাবে কিছুই মোকাবেলা করতে পারছে না। শরণার্থী হিসেবে নিবন্ধিত বা নিবন্ধনহীন রোহিঙ্গারা জাতিসংঘের আর্থিক সহায়তা পেয়ে আসলেও সৌদি আরবও অর্থ পাঠাত। যা জামায়াতের মাধ্যমে বিতরণ হতো। এই সুবাদে জামায়াত সংযোগ গড়ে তোলে রোহিঙ্গাদের সঙ্গে। তাদের সশস্ত্র প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করে পাকিস্তানের আইএসআই। কিন্তু অলস রোহিঙ্গারা বিদ্রোহ বা যুদ্ধ করার মতো দৈহিক শক্তিমত্তা ধারণ করে না বলেই কোন অভিযান চালাতে পারেনি। বিএনপির ছত্রছায়ায় রোহিঙ্গা সলিডারিটি অর্গানাইজেশনের নেতারা চট্টগ্রামে বিলাসবহুল জীবনযাপনে অভ্যস্ত হয়ে পড়ে। তারা ব্যবসা-বাণিজ্যও শুরু করে। কিন্তু আরাকানীদের স্বদেশ প্রত্যাবর্তনের জন্য বিশ্ব জনমত গড়ে তুলতে পারেনি যেমন, তেমনি ব্যাপকহারে রোহিঙ্গা নিধনের জন্য মিয়ানমারের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক আদালতেও অভিযোগ দায়ের করতে পারেনি। মূলত রোহিঙ্গাদের নেতৃত্ব দেয়ার মতো যোগ্য ব্যক্তি কখনই গড়ে ওঠেনি তাদের মধ্য থেকে। বিএনপি তখন ক্ষমতায়। একানব্বই সালের মাঝামাঝি সময়ে ঢাকা থেকে ফোন করেন শ্রদ্ধেয় সাংবাদিক আতাউস সামাদ। জানালেন বিবিসি ওয়ার্ল্ড সার্ভিসের প্রতিনিধি শ্রীলঙ্কার বংশোদ্ভূত আরাপান আরুলাই চট্টগ্রামে যাচ্ছেন, তাকে সহযোগিতা যেন করি। আমি তখন দৈনিক সংবাদের চট্টগ্রাম ব্যুরো চীফ। নিউজ কভার করতে সাতাশি সালের বিশ জুলাই চট্টগ্রাম যাই এবং সেখানেই রয়ে যাই। বিবিসি সাংবাদিক রোহিঙ্গা নেতাদের সঙ্গে কথা বলার আগ্রহ প্রকাশ করেন। রোহিঙ্গা সলিডারিটি অর্গানাইজেশনের তৎকালীন সভাপতি সংবাদ অফিসে বসে বিবিসিকে যে সাক্ষাতকার প্রদান করেন, তাতে বলেছিলেন, রোহিঙ্গাদের মধ্যে সেই মনোবল নেই, যা থাকলে প্রতিরোধ গড়া যায়। এমনিতে তারা দেশে দুস্থ ও গরিবী হালে বসবাস করত। শরণার্থী জীবনে আরও অসহায় হয়ে পড়েছে। সুতরাং সংগঠিত শক্তি গড়ে তোলা কঠিন বলেই অর্থ ও অস্ত্র বল থাকা সত্ত্বেও মিয়ানমারের জান্তা শাসকের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়া যাচ্ছে না। রোহিঙ্গারা কখনই লড়াকু জাতি ছিল না। বরং তারা চিরকালই নিপীড়িত, নির্যাতিত, অসহায় জাতি হিসেবে পৃথিবীতে টিকে আছে। রোহিঙ্গা নেতার সেদিনের ভাষ্য স্পষ্ট করেছিল যে, উদ্বাস্তু জীবন থেকে বেরিয়ে যাওয়ার কোন পথ তাদের জন্য লৌকিকভাবে খোলা নেই। পাকিস্তান যুগে রোহিঙ্গাদের নেতা ছিলেন কাশেম রাজা। মুসলিম মুজাহিদ বাহিনী গড়ে তুলেছিলেন পাকিস্তানী সামরিক জান্তা শাসক আইউব খানের সহায়তায়। দু’একবার হামলা চালিয়েও কোন ধরনের সুবিধে করতে না পেয়ে কাশেম রাজা পাকিস্তান চলে আসেন। তিনি তার অনুগতদের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করতেন পাকিস্তানী সামরিক বাহিনীর সহায়তায়। কিন্তু পাকিস্তান তার বন্ধু চীনের চাপে এই অবস্থান থেকে সরে যায়। এমনকি কাশেম রাজাকে আটক করে কারারুদ্ধ করা হয়। তার অবর্তমানে আর কোন নতুন নেতৃত্ব গড়ে ওঠেনি। এবং তা অদ্যাবধিও নয়। ২০০৬ সাল থেকে রাখাইনে অস্থিতিশীল পরিস্থিতির কারণে অনুপ্রবেশকারীর সংখ্যা বাড়তে থাকে। বর্তমান মহাজোট সরকারের আমলেও রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ বন্ধ হয়নি। ২০০৮ সাল থেকে অদ্যাবধি সেই ধারা অব্যাহত রয়েছে। তবে এবার ব্যাপক মাত্রায় শরণার্থী আসছে। এদের আগমন দেশকে বিপর্যস্ত করে তুলছে। এবার তিন লাখ উদ্বাস্তুর অনুপ্রবেশ ভাবিয়ে তুলছে দেশবাসীসহ বিশ্ববাসীকে। কিন্তু উল্লসিত করছে বিএনপি ও জামায়াতকে। রোহিঙ্গা ইস্যুতে তারা প্রেসক্লাবের সামনে মানববন্ধন করছে। তাতে কেউ বাধা দেয়নি। দেয়ার কথাও নয়। একই ইস্যুতে সভা, সমাবেশ, মিছিল করার সুযোগও এসে গেছে। যা তাদের নির্বাচনী প্রচারণার কাজটুকু এগিয়ে নেয়ার পথ করে দিচ্ছে। এটা হতেই পারে। যা কোন দোষেরও নয়। মানবতার ডাকে সাড়া দেয়া রাজনৈতিক দলের কর্তব্য। কিন্তু রোহিঙ্গাদের কেন্দ্র করে এক ধরনের ‘ধর্মীয় জিগির’ চালানোর চেষ্টাও চলছে। রোহিঙ্গারা মুসলমান, তাই তাদের নিধন করা হচ্ছে বলে জজবা তোলা হচ্ছে। কিন্তু আগত অনুপ্রবেশকারীদের মধ্যে হিন্দু সম্প্রদায়ও রয়েছে। খ্রীস্টানও থাকতে পারে এদের মধ্যে। সুতরাং ধারণা করা যায়, ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে ‘রোহিঙ্গা’ খেদাও এবং গণহত্যা চালানো হচ্ছে। এই মুসলমানদের ধুয়া তুলে বিএনপি ফায়দা নিতে চাচ্ছে। তাদের সহায়তাকারী ধর্ম ব্যবসায়ী দলগুলো মাঠে নেমেছে ইতোমধ্যে। সমাবেশ ও মিছিল করছে। যাতে ধর্মীয় উস্কানির ভাষাও উচ্চারিত হচ্ছে। এমনকি আরাকান দখলের হুমকিও দিচ্ছে। তলে তলে এরা যে সন্ত্রাস ও জঙ্গীবাদকে মদদ দিতে পারে তাদের ভাষা তাই প্রমাণ করে। তারা দূতাবাস ঘেরাও কর্মসূচী দিয়ে চাঙ্গা হয়ে উঠতে চাচ্ছে। এমনকি আইএসের প্রতি সমর্থন ও আনুগত্য প্রকাশে এরা সম্ভবত পিছপা হবে না। তারা ক্রমশ দলে ভারি হয়ে উঠতে পারে ধর্মের জজবা ধরে। মিয়ানমারের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করে শিবির কর্মীরা ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিচ্ছে। দলে দলে লোক যাতে এগিয়ে আসে সেই আহ্বান জানাচ্ছে। সিরিয়ায় আইএস যা করেছে, এখানে তারা তা করার সুযোগ হয়তো পাবে না, কিন্তুইসলাম রক্ষার জন্য নারী-পুরুষদের এগিয়ে আসার নামে আইএস চেতনাকে সম্প্রসারিত করতে পারে। যা বিপজ্জনক এবং অবশ্যই ভয়াবহ। রোহিঙ্গা ইস্যুতে সামাজিক মাধ্যমে যেসব বক্তব্য আসছে তাতে স্পষ্ট হচ্ছে কে কোন পন্থী। জামায়াত-শিবির ও বিএনপির লোকজনের ভাষা অতীব উগ্র। আবার সরকারী দলের মধ্যে অনুপ্রবেশকারী জামায়াত-শিবিরপন্থীদের মনোভাবও স্পষ্ট হচ্ছে। ছাত্রলীগের এক কেন্দ্রীয় নেতা ফেসবুকে লিখেছেন, রোহিঙ্গা মুসলিমদের এ দেশের নাগরিক হিসেবে গ্রহণ করে বাংলাদেশের বৌদ্ধদের রাখাইনে পাঠিয়ে দিতে। তার বক্তব্য সমর্থন করেছেন এমন ব্যক্তিদের মধ্যে সংগঠনের আরও কেন্দ্রীয় নেতা রয়েছেন। ছাত্রলীগে যে শিবিরের অনুপ্রবেশ ঘটেছে বলে যে প্রচার রয়েছে এসব স্ট্যাটাস তা স্পষ্ট করে যে, বিষয়টি অসত্য নয়। মিয়ানমারের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করার জন্য ফেসবুকে এ্যাকাউন্ট খোলা হয়েছে। এসবই জঙ্গীবাদের বিকাশ ও বিস্তারের সহায়ক। রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশকারীদের সাহায্য প্রদানের নামে ধর্ম ব্যবসায়ী দল ছাড়াও ধর্মের ধ্বজাধারী অনেক এনজিও ক্যাম্পগুলোতে যাতায়াত করছে। তাদের উদ্দেশ্য মহৎ বলে মনে হলেও আসলে তা ষড়যন্ত্রমূলক তৎপরতারই অংশ। রোহিঙ্গাদের নিয়ে নানা সিন্ডিকেট গড়ে উঠছে। এদের অনেকে পাচার হয়ে যাবে অতীতের মতোই বিভিন্ন দেশে। আসন্ন সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে রোহিঙ্গা ইস্যুকে জটিল করে তোলার মধ্যে এক ধরনের ফায়দা অর্জনের অপচেষ্টাও রয়েছে। সরকারকে বেকায়দায় ফেলার জন্য দেশী-বিদেশী ষড়যন্ত্রকারীরা বিএনপি-জামায়াতের সহযোগিতায় দেশে অরাজক অবস্থা তৈরি করে অস্থিতিশীলতা বাড়াতে চাইবে। পেট্রোলবোমাকে এখন জঙ্গীতে পরিণত করার এই মোক্ষম সুযোগ হাতছাড়া করবে না তারা। জেএমবি, নতুন জেএমবি, হিযবুত তাহরীরসহ জঙ্গী সংগঠনগুলো অসহায়, দরিদ্র, অশিক্ষিত রোহিঙ্গাদের দলে ভেড়াতে সক্রিয় হতে পারে এমন সম্ভাবনা উড়িয়ে দেয়া যায় না। সরকারকে সার্বিক দিক বিবেচনায় নিয়ে দেশী-বিদেশী ষড়যন্ত্র মোকাবেলা করে সমস্যার সমাধানে এগিয়ে যেতে হবে। স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশের মানুষকেও এ ক্ষেত্রে সংগঠিত করতে হবে। জনগণকে প্রতিটি বিষয় সম্পর্কে সম্যক ধারণা দিতে হবে। রোহিঙ্গাদের সর্বনাশের এইকালে জামায়াত-বিএনপির হাওয়া বদলের পৌষমাসের অশুভ কর্মকান্ড বিষয়ে দেশ ও জাতির জন্য সতর্ক থাকার বিকল্প নেই।
×