ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

গুপ্তহত্যা ও কিছু প্রশ্ন

প্রকাশিত: ০৪:১৫, ১৬ জুন ২০১৬

গুপ্তহত্যা ও কিছু প্রশ্ন

শামীম হাসান দেশে একের পর এক গুপ্তহত্যার ঘটনা ঘটছে। কেন এসব গুপ্তহত্যা? এসব নৃশংস হত্যায় মানুষের মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করছে। এই হত্যার উদ্দেশ্যই বা কি। এর শেষ কোথায়? সম্প্রতি সন্ত্রাসী ও জঙ্গী হামলায় এর মধ্যে প্রাণ হারিয়েছেন পীর, পীরের অনুসারী, সাধু, মাজারের খাদেম, খ্রীস্টান যাজক, হিন্দু পুরোহিত, বৌদ্ধ ভিক্ষু, মুক্তমনা, ব্লগার, ছাত্র, প্রকাশক, লেখক, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, যেন বাদ নেই সাধারণ মানুষও। আর কত দিন এসব নৃশংস হত্যার ঘটনা আমাদের শুনতে হবে, দেখতে হবে। জাতির বিবেকের কাছে আমার প্রশ্ন। ৮ এপ্রিল রাতে রাজধানীর সূত্রাপুরে কুপিয়ে হত্যা করা হয় সিলেট গণজাগরণ মঞ্চের কর্মী ও জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী নাজিমুদ্দিন সামাদকে। ২৩ এপ্রিল রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক রেজাউল করিম সিদ্দিকীকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়। ২৫ এপ্রিল ঢাকার কলাবাগানে জুলহাস মান্নান এবং নাট্যকর্মী মাহবুব তনয় রাব্বিকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়। ৩০ এপ্রিল টাঙ্গাইলে দর্জি নিখিল জোয়ার্দারকে কুপিয়ে হত্যার করা হয়। ১৪ মে বান্দরবানের বৌদ্ধবিহারের ভিক্ষু মংশৈ উকে গলা কেটে হত্যা করা হয়। ২০ মে হত্যা করা হয় কুষ্টিয়ার হোমিওপ্যাথ মীর সানোয়ার হোসেনকে। ৫ জুন নাটোরে খ্রীস্টান মুদি দোকানি সুনীল গোমেজকে তার দোকানে কুপিয়ে হত্যা করা হয়। একই দিন ৫ জুন চট্টগ্রামের ওআর নিজাম রোডে কুপিয়ে ও গুলি করে হত্যা করা হয় পুলিশ সুপার বাবুল আক্তারের স্ত্রী মাহমুদা আক্তার মিতুকে। ১০ জুন পাবনার অনুকূল চন্দ্র সেবাশ্রমের কর্মী নিত্যরঞ্জন পা-েকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়। এসব হত্যার ধরন প্রায় একই রকম। এরা এমন কি অপরাধ করেছে যে তাদের বর্বর ও নৃশংসভাবে হত্যা করা হলো। এসব দুর্ধর্ষ হত্যা দেখে মনে হচ্ছে এরা কোন সাধারণ হত্যাকারী নয়। এরা প্রশিক্ষিত হত্যাকারী। এদের পেছনে আছে বড় বড় কোন গডফাদার। তারা ধরাছোঁয়ার বাইরে থেকে যাচ্ছে। যারা এসব নৃশংস হত্যার শিকার হচ্ছেন তাদের পরিবারেই বা কি অবস্থায়। প্রিয় মানুষটি হারিয়ে তারাও যেন বাকরুদ্ধ হয়ে গেছে। আর কোন দিন তাদের প্রিয় মানুষটিকে দেখতে পাবে না। আমরা কিভাবে তাদের সান্ত¡না দিয়ে রাখব। পত্রপত্রিকায় নৃশংস কোন হত্যার ঘটনা প্রকাশ হলে সেটি যখন আলোচিত খবর হয় তখন সেটাকে রাজনৈতিকভাবে নেয়া হয় বিরোধী দল সরকারী দলকে দায়ী করে। সরকারী দল বিরোধী দলকে দায়ী করে। যা প্রকৃত হত্যাকারী পার পেয়ে যাচ্ছে। এটা কোনভাবেই কাম্য নয়। সন্ত্রাসী জঙ্গী হত্যাকারীর কোন দল নেই। এরা দেশের শত্রু, জনগণের শত্রু। তবে বর্বর ও নৃশংস এসব হত্যাকারী যেই হোক একটি মুখ্য তদন্তের মাধ্যমে তা বের করা দরকার। এসব সন্ত্রাসী জঙ্গী হত্যাকরীকে দ্রুত গ্রেফতার করতে হবে। টঙ্গী, গাজীপুর থেকে
×