ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১

সত্যিকারের লৌহমানব

প্রকাশিত: ০৬:০৭, ১০ এপ্রিল ২০১৬

সত্যিকারের লৌহমানব

আপনি কি কখনও দাঁত দিয়ে শূন্যে মানুষ তুলতে পারবেন, রশি দিয়ে বেঁধে গাড়ি টেনে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করলেও অবিচল দাঁড়িয়ে থাকতে পারবেন, হাত দিয়ে কি পাথর ভাঙতে পারবেন? পারবেন না নিশ্চয়? কিন্তু ভারতের হরিয়ানা রাজ্যের বাসিন্দা আমানদীপ সিং এরই মধ্যে এসব দুঃসাহসী কাজ করেছেন। পেয়েছেন লৌহমানব খেতাব। নাম তুলেছেন ইন্ডিয়া বুক অব রেকর্ডসে। এখন গিনেজ বুকে নাম তোলার অপেক্ষায় রয়েছেন। খবরে বলা হয়েছে- হরিয়ানার কুরক্ষেত্রে জন্ম নেয়া আমান মাত্র ১০ বছর বয়সে মার্শাল আর্ট রপ্ত করেন। ৩৩ বছর বয়সে তার আয়ত্তে রয়েছে ৫০ ধরনের দুঃসাহসী শারীরিক শক্তি প্রদর্শনের কসরত। ২০০৯ সালে ফ্রাংকফিন সিং আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতায় তিনি লৌহমানব খেতাব পান। খবরে বলা হয়েছে, শরীরের ওপর দিয়ে একটি ভারি গাড়ি চলে যাওয়ার পরও অক্ষত অবস্থায় থাকেন এই লৌহমানব। একটি মোটরসাইকেল তার মাথার ওপরে উঠিয়ে ফেলতে পারেন। সেই মোটরসাইকেলের ওপর একটি শিশুকে দাঁড় করিয়ে দিলেও হাসিমুখে তিনি অবিচল দাঁড়িয়ে থাকেন। সাত থেকে আটজন যাত্রীসহ একটি জিপ রশি দিয়ে টেনে নিয়ে যেতে পারেন। আমানদীপ বলেন, ‘দর্শকরা আমাকে জানান, তারা যখন আমার কসরত দেখেন, তখন ভয় পান। কিন্তু আমি জানি না ভয় দেখতে কেমন?’ তিনি বলেন, ‘শুরুর দিকে ছোট ও সহজ সহজ কসরতগুলোর অনুশীলন করতাম। অনুশীলনের নয় বছর পর আমি এখন কোন আঘাত পাই না। বরং আমাকে লোহা দিয়ে পেটালে লোহাই ভেঙ্গে যায়। নিজেকে এমন শক্তিশালী করতে অনুশীলন করেছি।’ আমানদীপ জানান, যখন তিনি উপলব্ধি করতে পারেন লৌহমানব হতে তাকে অন্যদের চেয়ে কম পরিশ্রম করতে হবে, তখন তিনি দুঃসাহসী চমকবাজ হওয়ার সিদ্ধান্ত নেন। এখন তার কাছে শারীরিক কসরতের চেয়ে বেশি ভালবাসা আর কিছু নেই। তিনি নতুন নতুন কসরত রপ্ত করার দিকে নজর দিচ্ছেন। আমানদীপ বলেন, ‘কয়েক বছর পর আমি দুই হাজার ৫শ’ কসরত দেখাতে পারব। একজন শক্তিশালী লৌহমানব হিসেবেই আমি আমার সব শক্তি ব্যয় করি। মানুষের জন্য অসম্ভব যা, আমি সব সময় তাই করতে চাই।’ আত্মরক্ষার্থে প্রশিক্ষণ নিতে প্রতি মাসে তিন হাজার ছাত্রছাত্রী তার কাছে আসে। তিনি এখন শিখ নারী ও পুরুষদের জন্য বিশ্বমানের ব্যায়ামাগার করার স্বপ্ন দেখছেন। আমানদীপকে দেখে তার ৮ বছর বয়সী ছেলে বিশ্বদীপ সিংও লৌহমানব হওয়ার স্বপ্ন দেখছে। ছেলেটি বলেÑ ‘আমার বাবা বিশ্বের শক্তিশালী মানব। তিনি বিশ্বের সবকিছু ভেঙ্গে ফেলতে পারেন কিন্তু তাকে কেউ ভাঙতে পারে না। আমি একদিন আমার বাবার মতো হতে চাই। -ডেইলি মিরর অবলম্বনে।
×