ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১

গাইবান্ধার চরাঞ্চলের পরিবহন টাট্টু ঘোড়ার গাড়ি

প্রকাশিত: ০৩:৪৭, ২৯ ফেব্রুয়ারি ২০১৬

গাইবান্ধার চরাঞ্চলের  পরিবহন টাট্টু  ঘোড়ার গাড়ি

আবু জাফর সাবু, গাইবান্ধা ॥ তিস্তা, ব্রহ্মপুত্র এবং যমুনা নদী বেষ্টিত চরাঞ্চলের গ্রামগুলোতে শুকনো মৌসুমে নদ নদীর পানি শূন্যতায় বিশাল এলাকাজুড়ে থাকে শুধু-ই ধু ধু বালুচর। এ সময় জেলার নদী বেষ্টিত সুন্দরগঞ্জ, গাইবান্ধা, সাঘাটা ও ফুলছড়ি উপজেলার ১শ’ ২০টি চরাঞ্চলে বসবাসকারী মানুষদের যাতায়াত ও কৃষিপণ্যসহ প্রয়োজনীয় মালামাল পরিবহনে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হয়। চরাঞ্চলের যাতায়াত ব্যবস্থা নিয়ে এ অঞ্চলে একটি কথা প্রচলিত আছে আর তা হচ্ছে ‘চরে যাতায়াতে পাও, না হয় নাও’। অর্থাৎ বর্ষায় নৌকা আর শুকনো মৌসুমে হাঁটা। এছাড়া কোন বিকল্প নেই। কিন্তু এখন অবস্থা ভিন্ন। শুকনো মৌসুমে যাতায়াতের দুর্ভোগ লাঘবে ব্যবহৃত হচ্ছে ‘টাট্টু ঘোড়ার গাড়ি’। এক ঘোড়া দিয়ে ছোট ছোট মোটরের টায়ারের চাকায় চলে এসব গাড়ি। চরের বালুর ওপর দিয়ে ওই গাড়িগুলো দিব্যি চলতে পারে। প্রতিটি গাড়িতে অনায়সে ১৬ থেকে ২০ মণ কৃষিপণ্য পরিবহন করা যায়। এছাড়া চালকসহ ৫ থেকে ৬ জন যাত্রী বালুচর পেরিয়ে তাদের গন্তব্যে পৌঁছতে পারে। বালু চর ছাড়াও এসব টাট্টু ঘোড়ার গাড়িতে মেইন ল্যান্ডে এবং উপজেলা পর্যায়ের সড়কেও মালামাল পরিবহন করা হয়ে থাকে। সে ক্ষেত্রে একটা ঘোড়ায় টানা গাড়িতে পাকা সড়কে ৩০ মণ মাল টানা সম্ভব বলেও জানালেন ঘোড়ার গাড়ির চালকরা। উল্লেখ্য, জেলার সুন্দরগঞ্জ উপজেলার তারাপুর ইউনিয়নের চৈতন্য বাজার ও নিজাম খাঁ গ্রামে এসব টাট্টু ঘোড়ার গাড়ি সব চাইতে বেশি। শুধু এ দুটি এলাকাতেই চরাঞ্চলে চলাচলকারী ৩০টি ঘোড়ার গাড়ি রয়েছে।
×