ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

সাপ্তাহিক বাজার পর্যালোচনা

পুুঁজিবাজারে ৬ দশমিক ৪৬ শতাংশ লেনদেন কমেছে

প্রকাশিত: ০৪:০৭, ২৪ জানুয়ারি ২০১৬

পুুঁজিবাজারে ৬ দশমিক ৪৬ শতাংশ লেনদেন কমেছে

অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) লেনদেন সঙ্গে কমেছে সব ধরনের মূল্যসূচক। আলোচিত সপ্তাহে ডিএসইতে লেনদেন কমেছে ৬ দশমিক ৪৬ শতাংশ। তবে দীর্ঘদিন ধরে দরপতনের ফলে তলানিতে থাকা বস্ত্র খাতের কোম্পানিগুলোর আলাদা আগ্রহ তৈরি হয়েছে। ফলে দরবৃদ্ধি ও লেনদেনের শীর্ষ তালিকাতেও খাতটির প্রাধান্য দেখা গেছে। সার্বিকভাবে বিশ্বে অপরিশোধিত তেলের দর কমে যাওয়ায় পুুঁজিবাজারে দরপতনে কিছুটা আশঙ্কাও কাজ করেছে বিনিয়োগকারীদের মাঝে। জানা গেছে, আগের সপ্তাহের চেয়ে ডিএসইতে শেয়ার লেনদেন কমেছে ২০৩ কোটি ১৮ টাকার। আলোচিত সপ্তাহে ডিএসইতে শেয়ার লেনদেন হয়েছে ২ হাজার ৯৪১ কোটি ৭১ লাখ টাকার। আর আগের সপ্তাহে শেয়ার লেনদেন হয়েছিল ৩ হাজার ১৪ কোটি ৯০ লাখ টাকার। বিনিয়োগকারীদের কাছে সপ্তাহের উল্লেখযোগ্য খবরগুলোর মধ্যে ছিল মিউচুয়াল ফান্ডের রূপান্তর-অবসায়ন ইস্যুতে চলমান মামলায় স্থিতাবস্থার মেয়াদ বৃদ্ধি। এর অর্থ অন্তত জানুয়ারিতে কোন মিউচুয়াল ফান্ড অবসায়নে যাচ্ছে না। সপ্তাহ শেষে মিউচুয়াল ফান্ড খাতের বাজার মূলধন ৩ দশমিক ৯২ শতাংশ বেড়েছে। নতুন কোম্পানি আইটিসির দরে উল্লম্ফনের সুবাদে বাজার মূলধন বৃদ্ধির তালিকায় সবার উপরে ছিল তথ্য প্রযুক্তি খাত, ৮ দশমিক ২৫ শতাংশ। এর পর কাগজ-মুদ্রণ খাতের বাজার মূলধন বেড়েছে ৪ দশমিক ৫ শতাংশ। বিপরীতে সবচেয়ে বেশি কমেছে সেবা ও আবাসন খাতের বাজার মূলধন, ৭ দশমিক ৩৪ শতাংশ। ভ্রমণ ও অবকাশ খাতের কোম্পানিগুলোও গড়ে ৩ দশমিক ৬১ শতাংশ দর হারিয়েছে। ডিএসইর বাজার মূলধনে গেল সপ্তাহে বহুজাতিক ও ডিএসই ৩০ তালিকার নির্বাচিত কোম্পানিগুলোর অংশ কিছুটা বেড়েছে। অর্থনৈতিক প্রেক্ষাপটে সপ্তাহের উল্লেখযোগ্য খবর ছিল, আন্তর্জাতিক বাজারে অপরিশোধিত জ্বালানি তেলের অব্যাহত দরপতন ও বাংলাদেশের প্রধান রফতানি বাজারগুলোয় চাহিদা মন্দা ঘনীভূত হওয়ার আশঙ্কা। আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ) সম্প্রতি ইউরোপে চাহিদা আরও কমার আশঙ্কা প্রকাশ করেছে। এদিকে বিশ্লেষকরা আগের সপ্তাহে ঘোষিত মুদ্রানীতিকে সংযত ও প্রবৃদ্ধি সহায়ক মনে করলেও ঋণের চাহিদা প্রবৃদ্ধি নিয়ে বিনিয়োগকারীদের মধ্যে কিছুটা অস্বস্তি কাজ করছে। সমাপ্ত সপ্তাহে ‘এ’ ক্যাটাগরির কোম্পানির শেয়ার লেনদেন হয়েছে ৮৭ দশমিক ৯১ শতাংশ। ‘বি’ ক্যাটাগরির কোম্পানির লেনদেন হয়েছে ৫ দশমিক ৭৯ শতাংশ। ‘এন’ ক্যাটাগরির কোম্পানির শেয়ার লেনদেন হয়েছে ৫ দশমিক ৬৬ শতাংশ। ‘জেড’ ক্যাটাগরির লেনদেন হয়েছে দশমিক ৬৪ শতাংশ। এদিকে, সপ্তাহের শুরুতে সূচকে ইতিবাচক প্রবণতা থাকলেও শেষ দিকে এসে সূচকের পতন ঘটে। বেশিরভাগ কোম্পানির দর হারানোর কারণে সূচক কমেছে দশমিক ৭৯ শতাংশ বা ৩৭ দশমিক ০১ পয়েন্ট। সপ্তাহের ব্যবধানে ডিএস৩০ সূচক কমেছে দশমিক ৫৭ শতাংশ বা ১০ দশমিক ০৮ পয়েন্ট। অপরদিকে শরীয়াহ বা ডিএসইএস সূচক বেড়েছে দশমিক ১৪ শতাংশ বা ১ দশমিক ৫৬ পয়েন্টে। সপ্তাহজুড়ে ডিএসইতে তালিকাভুক্ত মোট ৩৩৩টি কোম্পানি ও মিউচুয়াল ফান্ডের শেয়ার লেনদেন হয়েছে। এর মধ্যে দর বেড়েছে ১৩৬টি কোম্পানির। আর দর কমেছে ১৭৩টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ২১টির। আর লেনদেন হয়নি ৩টি কোম্পানির শেয়ার। ডিএসইর দরবৃদ্ধির সেরা কোম্পানিগুলো হলো : এমারেল্ড অয়েল, ইউনাইটেড পাওয়ার জেনারেশন, অলটেক্স ইন্ডাস্ট্রিজ, আইটিসি, বিডি থাই, বেক্সিমকো ফার্মা, সিটি ব্যাংক, গোল্ডেন সন, ঢাকা ডাইং ও ইউনাইটেড এয়ার ওয়েজ। এদিকে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) প্রধান সূচক কমেছে দশমিক ৯২ শতাংশ। আলোচিত সপ্তাহে লেনদেন হয়েছে ১৫৬ কোটি ৮৭ লাখ টাকার শেয়ার। সিএসইর প্রধান সূচক কমেছে দশমিক ৯২ শতাংশ। আলোচিত সপ্তাহে লেনদেন হয়েছে ১৫৬ কোটি ৮৭ লাখ টাকার শেয়ার। সপ্তাহজুড়ে সিএসইতে তালিকাভুক্ত মোট ২৭৬টি কোম্পানি ও মিউচুয়াল ফান্ডের শেয়ার লেনদেন হয়েছে। এর মধ্যে দর বেড়েছে ১০৭টি কোম্পানির। আর দর কমেছে ১৫২টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ১৭টির।
×