ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ২৯ জুলাই ২০২৫, ১৪ শ্রাবণ ১৪৩২

নির্মাণের এক মাসের মাথায় সংযোগ সড়কে ধস

সংবাদদাতা, উপকূলীয় অঞ্চল, বরিশাল

প্রকাশিত: ২২:৩৩, ২৮ জুলাই ২০২৫

নির্মাণের এক মাসের মাথায় সংযোগ সড়কে ধস

সংযোগ সড়ক না থাকায় ভোগান্তিতে হাজারো বাসিন্দা

উপকূলীয় জেলা পটুয়াখালীর দশমিনায় সংযোগ সড়ক নির্মাণের একমাসে ধস দেখা দিয়েছে। এতে দুর্ভোগ ও ভোগান্তিতে পড়েছে দুই গ্রামের কয়েক হাজার জনসাধারণসহ শিক্ষার্থী। প্রকল্প বাস্তবায়ন অফিস সূত্রে জানা যায়, উপজেলার রনগোপালদী ইউনিয়নের আউলিয়াপুর এলাকায় খালের ওপর ২০২৩-২৪ অর্থ বছরে ১৫ মিটার কালভার্ট নির্মাণে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের অর্থায়নে কাজ শুরু করেন মেসার্স বরকত এন্টারপ্রাইজ নামে ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান।
কালর্ভাট ও সংযোগ সড়ক নির্মাণে ব্যয় হয় ৪০ লাখ ৫০ হাজার ৭শ’ ১১ টাকা। চলতি বছরের জুন মাসে নির্মাণ কাজ শেষ করেন ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান। কাজের শেষেই সংযোগ সড়কে ধস দেখা দিয়েছে। এতে জনসাধারণের মনে চাপা ক্ষোভ দেখ দিয়েছে। এদিকে স্থানীয়রা দাবি করছেন- কাজে অনিয়ম ও দুর্নীতির কারণে এমন হচ্ছে। সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, মাত্র এক মাস আগে কালভার্ট ও সংযোগ সড়কের কাজ শেষ হয়েছে। তবে সংযোগ সড়কে ধসের কারণে বিভিন্ন স্থানে গাছের খুঁটি পুঁতে দেওয়া হয়েছে।

কালভার্টের সংযোগ সড়ক রক্ষায় সুরক্ষা ব্লক নির্মাণ না করার কারণে ধস দেখা দিয়েছে।
এ ছাড়াও নি¤œমানের ইট দিয়ে সংযোগ সড়কটি করেছে ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান। সংযোগ সড়ক ভেঙে যাওয়ার কারণে ওই সড়কটি দিয়ে প্রতিনিয়ত যাতায়াতকারী দুই গ্রামের ১৫ থেকে ২০ হাজার মানুষের ভোগান্তি ও দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। এ বিষয়ে দশমিনা উপজেলার ২২ নম্বর আউলিয়াপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের তৃতীয় শ্রেণির শিক্ষার্থী হাফিজ জানান, এই সড়ক দিয়ে আমাদের বিদ্যালয়ে আসা যাওয়ায় ভোগান্তি হচ্ছে। কালভার্টের সংযোগ সড়ক পুনরায় সংস্কারের দাবি জানান তিনি।
কালভার্ট পারাপার করে এমন একাধিক পথচারী জানান, দুই তিনটি গ্রামের মানুষের উপজেলায় যাতায়াতের একমাত্র মাধ্যম কালভার্ট। যে কালভার্ট নির্মাণ হয় মাত্র মাস খানেক আগে। কয়েকদিনের লাগাতার বৃষ্টিতে এখন চলাচলের অনুপযোগী হয়ে আছে। এখন পর্যন্ত ঠিক করতে কেউ আসেনি। দীর্ঘদিন সংযোগ সড়কটি এমন বেহাল দশায় আমাদের দিনে ও রাতের চলাফেরা করতে সমস্যা হয়। এ বিষয়ে মেসার্স বরকত এন্টারপ্রাইজের প্রোপাইটার বরকত উল্লাহ মুঠোফোনে জানান, আমি এ বিষয়ে কিছু জানি না। সাব-কন্ট্রাক্টরের মাধ্যমে কালভার্টের নির্মাণ কাজ শেষ হয়েছে। আমি সাব-কন্ট্রাক্টরের সঙ্গে যোগাযোগ করে দেখি।
এ বিষয়ে উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা (পিআইও) মিঠুন চন্দ্র মজুমদার জানান, আউলিয়াপুর ব্রিজটি নির্মাণ কাজ জুন মাসে শেষ হয়েছে। জামানত এক বছর পর্যন্ত আছে। সেতু নির্মাণের এক বছরের মধ্যে যদি কোনো ক্ষয়ক্ষতি হয় ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে তা পুনরায় সংস্কার করা হবে।

প্যানেল হু

×