
ছবি: জনকণ্ঠ
মোঃ লালমিয়া, তারাগঞ্জ ,রংপুর। তারাগঞ্জ উপজেলায় ভেঙে যাওয়া সেই ব্রিজ কলা গাছ ও মাঠি দিয়ে সংস্কার করা হয়েছে! এর ফলে ওই ব্রিজের উপর দিয়ে চলাচলে দুর্ঘটনার আশঙ্কা আরও অনেক বেড়েছে।
গত ৩০ জুন 'দৈনিক জনকণ্ঠ ' এ ' এক বছরেও সংস্কার হয়নি ভেঙে যাওয়া ব্রিজ' শিরোনামে একটি সংবাদ প্রকাশ পায়। সংবাদ টি প্রকাশের পর কর্তৃপক্ষের নজরে আসলে তারা নিজের গা বাঁচার জন্য কলা গাছ ও মাঠি দিয়ে ব্রিজের ভাঙা অংশটি ঢেকে রাখে। এর ফলে ওই ব্রিজের ভাঙা অংশে দুর্ঘটনার আশঙ্কা বহুগুণে বেড়ে গেছে। ভাঙা অংশটি এভাবে ঢেকে রাখার কারণে দুর্ঘটনা ঘটেছেও বলে জানান সেখানকার স্থানীয় লোকজনেরা।
উপজেলার সয়ার ইউনিয়নের বুড়ীরহাট রোডের পাইকার পাড়া ও প্রামাণিক পাড়ার মাঝামাঝি স্থানে ব্রিজ টির অবস্থান। এই ব্রীজ টির উপর দিয়ে সাধারণ মানুষজন ছাড়া স্কুল-কলেজ পড়ুয়া ছাত্রছাত্রীরাও এ পথ দিয়ে তাদের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে যায়। এখানকার প্রায় ৫ গ্রামের মানুষের যাতায়াতের একমাত্র রাস্তায় অবস্থিত এই ব্রিজ টি দীর্ঘ ১ বছর থেকে এভাবে পরে থাকলেও সংস্কারের কোন পদক্ষেপ নেয়নি কর্তৃপক্ষ। এর ফলে বাধ্য হয়ে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে ভাঙা ব্রিজের ওপর দিয়ে চলাচল করছে পথচারীরা।
ব্রিজের ওপর দিয়ে মোটরসাইকেল নিয়ে পারাপারের সময় কথা হয় ওসমান গণি নামের এক পথচারীর তিনি বলেন, ' আমি নিয়মিত এই রাস্তা দিয়ে চলাচল করি। তারাগঞ্জ উপজেলা সদরে যাওয়ার একমাত্র রাস্তা আমাদের এটি। ভেঙে যাওয়ার অনেক দিন পর এলাকার লোকজনেরা বাঁশ দিয়ে মাটি দিয়ে রাখছিলো। কিন্তু কিছু দিন যেতে না যেতে সেগুলো নষ্ট হয়ে যায়। তারপর দীর্ঘ দিন ভাঙা অবস্থাতেই পরে ছিলো। ২ দিন আগে দেখি ব্রিজের ভাঙা অংশে কলা গাছের ওপর মাঠি দিয়ে রেখেছে। আর এর ফলে ভাঙা অংশে দুর্ঘটনার আশঙ্কা আরও অনেক বেড়েছে। অপরিচিত কোন লোক এই ব্রিজের ওপর দিয়ে চললে দুর্ঘটনার আশঙ্কা শতভাগ থাকবে। তাই আমাদের এলাকাবাসীর চাওয়া এই ব্রিজ টির প্রয়োজনীয় সংস্কার হউক।'
সয়ার ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আল-ইবাদত হোসেন পাইলট মোবাইল রিসিভ না করায় তার বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।তারাগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রুবেল রানা বলেন, আমি সয়ার ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান কে ব্রিজের সংস্কার কাজ ভালোভাবে করেছি ও তিনি আমাকে জননিয়েছেন যে,তিনি রড ও সিমেন্টের ঢালাই দিয়েই ব্রিজ টি সংস্কার করেছে।
ছামিয়া