ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ২৯ জুলাই ২০২৫, ১৪ শ্রাবণ ১৪৩২

পেহেলগাম জঙ্গি হামলার প্রতিশোধ নিল ভারত!

অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশিত: ০৮:০০, ২৯ জুলাই ২০২৫; আপডেট: ০৮:০২, ২৯ জুলাই ২০২৫

পেহেলগাম জঙ্গি হামলার প্রতিশোধ নিল ভারত!

ছবি: সংগৃহীত

পাকিস্তানি জঙ্গিদের দ্বারা সংঘটিত পেহেলগাম গণহত্যার ঠিক তিন মাস পর, অভিযানের মাধ্যমে মূল হোতা সুলেমানকে হত্যা করলো ভারতীয় সেনাবাহিনী। শ্রীনগরের উপকণ্ঠে দাচিগামের গভীর অরণ্যে পরিচালিত বিশেষ অপারেশন ‘মহাদেব’-এ সুলেমানের সঙ্গে নিহত হয় আরও দুই পাকিস্তানি জঙ্গি, যারা লস্কর-ই-তৈবা ও এর ছায়া সংগঠন ‘দ্য রেজিস্ট্যান্স ফ্রন্ট’-এর সদস্য।

গত এপ্রিল মাসে, জম্মু-কাশ্মীরের পেহেলগামে ছুটি কাটাতে যাওয়া ২৫ জন পর্যটকসহ ২৬ জন নিরীহ নাগরিককে গুলি করে হত্যা করে তিন সদস্যের একটি পাকিস্তানি সন্ত্রাসী দল। প্রত্যক্ষদর্শীদের চোখের সামনেই চলে এই বিভীষিকাময় হত্যাযজ্ঞ। ভারতীয় গোয়েন্দা সংস্থার মতে, পেহেলগাম হামলার মূল পরিকল্পনা করে পাকিস্তানের গুপ্তচর সংস্থা আইএসআই এবং লস্কর-ই-তৈবা, আর মাঠে নামে পাকিস্তানি স্পেশাল ফোর্সের প্রাক্তন সদস্য সুলেমান।

গোপন সূত্রে পাওয়া প্রযুক্তিগত তথ্য ও চীনা এনক্রিপ্টেড অ্যাপ ‘আল্ট্রা’-তে সিগন্যাল ট্র্যাক করে ভারতীয় গোয়েন্দা সংস্থা জানতে পারে, তিনজন জঙ্গি ‘মহাদেব পাহাড়ে’ গা ঢাকা দিয়েছে। এই তথ্যের ভিত্তিতে সেনা, সিআরপিএফ এবং জম্মু-কাশ্মীর পুলিশ একটি যৌথ অভিযান চালায়। অভিযানে উদ্ধার করা হয় একটি M4 কারবাইন, দুটি একে-৪৭ রাইফেল ও বেশ কয়েকটি গ্রেনেড।

সূত্র জানায়, সুলেমান ২০২২ সালে পাকিস্তান থেকে সীমান্ত পেরিয়ে ভারতে প্রবেশ করে এবং পেহেলগাম হামলার আগে এক সপ্তাহ ধরে ট্রাল-কুলগাম-পেহেলগাম অঞ্চলের জঙ্গলে ঘুরে বেড়ায়। তিনি ২০২৩ সালের পুঞ্চ সেনা ট্রাক হামলার সঙ্গেও জড়িত ছিলেন, যেখানে পাঁচজন সেনা নিহত হন।

জম্মু-কাশ্মীর পুলিশের প্রাথমিক সন্দেহ ছিল, হামলায় হাশিম মুসা ও আলি ভাই নামের আরও দুই পাকিস্তানি জড়িত ছিল। তবে নিশ্চিতভাবে এখন পর্যন্ত সুলেমানের নামই উঠে এসেছে। হামলায় কোনও কাশ্মীরি জঙ্গি অংশ নেয়নি।
সেনা সূত্র জানায়, এই অভিযান ভারতের জন্য শুধু একটি সফল সামরিক অভিযান নয়, বরং এটি ২৬টি নিরীহ প্রাণের প্রতিশোধ এবং সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে এক দৃঢ় পদক্ষেপ। সুলেমানের মরদেহসহ নিহত তিন জঙ্গিকে অজ্ঞাত কবরে দাফন করা হয়েছে।

মুমু ২

×