ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ২৯ জুলাই ২০২৫, ১৪ শ্রাবণ ১৪৩২

মনোনয়ন পাচ্ছেন না বিএনপির বিতর্কিতরা

মীর মোহাম্মদ জসিম

প্রকাশিত: ২৩:২০, ২৮ জুলাই ২০২৫

মনোনয়ন পাচ্ছেন না বিএনপির বিতর্কিতরা

মনোনয়ন পাচ্ছেন না বিএনপির বিতর্কিতরা 

জুলাই বিপ্লবের মাধ্যমে পট পরিবর্তনের পর বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান দলীয় সমাবেশে প্রকাশ্যে নেতাকর্মীদের উদ্দেশে বলেছিলেন আগামী নির্বাচন হবে খুবই কঠিন। নির্বাচনে আপাতদৃষ্টিতে বিএনপি ক্ষমতায় চলে এসেছে এমনটা ভাবলে দলের জন্য ক্ষতির কারণ হবে। এ জন্য দখলদারিত্ব, চাঁদাবাজি এবং নানা রকম বিতর্কিত কর্মকাণ্ড থেকে তৃণমূল থেকে শুরু করে কেন্দ্রীয় নেতাকর্মীদের বিরত থাকার নির্দেশনা দিয়েছেন তারেক রহমান।
জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির ইমেজ যাতে কোনোভাবেই ক্ষুণœ না হয় সে জন্য কঠোর হুঁশিয়ারি বার্তা দিয়েছেন তারেক রহমান। কিন্তু তার নির্দেশনা উপেক্ষা করে সারা বাংলাদেশে বিএনপির একটি অংশ বিতর্কিত কর্মকা-ে নিজেদের জড়িয়েছেন। স্থানীয় মনোনয়ন প্রত্যাশী প্রভাবশালী এবং কিছু কেন্দ্রীয় নেতার শেল্টারে দখলদারিত্ব, চাঁদাবাজি এবং নানা রকম বিতর্কিত কর্মকা-ে জড়িয়ে পড়ায় ইতোমধ্যে দলের ইমেজ ক্ষুণœœ হয়েছে। 
এ জন্য এসব নেতার তথ্য সংগ্রহ করছে বিএনপির একাধিক বিশেষ টিম। বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান কোনোভাবেই বিতর্কিত কাউকে আগামী নির্বাচনে মনোনয়ন দেবেন না বলে জানিয়েছেন বিএনপি নেতারা। তারা বলেছেন, যারা তারেক রহমানের নির্দেশনা অমান্য করে দলের ইমেজ ক্ষুণœ করছেন তাদের ব্যাপারে জিরো টলারেন্স। তারা এলাকায় কিংবা দলে যত বড় প্রভাবশালীই হোন না কেন আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তাদের কোনোভাবেই মনোনয়ন দেবেন না তারেক রহমান। 
বিএনপির দপ্তর থেকে পাওয়া তথ্য মতে, গত বছরের ৫ আগস্টের পর থেকে এ পর্যন্ত নানা অভিযোগে বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের তিন হাজার ২২৩ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে মূল দল বিএনপির নেতাকর্মী রয়েছেন এক হাজার ৮০০ জন। তাদের মধ্যে ৮০০ জনকে বহিষ্কার, ৫০ জনের পদ স্থগিত, ৭০০ জনকে কারণ দর্শানো নোটিস, ১০০ জনকে সতর্ক এবং ১৫০ জনকে সাংগঠনিক শৃঙ্খলা ভঙ্গের নোটিস দেওয়া হয়েছে। 
একইভাবে ছাত্রদলের প্রায় ৪০০ জন বহিষ্কার ও ছয় শতাধিক নেতাকর্মীকে কারণ দর্শানো নোটিস, স্বেচ্ছাসেবক দলের অন্তত ১০০ নেতাকর্মী বহিষ্কার ও ১৫০ জন কারণ দর্শানো নোটিস পেয়েছেন। যুবদলেরও দুই শতাধিক নেতাকর্মীকে বহিষ্কার করা হয়েছে।
সূত্র জানায়, মনোনয়ন প্রদানের ক্ষেত্রে ২০০১, ২০০৮, ২০১৪ ও ২০১৮ সালের নির্বাচনে অংশ নেওয়া এবং মনোনয়ন প্রত্যাশীদের বর্তমান অবস্থানও পর্যালোচনা করা হচ্ছে।

যাকে মনোনয়ন দিলে সাধারণ ভোটাররা খুশি হবেন, এমন প্রার্থীর হাতেই এবার নির্বাচনের চূড়ান্ত টিকিট তুলে দেবে বিএনপি। এক্ষেত্রে কিছু মৌলিক নীতি অনুসরণ করা হবে। এ জন্য দলীয় প্রার্থী মনোনয়ন দেওয়ার ক্ষেত্রে নীতি হিসেবে তিনটি যোগ্যতা অন্যতম মানদ- হিসেবে দাঁড় করানো হয়েছে। 
গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের লড়াই-সংগ্রামে দেশ ও দলের জন্য যে প্রার্থী সবচেয়ে বেশি ত্যাগ স্বীকার করেছেন, যিনি সততার পরীক্ষায় উত্তীর্ণ এবং এলাকার মানুষের কাছে একজন ভালো মানুষ হিসেবে সুপরিচিত এবং ভোটের রাজনীতিতে যিনি তার এলাকায় বেশি জনপ্রিয়। দলটির দায়িত্বশীল একাধিক সূত্র এমন মাপকাঠির কথা নিশ্চিত করেছেন।
এ ছাড়া জানা যায়, এবারের মনোনয়ন প্রদানের ক্ষেত্রে তরুণ প্রার্থীরা অগ্রাধিকার পেতে পারেন। আবার দলের বৃহত্তর স্বার্থের কথা বিবেচনা করে নবীন-প্রবীণের চমৎকার সমন্বয় ঘটিয়ে প্রার্থী তালিকা চূড়ান্ত করা হবে। তবে কোনোভাবেই চাঁদাবাজ এবং বিতর্কিত নেতাদের মনোনয়ন দেওয়া হবে না।
৫ আগস্ট দেশে পটপরিবর্তনের পর থেকেই নির্বাচনমুখী প্রস্তুতি শুরু করেন দলটির হাইকমান্ড। এরই মধ্যে অত্যন্ত গোপনে সারাদেশে একটি অরাজনৈতিক সংগঠনের উদ্যোগে মাঠ পর্যায়ের জরিপ পরিচালনা করা হয়েছে। সামনে আরও কয়েকটি সংগঠনের উদ্যোগে পৃথকভাবে এ জরিপ পরিচালনা করা হবে। গত মার্চে আরেক অরাজনৈতিক বিদেশি সংস্থার মাধ্যমে সারাদেশে লক্ষাধিক মানুষের ওপর একটি জরিপ পরিচালনা করে বিএনপি।
জরিপের তথ্য মতে, ইতোমধ্যে সাংগঠনিক শাস্তি পুনর্বিবেচনা বা তুলে নেওয়ার জন্য প্রায় দেড় হাজার আবেদন জমা পড়েছে। এর মধ্যে প্রায় ২০০ আবেদন আছে যারা উল্লিখিত ঘটনার সঙ্গে সম্পৃক্ত নন বলে প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে। তাদের অনেকের ক্ষেত্রে দলের স্থানীয় নেতারাও লিখিতভাবে কেন্দ্রকে জানিয়েছেন। এখন পর্যন্ত চালানো তদন্তে অভিযোগের প্রমাণ না পাওয়া নেতাকর্মীর হার ১৩ শতাংশের মতো। 
এসব জরিপের বাইরে তারেক রহমানের বিশ্বস্তদের দিয়ে গঠন করা হয়েছে একটি নির্বাচনী ডাটাবেজ সেল। 
তথ্য মতে, বিগত নির্বাচনে দলীয় প্রার্থী ছাড়াও মনোনয়ন প্রত্যাশীর বিষয়ে তথ্যভা-ার তৈরি করছেন। ওই তথ্যের মধ্যে প্রত্যেক মনোনয়ন প্রত্যাশীর আমলনামা, সামাজিক অবস্থান ও মর্যাদা, জনসমর্থন, নেতাকর্মীদের সমর্থন ছাড়াও প্রতিপক্ষ সম্ভ্যাব্য প্রার্থীর অবস্থান, জনসমর্থন, পরিচিতি এবং তার দুর্বল দিকগুলো উল্লেখ করা হচ্ছে। অন্যদিকে জনপ্রিয়তায় সবচেয়ে বেশি এগিয়ে থাকা বিএনপির মনোনয়ন প্রত্যাশীর দুর্বল দিকগুলো উল্লেখসহ সেগুলো কিভাবে উত্তরণ ঘটানো যায় তার সুপারিশ করা হয়েছে সেখানে। এর মধ্যে সাংগঠনিক দুর্বলতা, দলীয় কোন্দলকেই বেশি প্রাধান্য দেওয়া হয়েছে বলে জানা গেছে। 
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী জনকণ্ঠকে বলেন, আমরা ৫ হাজারের মতো বহিষ্কার করেছি। প্রয়োজনে আরও ৫ হাজার বহিষ্কার করব। তার পরেও জিয়াউর রহমানের আদর্শেই বিএনপি চলবে। এ দলে আমরা আর কোনো চাঁদাবাজ, বিতর্কিত লোকদের স্থান দেব না। সরাসরি চাঁদাবাজি করেছেন কিংবা চাঁদাবাজদের প্রমোট করেছেন এমন লোক যত শক্তিশালীই হোক আমরা কোনোভাবেই আগামী নির্বাচনে দলের মনোনয়ন দেব না।
তবে যাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত হবে তাদের কোনো ছাড় দেওয়া হবে না বলে জানিয়েছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। তিনি বলেন, বিএনপি তার স্বচ্ছ ইমেজ ধরে রাখার স্বার্থে অভিযুক্তদের কোনো ছাড় দেবে না। শৃঙ্খলা বজায় রাখতে শূন্য সহনশীলতা নীতিতে অটল বিএনপি। তবে যারা নিরপরাধ প্রমাণিত হবেন তাদের বিরুদ্ধে নেওয়া সাংগঠনিক ব্যবস্থা তুলে নেওয়া হবে।
আর যাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত হবে তারা আগামী নির্বাচনে দলীয় কোনো টিকিট পাবেন না। সকল জরিপের তথ্য হাতে আসার পর দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবেন বলে তিনি জানিয়েছেন। 
রাজশাহী বিভাগের বিএনপির সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক আমিরুল ইসলাম খান আলিম জনকণ্ঠকে বলেন, দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের কঠোর নির্দেশনা হলো দলের ইমেজ ক্ষুণœ করেছেন এমন নেতাদের তালিকা করতে। তাদের আগামী নির্বাচনে কোনোভাবেই দলের টিকিট দেওয়া হবে না । 
বিএনপি সাধারণ মানুষের ভালোবাসার দল। শহীদ জিয়ার আদর্শকে প্রতিষ্ঠিত করতে চায় বিএনপি। চাঁদাবজি, দখল এবং বিতর্কিত কর্মকা-কে বিএনপি প্রশ্রয় দেবে না। এসব কর্মকা-ের সঙ্গে জড়িতদের বিএনপি প্রমোট করবে না।
শতাধিক ক্লিন ইমেজের প্রার্থীকে গ্রিন সিগন্যাল ॥ বিএনপির সূত্রে জানা গেছে, দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে বিএনপির ক্লিন ইমেজের শতাধিক নেতাকে নির্বাচনি প্রস্তুতির জন্য গ্রিন সিগন্যাল দিয়েছেন। তবে তাদের মধ্যে যদি কেউ বিতর্কিত কর্মকা-ে নিজেকে জড়ান তা হলে তাদের ক্ষেত্রেও কঠোর অবস্থানে যাবে দল। মানে তারা দলীয় মনোনয়ন পাবেন না।

দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান সম্ভাব্য প্রার্থীদের ভিডিও কলে অংশ নিয়ে যার যার এলাকায় কাজ করার জন্য নির্দেশ দিয়েছেন বলে জানা গেছে। চূড়ান্ত যাচাই-বাছাই শেষ হলে পর্যায়ক্রমে ৩০০ প্রার্থীকে সবুজ সংকেত দেওয়া হবে। একই সঙ্গে সমমনা রাজনৈতিক দলের নেতাদের সঙ্গেও তিনি কথা বলেছেন। 
সবাইকে ভোটের কারচুপি, জালিয়াতি, কেন্দ্র দখল, ফল ছিনতাইসহ সব ধরনের ইলেকশন ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের বিরুদ্ধে সতর্কতামূলক পূর্ণ প্রস্তুতি গ্রহণের নির্দেশনা দিয়েছেন হাইকমান্ড। একই সঙ্গে নিজেদের জনগণের কাছে আরও বেশি যাওয়ার ওপরও গুরুত্ব দিয়েছেন। 
তাদের তারেক রহমান বলেছেন, জনগণই হচ্ছে বিএনপির শক্তি। সুতরাং জনগণের বিপদ আপদে কাছে থেকে তাদের সমর্থন আদায় করতে হবে।  তারেক রহমান দলীয় নেতাকর্মীদের প্রতি দেওয়া নির্দেশনায় বলেছেন, সন্ত্রাসী-অপরাধীদের কোনো দল নেই। এদের কাউকেই কোনো ছাড় দেওয়া হবে না। এরা যে দলেরই হোক তাদের ধরে আইনের হাতে তুলে দিতে হবে।

পাশাপাশি দল ও অঙ্গসংগঠনের সর্বস্তরের ইউনিট-কমিটির নেতাদের কঠোরতার সঙ্গে শৃঙ্খলা বজায় রাখতে হবে। সবাইকে মনে রাখতে হবে, বিএনপি শতভাগ একটি গণতান্ত্রিক দল। আওয়ামী লীগের মতো ফ্যাসিজমে বিশ্বাস করে না। এ ক্ষেত্রে দল ও অঙ্গসংগঠনের বিভিন্ন স্তরের কমিটির নেতা-কর্মীদের কর্মকা-ের দায় সংশ্লিষ্ট কমিটির নেতাদের নিতে হবে।
তরুণ নেতাদের প্রাধান্য ॥ নির্বাচনী  সেলের সঙ্গে সম্পৃক্ত একজন জনকণ্ঠকে জানান, এবারের নির্বাচনে তারা অপেক্ষাকৃত তরুণ নেতাদের একটু বেশি প্রাধান্য দেওয়া হতে পারে। যারা বিগত দিনের আন্দোলন-সংগ্রামে সবচেয়ে বেশি সক্রিয় ছিলেন, এলাকায় পরিচ্ছন্ন অবস্থান রয়েছে, বিগত দিনে মামলা-হামলায় নির্যাতিত হয়েছেন, নেতাকর্মীদের পাশে ছিলেন, দলের প্রতি শতভাগ আনুগত্য ছিলেন তারা এবারের মনোনয়ন নির্বাচনে অনেক বেশি এগিয়ে থাকবেন।
ক্ষমতায় গেলেও বিতর্কিত কর্মকা- করলে দমন ॥ বিএনপি যদি ক্ষমতায় যেতে পারে সেক্ষেত্রে যারা দলের সুনাম ক্ষুণœ করবে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান গ্রহণ করবে দলটি। চাঁদাবাজি, দখলদারিত্ব কিংবা দেশ ও জনগণের জন্য ক্ষতিকারক এমন কোনো কাজ করলে যত বড় নেতা বা প্রভাবশালীই হোক তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবে বিএনপি। প্রয়োজনে তাদেরকে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে তুলে দেয়া হবে। 
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী জনকণ্ঠকে বলেন, বিএনপি চায় এমন একটি শাসনব্যবস্থা যেখানে জনগণের শাসন থাকবে। কেউ কারও ওপর জুলুম করবে না, অন্যায় করবে না। বিএনপি যদি ক্ষমতায় যেতে পারে এবং দলের কোনো নেতা বিতর্কিত কাজ করেন তা হলে তাদেরও কঠোর হস্তে দমন করা হবে।   
বিতর্কিতদের চান না জেলা নেতারাও ॥  পঞ্চগড় জেলা বিএনপির সদস্য সচিব ফরহাদ হোসেন আজাদ জনকণ্ঠকে বলেন, আমরা তৃণমূলে যখনই কোনো অনিয়ম, বিতর্কিত কর্মকা-ের অভিযোগ পাই তদন্ত সাপেক্ষে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নিয়ে থাকি। ইতোমধ্যে অসংখ্য নেতাকর্মীকে শোকজ এবং বহিষ্কার করেছি। তবে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আমরা চাই সারা বাংলাদেশে পরিচ্ছন্ন এবং ভালো ইমেজের প্রার্থীরা মনোনয়ন পাক। ক্লিন ইমেজের প্রার্থী দিলে আশা করি বিএনপি বিপুল ভোটের ব্যবধানে ক্ষমতায় যাবে।  
ভোলা জেলা বিএনপির সদস্য সচিব রাইসুল আলম বলেন, শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান একজন সৎ এবং ক্লিন ইমেজের রাষ্ট্রনায়ক ছিলেন। আমরা তার আদর্শকে ধারণ করে রাজনীতি করি। আমরা আশা করি ক্লিন ইমেজের নেতারাই আগামী নির্বাচনে দলীয় মনোনয়ন পাবেন। এটি তৃণমূলের সকল নেতাকর্মীর প্রাণের দাবি।

প্যানেল হু

×