
বাংলাদেশের সরকারি চাকরি ও দুর্নীতি দমন কমিশনে (পিএসসি ও দুদক) শীর্ষ পদে নিয়োগের ক্ষেত্রে রাজনৈতিক প্রভাব ও দলীয়করণের অবসান ঘটাতে চায় সরকার গঠিত নির্বাচন কমিশন পুনর্গঠন বিষয়ক বিশেষজ্ঞ কমিটি। এজন্য তারা সুপারিশ করেছে একটি নিরপেক্ষ “সার্চ ও সিলেকশন বোর্ড” গঠনের, যার মাধ্যমে পিএসসি ও দুদক এর মতো সংস্থার কমিশনার নিয়োগ করা হবে।
সাবেক সিনিয়র সচিব আখতার হোসেন সম্প্রতি এক আলোচনায় বলেন “সরকারি নিয়োগে দলীয়করণ শুরু হয়েছে স্বাধীনতার পরপরই, যা এখন পর্যন্ত চলছে। এ থেকে বের হতে হলে নিয়োগে নিরপেক্ষতা নিশ্চিত করতে হবে।”
তিনি জানান, বিগত ৫২ বছরে সব সরকারই নিজেদের অনুগতদের পিএসসি, দুদক, তথ্য কমিশনসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে বসিয়েছে। এই সংস্কৃতি বন্ধ না হলে জনগণের আস্থা অর্জন সম্ভব নয়। এজন্য একটি "সার্চ ও সিলেকশন বোর্ড" গঠনের কথা বলা হয়েছে, যা নিয়োগপ্রক্রিয়াকে দলনিরপেক্ষ ও স্বচ্ছ করবে।
আখতার হোসেনের ভাষায়, “আমরা প্রস্তাব দিয়েছি যেন নিয়োগ প্রক্রিয়ায় একজন বিচারপতি, একজন সমাজবিজ্ঞানী, সাবেক আমলা, বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকসহ একাধিক সদস্য থাকেন, যারা কোনো রাজনৈতিক দলের সদস্য নন। তাঁরা যাচাই-বাছাই করে যোগ্যদের নাম সুপারিশ করবেন।”
কমিটির এই প্রস্তাবে আওয়ামী লীগ, জাতীয় পার্টি, বিকল্পধারা, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ ও নাগরিক ঐক্য ইতিবাচক মত দিলেও বিএনপি আপত্তি জানিয়েছে সংবিধান সংশোধন লাগবে বলে। তবে আখতার হোসেন মনে করেন, এই সংবিধান সংশোধন “দলীয় সরকারের অধীনেই সম্ভব।”
তিনি বলেন, “আমরা এমন সুপারিশ করেছি, যাতে সরকার ও বিরোধী দল উভয়ই একমত হতে পারে। শুধু নির্বাচন নয়, সুশাসনের জন্যও এসব প্রতিষ্ঠানে দলীয় প্রভাবমুক্ত নিয়োগ জরুরি।”
Jahan