
বগুড়ার শেরপুর উপজেলায় করতোয়া ও বাঙালি নদীর ভয়াল ভাঙনে আজ চোখের সামনে ভেসে যাচ্ছে মানুষের স্বপ্ন। খানপুর, সুঘাট ও মির্জাপুর ইউনিয়নের শত শত পরিবার দিশেহারা। নদীর পেটে গিয়েছে ফসলি জমি, বসতবাড়ি, স্কুল, মসজিদ, মাদ্রাসা আর প্রিয়জনদের কবরস্থান—সব কিছু।
সরেজমিনে দেখা গেছে, খানপুরের বড়ইতলী গ্রামের ২৫০ মিটার এবং বিলনোথার গ্রামের ৪০০ মিটার ভেঙে পড়েছে নদীতে। এক সপ্তাহেই বিলীন হয়েছে শতাধিক বিঘা জমি। ভাঙনের মুখে বড়ইতলী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, মসজিদ, মাদ্রাসা, এমনকি শত বছরের কবরস্থান।
এক হাতে চোখের পানি মুছে, অন্যদিকে ভারী কান্না কন্ঠে, স্থানীয়রা বলছেন প্রতি বছর এমন ভয়াবহ ভাঙ্গনে আমরা এখন দিশেহারা। হারিয়ে ফেলেছি ঘরবাড়ি সহ ফসলী জমি। ছেলেমেয়েদের মুখে খাবার দিব কিভাবে।
বিলনোথার গ্রামের হোসেন আলীর চোখেও একই হতাশা, “ভাঙন থামছে না, আর সরকারও দেখছে না। এভাবেই কি বাঁচবো আমরা?” শইলমারির ফজল জানালেন, “পাঁচ কোটি টাকা খরচ করে জিও ব্যাগ ফেলেছিল, কিন্তু নদী তো তা শুনছে না।”
প্রতিবছর কাগজে-কলমে প্রকল্প আর প্রতিশ্রুতির বন্যা বয়ে যায়। বাস্তবে আসে শুধু পানির স্রোত আর ঘর হারানোর আর্তনাদ। স্থানীয়দের একটাই দাবি, চাই স্থায়ী বাদ চাই নিরাপদ জীবন যাতে একমুঠো খাবার জোগাড় করতে পারি সেই ফসলী জমি থেকে এবং নিশ্চিন্তে বসত বাড়িতে থাকতে পারি আমরা এই রাক্ষুসে নদী থেকে রক্ষা পেতে চাই।
এদিকে পানি উন্নয়ন বোর্ড জানায়, ভাঙনকবলিত এলাকা পরিদর্শন করে রিপোর্ট পাঠানো হয়েছে। খুব তাড়াতাড়ি এটি সংস্কারের কাজ শুরু করা হবে। তবে স্থানীয়রা বলছেন অতি দ্রুতই আমরা কাজ দেখতে চাই। এখনই সংস্কার না করা হলে আগামী বর্ষায় অবশিষ্ট আর কিছুই থাকবে না।
রাজু