
সড়কে কালভার্ট ভেঙে যান চলাচল বন্ধ
রাজশাহীর চারঘাট উপজেলার গুরুত্বপূর্ণ নন্দনগাছী-বানেশ্বর সড়কের কালভার্ট ভেঙে যান চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে। পায়ে হেঁটেও ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করতে হচ্ছে পথচারীদের। এ অবস্থায় অনেক দূর ঘুরে বিকল্প পথে চলাচল করছে যানবাহন।
গত ৪ দিন ধরে সড়কটি এমন বেহাল অবস্থার সৃষ্টি হলেও মেরামতের উদ্যোগ গ্রহণ করেনি সংশ্লিষ্ট দফতর। ফলে দুই পাড়ের প্রায় ৮/১০টি গ্রামের মানুষ রাস্তাটি নিয়ে চরম বেকায়দায় পড়েছেন। স্থানীয়রা জানান, জেলার চারঘাটের নিমপাড়া ইউনিয়নের নন্দনগাছী থেকে বানেশ্বরসহ রাজশাহী শহরের সঙ্গে যোগাযোগের একমাত্র সড়কটি অতিরিক্ত বৃষ্টির কারণে ভেঙে পড়েছে। এতে ওই রাস্তা দিয়ে চলাচলকারী সব ধরনের যানবাহন বন্ধ রয়েছে। ফলে স্কুল-কলেজগামী শিক্ষার্থী ও পথচারীরা চরম বেকায়দায় পড়েছেন। তারা আরও জানান, পায়ে হেঁটে রাস্তা পারাপার করতে পারলেও সব ধরনের যানবাহন বন্ধ রয়েছে। এতে জরুরি প্রয়োজনে রোগীসহ হালকা বা ভারী যানবাহন চলাচল করতে গিয়ে বেকায়দায় পড়ছে। ভাঙা সড়ক পর্যন্ত গিয়েও ফিরে এসে বিকল্প রাস্তা দিয়ে ঘুরে গন্তব্যে পৌঁছতে হচ্ছে। গত চারদিন ধরে ওই সড়কে চলাচলকারী ৮/১০টি গ্রামের কয়েক লাখ মানুষের দুর্ভোগ এখন চরম পর্যায়ে পৌঁছেছে। এ সড়ক দিয়ে চলাচলকারী মিনি ট্রাকের চালক রবিউল ইসলাম বলেন, মাল বোঝাই ট্রাক নিয়ে রাজশাহী থেকে নন্দনগাছী যাওয়ার সময় এসে দেখি রাস্তাটি ভেঙে গেছে। এখন বিকল্প রাস্তা দিয়ে নন্দনগাছী বাজারে মালামাল পৌঁছাতে চরম বেকায়দায় পড়েছি। গুরুত্বপূর্ণ এ রাস্তাটি দ্রুত মেরামতের দাবি জানান তিনি। ওই রাস্তা দিয়ে চলাচলকারী আবু সাঈদ হিরু নামের একজন বলেন, গুরুত্বপূর্ণ এ রাস্তাটি ভেঙে যাওয়ায় জরুরি প্রয়োজনে বানেশ্বর ও রাজশাহী যেতে চরম বেগ পেতে হচ্ছে। অনেকেই রাস্তাটি ভেঙে যাওয়ার খবর জানতে না পেরে এ রাস্তায় এসে বিপাকে পড়ছেন। তারা বিকল্প রাস্তা দিয়ে পুঠিয়া হয়ে ঘুরে যাচ্ছেন। এতে সময় ও অর্থ দুটোই খরচ বাড়ছে। এ বিষয়ে যোগাযোগ করা হলে চারঘাট উপজেলা প্রকৌশলী রতন কুমার ফৌজদার বলেন, ক্ষতিগ্রস্ত জায়গায় একটি কালভার্ট ছিল। সেটির এক পাশ ভেঙে গেছে। সেটির কাজ শুরুর আগেই লাগাতার বৃষ্টির কারণে অপর পাশও ভেঙে গেছে। তিনি বলেন, পথচারী পারাপারের ব্যবস্থা করা হয়েছে। তবে সব ধরনের যানবাহন চলাচল বন্ধ রয়েছে। দ্রুত সময়ের মধ্যে সড়কটি মেরামত করে যানবাহন চলাচলের ব্যবস্থা করা হবে বলে জানান তিনি।
প্যানেল