
ছবি: জনকণ্ঠ
রাজশাহী মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলর (ভিসি) প্রফেসর ডা. মোহা. জাওয়াদুল হক বলেছেন, পৃথিবীতে যত ভাল কাজ আছে, এরমধ্যে বৃক্ষরোপণ অন্যতম সর্বোত্তম ভাল কাজ। তিনি বলেন, পৃথিবীতে আমাদের বেঁচে থাকাটা সম্পূর্ণ নির্ভর করছে গাছের ওপর। আমরা অক্সিজেন ছাড়া কোনোভাবে বাঁচতে পারব না। প্রতিদিন যে খাবার খাই, প্রায় হান্ড্রেড পার্সেন্টই আমরা গাছ থেকে খাই। আমরা বিছানায় শুয়ে থাকি, খাট-আসবাব এগুলো গাছ থেকে পাই। পৃথিবীতে বেঁচে থাকার জন্য যা কিছু দরকার, আমরা পরম বন্ধু গাছ থেকে পাচ্ছি।
বৃহস্পতিবার স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন ‘ব্রাইট লাইফ ভলান্টিয়ার্স’র আয়োজনে বৃক্ষরোপন কর্মসূচিতে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। এদিন গ্র্যাজুয়েট নার্স ও স্টুডেন্ট নার্সদের নিয়ে গঠিত ওই সংগঠনের ব্যানারে মাসব্যাপী কর্মসূচির সমাপনী অনুষ্ঠিত হয়।
এ কর্মর্সূচিতে রামেবি ভিসি আরো বলেন, আমরা যে কাজই করি না কেন, আমাদের নিজেদের স্বার্থ একটু লুকায়িত থাকে। কিন্তু পৃথিবীতে একমাত্র গাছ স্বার্থহীনভাবে অন্যকে সহায়তা করে। গাছ কোনোদিন প্রতিদান চায় না কারও কাছে। বৃক্ষরোপণ স্বর্গীয় একটি কাজ। পৃথিবীর ভাল কাজের ভাল কাজ এটি।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন, রামেবির রেজিস্ট্রার প্রফেসর ডা. মো. হাসিবুল হোসেন ও কোষাধ্যক্ষ প্রফেসর ডা. মো. জাকির হোসেন খন্দকার। কর্মসূচিতে সভাপতিত্ব করেন ব্রাইট লাইফ ভলান্টিয়ার্সের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি মো. আমানুল্লাহ আমান। এছাড়া রাজশাহী নার্সিং কলেজের শিক্ষক আকতারা বেগমসহ অন্যান্য শিক্ষকরা উপস্থিত ছিলেন।
এদিন রাজশাহীর বিভিন্ন নার্সিং কলেজের বিএসসি, ডিপ্লোমা ও মিডওয়াইফারি কোর্সের শিক্ষার্থী এবং রাজশাহী মেডিকেল কলেজ ক্যাম্পাস হাইস্কুলের ছাত্রছাত্রীদের হাতে বৃক্ষ উপহার তুলে দেওয়া হয়। এরপর রামেবি প্রাঙ্গণে রোপণ করা হয় উন্নত জাতের আমগাছ।
সংগঠনটির সভাপতি আমানুল্লাহ আমান জানান, মাসব্যাপী কর্মসূচিতে রোপণ করা ও উপহার দেওয়া হয় বিভিন্নজাতের গাছের চারা। এরমধ্যে আম, জাম, কাঁঠাল, পেয়ারা, ডালিম, খেঁজুর, লেবু, তেঁতুল, জলপাই, আমলকি, মেহগনি, কদবেল, নিম, কৃষ্ণচূড়া, নয়নতারা, বহরা, ছাতিম, দেবদারু ও জারুল গাছ ছিল উল্লেখযোগ্য।
তিনি জানান, গত ২৪ জুন তাদের কর্মসূচি শুরু হয়। কর্মসূচির অংশ হিসেবে জেলার বিভিন্ন উপজেলায় বৃক্ষরোপন ও বৃক্ষচারা বিতরণ করা হয়।
ছামিয়া