ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ১৬ জুলাই ২০২৫, ১ শ্রাবণ ১৪৩২

হাঁটু পানি পেরিয়ে অফিস-স্কুল, বৃষ্টিতে স্বাভাবিক জীবন থমকে যায় আব্দুল্লাহপুরে

এলেন বিশ্বাস, কন্ট্রিবিউটিং রিপোর্টার, ঢাকা 

প্রকাশিত: ০০:৪২, ১৬ জুলাই ২০২৫; আপডেট: ০০:৪৩, ১৬ জুলাই ২০২৫

হাঁটু পানি পেরিয়ে অফিস-স্কুল, বৃষ্টিতে স্বাভাবিক জীবন থমকে যায় আব্দুল্লাহপুরে

উত্তরার আব্দুল্লাহপুরে প্রতিদিনই ঘটছে দুর্ঘটনা, নষ্ট হচ্ছে যানবাহন, নষ্ট হচ্ছে সাধারণ মানুষের মূল্যবান জিনিসপত্র, উল্টে যাচ্ছে ছোট বড় পরিবহন, আহত হচ্ছে যাত্রী। এতে দিনদিন বাড়ছে ক্ষতির সংখ্যা। হালকা বৃষ্টিতে তলিয়ে থাকা সড়কে খাদে পানি জমে থাকায় বুঝার উপায় নেই কোথায় খাদ। ফলে অহরহ হচ্ছে দুর্ঘটনা ও জানজট।  


ঢাকা ময়মনসিংহ মহাসড়কের টংগী ও  উত্তরবঙ্গ থেকে সাভার আশুলিয়া হয়ে  ঢাকাগামী পরিবহন চলাচলের একমাত্র গুরুত্বপূর্ণ সংযোগ স্থল উত্তরার আব্দুল্লাহপুর। সেই আব্দুল্লাহপুরী এখন মৃত্যু নগরীতে পরিণত হয়েছে। আব্দুল্লাহপুর সড়কের বেহাল দশা। ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে সাধারণ  মানুষদের। এই সুজুক কাজে লাগিয়ে পকেটমার ও ছিনতাইকারী চক্রের সদস্যরা আরো সক্রিয় হয়ে উঠেছে। 
রাস্তায় পানি জমে থাকায় গাড়িগুলো ভালো রাস্তা খুঁজতে গিয়ে সারিবদ্ধভাবে ধীরগতিতে চলাচল করেন। পায়ে হাঁটা পথচারীরা সবচেয়ে বেশি বিপাকে পড়েন কেননা গাড়ির চাকার সাথে ময়লা পানি গুলো ছিটকে এসে জামা কাপড় নষ্ট করেন।


মঙ্গলবার (১৫ জুলাই) সরেজমিনে দেখা যায় একটি সিএনজি সড়কের উপর উল্টে হয়ে পড়ে আছে" সাথেই দাড়িয়ে আছেন নোংরা পোশাকে আব্দুর রাজ্জাক (৪৫) নামক একজন যাত্রী। জিজ্ঞেস করতেই বলে উঠেন  রাস্তা পানিতে তলিয়ে থাকার কারণে সিএনজি উল্টে গেছে, আমার পাসপোর্টটি ভিজে গেছে আমি বিমানবন্দর যাচ্ছিলাম দেশ কবে ভালো হবে, হয়তো মৃত্যুর পর। 

এছাড়াও কথা হয় ময়মনসিংহ থেকে মোটরসাইকেল যোগে আসা মোটরসাইকেল আব্দুল মালেকের সঙ্গে, তিনি বলেন, আমার ছেলে ইমনের বয়স একবছর স্ত্রী ও সন্তানকে নিয়ে শ্বশুরবাড়ি থেকে আসছিলাম দেখলাম রাস্তায় পানি মহাসড়ক রাস্তা ভালোই আছে, তাই স্ত্রী ও  সন্তানকে নিয়ে মোটরসাইকেল নিয়ে সামনে এগুতেই পড়ে গেলাম। দেখতে পাচ্ছি না উঁচু নিচু না সমান্তরাল রাস্তা কিছুই বুঝার উপায় 
নেই,সড়কের বেহাল দশা থাকায়, একদিকে  সড়কে প্রতিবন্ধকতা, আর অপরদিকে ট্রাফিক পুলিশের যানজট নিরসনে তাড়া। নিরূপায়ণ হয়ে চোখ বন্ধ করে শুধু গাড়ি টানছি। গাড়িতে বসা অনেক যাত্রীরাই গাড়ির সাথে মাথা টাক খাচ্ছে। 


ধউর বেরিবাধ হয়ে আব্দুল্লাহপুর প্রবেশের আগেই হোয়াইট প্যালেসের হোটেলের সামনে থেকে বিপজ্জনক ভাঙ্গা শুরু হয়ে একদিকে টঙ্গী অন্যদিকে হাউজ বিল্ডিং এরই মধ্যে রয়েছে আব্দুল্লাহপুর মাছের বাজার ও তাসিন পাম্পের গ্যাসের দীর্ঘ লাইনের যানজট, এটা পাড়ি দিয়ে ঢাকার দিকে ঢুকতেই পাড়ি দিতে হচ্ছে মৃত্যু নগরী ও দীর্ঘ যানজট।তবে এসকল বিষয়ে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণের বিষয়ে জানতে চাইলে আব্দুল্লাহপুরের ট্রাফিক পুলিশের টি আই ইউনুস বলেন, সড়ক ও জনপদ বিভাগের লোকজনকে একাধিকবার জানানো হয়েছে তারা এখনো পর্যন্ত রাস্তাটি মাপ জোপের কাজ ছাড়া কার্যকর কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করেননি। 

এবিষয়ে উত্তরা ট্রাফিক জোনের উপ-পুলিশ কমিশনার আনোয়ার সাইদ বলেন, আব্দুল্লাহপুর সড়কের বিষয়ে বিআরটি প্রকল্পের কর্মকর্তাদের অনেকবার বলা হয়েছে এবং সরেজমিনে দেখানো হয়েছে, তবে  এখনো কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করেনি। 

এ বিষয়ে সড়ক ও জনপদ অধিদপ্তর ঢাকার  প্রধান প্রকৌশলী সৈয়দ মঈনুল হাসানের মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করেও তাকে পাওয়া সম্ভব হয়নি।

 
 

রিফাত

×