
উপজেলার সান্তাহার পৌর শহরের গুলশান আবাসিক এলাকার বাসিন্দা, অনার্স শেষ বর্ষের পরীক্ষার্থী রবিবার রাতে নওগাঁ শহর থেকে নিখোঁজের পর মঙ্গলবার বিকেলে অচেতন অবস্থায় রাজশাহী থেকে উদ্ধার হয়েছে।
জানা গেছে, আদমদীঘি উপজেলার সান্তাহার পৌর শহরের গুলশান (হাউজিং কলোনি) আবাসিক এলাকার বাসিন্দা, পৌরসভার সদ্য অবসরপ্রাপ্ত কর্মচারী বিকাশ চন্দ্র প্রামাণিকের ছোট ছেলে ইমন চন্দ্র প্রামানিক (২৭) পাওনা টাকা নিতে রবিবার রাতে সান্তাহারের বাড়ি থেকে পাশের নওগাঁ শহরের নওজোয়ান মাঠ এলাকার এক বন্ধুর কাছে যাওয়ার জন্য বের হয়ে যায়। এরপর অনেক রাত হয়ে গেলেও সে বাড়ি ফিরে আসেনি। তার বাবা,মা ও ভাই মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করার জন্য ফোন করে কিন্তু ফোনটি বন্ধ পায়। পরে আত্মীয় স্বজনের বাড়ি বাড়ি খোঁজ নেয়ার সময় সোমবার দুপুরে অজ্ঞাত পরিচয়ের এক ব্যক্তি ইমনের বাবা বিকাশ চন্দ্র প্রামানিকের মোবাইল ফোনে ফোন করে ১৫ হাজার টাকা মুক্তিপণ দাবি করে এবং ঘটনাটি পুলিশকে অবগত করা হলে ইমনকে মেরে ফেলা হবে বলে হুমকি দেয়। এমন অবস্থায় ছেলেকে ফিরে পাওয়ার আশায় মুক্তিপণ দাবি করা ব্যক্তির দেওয়া বিকাশ নম্বরে টাকা পাঠায়। এর পরে এবার ইমনের মোবাইল ফোন নম্বর দিয়ে ফের ১০ হাজার টাকা দাবি করে। পরবর্তীতে মুক্তিপণ দাবি করা ও ইমনের ফোন নম্বরও বন্ধ পাওয়া যায়।
এ ঘটনায় নিখোঁজ ইমনের বাবা বিকাশ চন্দ্র সোমবার রাতে আদমদীঘি থানায় সাধারণ ডায়েরি দায়ের করে। এদিকে অবস্থা বেগতিক হয়ে পড়ায় মুক্তিপণ আদায়কারি চক্র মঙ্গলবার বিকেলে অচেতন অবস্থায় ইমন চন্দ্র প্রামানিককে রাজশাহী রেলওয়ে গেটের পাশে ফেলে রেখে সটকে পড়ে। পরে এলাকাবাসী তাকে উদ্ধার করে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করে দেয়।
সেখানে চিকিৎসা চলাকালে এদিন সন্ধ্যার পর জ্ঞান ফিরে পায় ইমন চন্দ্র। পরে তার মাধ্যমে খবর পেয়ে ইমনের বাবা বিকাশ চন্দ্র প্রামানিক ও স্বজনরা রাতে তাকে নিয়ে নিজ বাড়িতে ফেরে। এদিন রাত সোয়া ১০টার দিকে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলে ইমনের বাবা বিকাশ চন্দ্র ছেলেকে ফিরে পাওয়ার ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
এ বিষয়ে এ রিপোর্ট পাঠানোর পূর্বে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলে আদমদীঘি থানার অফিসার ইনচার্জ এস. এম মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, "ইমন উদ্ধার হয়েছে বলে লোকমুখে শুনেছি কিন্তু ওই পরিবার থেকে এখনো জানানো হয়নি।"
Mily