
নীলফামারীর ডিমলা উপজেলার দক্ষিণ সোনাখুলি খামাতপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের চিত্র যেন অনিয়মের প্রতিচ্ছবি।
মঙ্গলবার (৮ জুলাই) দুপুর আড়াইটায় বিদ্যালয়ে গিয়ে দেখা যায়, ৫ জন শিক্ষকের মধ্যে মাত্র ১ জন শিক্ষক উপস্থিত থেকে ১৪ জন শিক্ষার্থী নিয়ে ক্লাস নিচ্ছেন। বাকি ৪ জন শিক্ষক ছিলেন অনুপস্থিত। অথচ এ বিদ্যালয়ে মোট ১২০ জন শিক্ষার্থী তালিকাভুক্ত রয়েছে।
বিদ্যালয় সূত্রে জানা যায়, বর্তমানে প্রতিষ্ঠানটিতে শিশু শ্রেণিতে ১৭ জন, প্রথম শ্রেণিতে ২৯, দ্বিতীয় শ্রেণিতে ২০, তৃতীয় শ্রেণিতে ১৯, চতুর্থ শ্রেণিতে ২০ এবং পঞ্চম শ্রেণিতে ১৫ জন শিক্ষার্থী রয়েছে। অথচ মাত্র কয়েকটি শ্রেণির ১৪ জন উপস্থিত শিক্ষার্থীর জন্য এককভাবে ক্লাস পরিচালনা করছেন সহকারী শিক্ষক কেফায়েত আলী।
স্থানীয়রা জানান, এ চিত্র নতুন নয়। প্রতিদিনই শিক্ষকরা নিয়মিতভাবে ক্লাস বর্জন করে থাকেন। এমনকি কোনো কারণ ছাড়াই তারা বিদ্যালয়ে উপস্থিত হন না। দীর্ঘদিন ধরে এই অনিয়ম চললেও কর্তৃপক্ষের পক্ষ থেকে নেওয়া হয়নি কোনো কার্যকর ব্যবস্থা। স্থানীয়দের অভিযোগ, প্রধান শিক্ষক প্রভাবশালী হওয়ায় তার বিরুদ্ধে কেউ মুখ খুলতে সাহস পায় না। ফলে শিক্ষকরা অনিয়মে উৎসাহী হয়ে পড়েছেন।
প্রধান শিক্ষক আমির উদ্দিন বলেন, আমি তো আজকে কাজের কারণে বাহিরে ছিলাম, বিদ্যালয়ে ছিলাম না কিছু বলতে পারবো না। আর এভাবে তো ক্লাস নেওয়া হয়না। কালকে গিয়ে শুনবো।
এ ব্যাপারে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা কুমারেশ কুমার গাছি জানান, বিষয়টি তারা গুরুত্ব দিয়ে দেখছেন। প্রয়োজনীয় তদন্ত শেষে দোষী শিক্ষকদের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে আশ্বাস দিয়েছেন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা। শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের দাবি, সরকারি বিদ্যালয়ের এমন দুরবস্থা দ্রুত সমাধান করতে হবে। না হলে কোমলমতি শিক্ষার্থীদের ভবিষ্যৎ প্রশ্নের মুখে পড়বে।
রিফাত