
ছবি: সংগৃহীত
নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লা থানা বিএনপি'র সাংগঠনিক সম্পাদক রিয়াদ মোহাম্মদ চৌধুরীকে চাঁদাবাজি মামলায় গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এর আগে দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গ এবং দলের নীতি, আদর্শ ও সংহতি পরিপন্থী অনৈতিক কার্যকলাপে জড়িত থাকার অভিযোগে নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির সদস্য ও ফতুল্লা থানা বিএনপি'র সাংগঠনিক সম্পাদক রিয়াদ মোহাম্মদ চৌধুরীকে বিএনপির প্রাথমিক সদস্যসহ সকল পর্যায়ের পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়।
বৃহস্পতিবার (১৫ মে) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী এ তথ্য জানান।
এদিকে বৃহস্পতিবার ভোরে ঢাকার বিমানবন্দর থেকে রিয়াদ মোহাম্মদ চৌধুরীকে আটক করে ইমিগ্রেশন পুলিশ। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় নারায়ণগঞ্জ জেলার পুলিশ সুপার পুলিশ সুপার প্রত্যুষ কুমার মজুমদার জনকণ্ঠের এ প্রতিবেদককে নিশ্চিত করে বলেন, রিয়াদ চৌধুরী বিরুদ্ধে চাঁদাবাজির মামলা হয়েছে। সে এখন পুলিশ হেফাজতে রয়েছে।
বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, রিয়াদ মোহাম্মদ চৌধুরী দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গ এবং দলের নীতি, আদর্শ ও সংহতি পরিপন্থী অনৈতিক কর্মকান্ডের জন্য নারায়ণগঞ্জ জেলাধীন ফতুল্লা থানা বিএনপি’র সাংগঠনিক সম্পাদক রিয়াদ মোহাম্মদ চৌধুরীকে বিএনপি’র প্রাথমিক সদস্যসহ সকল পর্যায়ের পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে।
এ বিষয়ে নারায়ণগঞ্জ জেলা পুলিশ সুপার (এসপি) প্রত্যুষ কুমার মজুমদার বলেন, তার বিরুদ্ধে ব্যবসায়ীর কাছে চাঁদা দাবির অভিযোগ ছিল। সে মূলত এই ঘটনায় আটকের ভয়ে বৃহস্পতিবার সকালের দিকে থাইল্যান্ডে পালিয়ে যেতে যাচ্ছিলেন। তখন এয়ারপোর্ট থেকে পুলিশ তাকে আটক করতে সক্ষম হন। তিনি বর্তমানে আমাদের হেফাজতে রয়েছেন। তার বিরুদ্ধে ফতুল্লা থানায় চাঁদাবাজি মামলা দায়ের করা হয়েছে।
স্থানীয়দের অভিযোগ, রিয়াদ মোহাম্মদ চৌধুরী গত পাচঁ আগষ্টের পর থেকে ফতুল্লা শিল্পাঞ্চলে ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করে আসছেন। অভিযোগ রয়েছে এর আগে রিয়াদ মোহাম্মদ চৌধুরীর নেতৃত্বে তার ক্যাডার বাহিনীর সদস্যরা গার্মেন্টসের পরিত্যাক্ত কাপড় (ঝুট ) না দেয়ার কারণে পাগলা রেল স্টেশন সংলগ্ন বেশ কয়েক ফ্যাক্টরীতে হামলা চালিয়ে ব্যাপক ভাংচুর করে এবং বেশ কয়েকটি ফ্যাক্টরীতে আগুন ধরিয়ে দিয়ে মালামাল লুট করে নিয়ে যায়।
তার পর থেকেই সে বেপরোয়া হয়ে উঠে। ফতুল্লা এলাকায় জমি বিক্রি থেকে শুরু করে ফতুল্লা লঞ্চঘাট, ডিআইটি মাঠের হাট, খেয়াঘাট, গরুর হাটের ইজারাসহ সব কিছু নিয়ন্ত্রণ করতো রিয়াদ চৌধুরী। স্থানীয় প্রশাসনকে ম্যানেজ করে র্দীঘ প্রায় নয় মাস ধরে বিভিন্ন শিল্পপ্রতিষ্ঠানের মালিককে জিম্মি করে চাঁদাবাজি, ঝুট সন্ত্রাসী, জমি দখলসহ বিভিন্ন অপকর্ম চালিয়ে আসছিল রিয়াদ মোহাম্মদ চৌধুরী।
উল্লেখ্য, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ফতুল্লার এক গার্মেন্টস ব্যবসায়ীর সাথে ফোনালাপের অডিও ফাঁস হলে তা নিয়ে ব্যাপক বিতর্ক সৃষ্টি হয়।
আলীম