.
জেলা শহরের পঞ্চগড় সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে চলছে ৬ তলার একাডেমিক ভবনের কাজ। বেজ ঢালাইয়ের পর চলছে কলাম ঢালাইয়ের কাজ। শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরের কোনো ইঞ্জিনিয়ার নেই। এমনকি বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের কাউকে না জানিয়েই ঠিকাদারের নির্দেশে নি¤œমানের মাটি ও বালু মিশ্রিত চিকন পাথর দিয়ে দিব্যি কাজ চালিয়ে যাচ্ছে মিস্ত্রিরা। ৬টি কলামের ঢালাই দেওয়ার কাজ শেষ। তারপরেই বিষয়টি নজরে আসে বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের। তারা কাজটি বন্ধ রাখার নির্দেশ দেন। বিষয়টি জানাজানি হলে ঠিকাদারের নিযুক্ত লোকজন দ্রুত কলামের ঢলাই ভেঙে ফেলেন। খুলে ফেলেন কাঠ বাঁশ।
রাতারাতি সরিয়ে ফেলা হয় মাটি বালু মিশ্রিত চিকন পাথর। মঙ্গলবার বিকেলে পঞ্চগড় সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের নবনির্মিত ৬ তলার ভবন নির্মাণে এমন অনিয়মের ঘটনা ঘটে। ভবনের ভিত নির্মাণে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের এমন অনিয়মে বিস্মিত বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। একই সঙ্গে শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরের দায়সারা ভূমিকা ও ঠিকাদারের দায়িত্বহীনতার অভিযোগও করেন তারা। নি¤œমানের সামগ্রী দিয়ে কাজ করায় ভবনটির টেকসই ও নিরাপত্তা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে।
জানা যায়, শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরের অধীনে প্রায় ৬ কোটি ৩২ লাখ টাকায় ৬ তলা একাডেমিক ভবন নির্মাণের কাজটি পায় দিনাজপুরের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মা এন্টার প্রাইজ। তার স্থানীয় ঠিকাদার হিসেবে কাজটি করছেন পঞ্চগড় চেম্বারের নবনির্বাচিত পরিচালক রাওজুল কারিম।
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক খায়রুল আনাম মো. আফতাবুর রহমান হেলালী বলেন, ইদানিং যে কাজ হচ্ছে তা আমাদের না জানিয়েই করা হচ্ছে। নিম্নমানের পাথর যেখানে বালু মাটি ছাড়া পাথরের অস্তিত্বই নাই এমন পাথর দিয়ে তারা কলাম ঢালাইয়ের কাজ করেছে। বিষয়টি জানার পর আমি কাজ বন্ধ করে দেই। ভিত্তিতেই এমন কাজ হলে এই ভবন টিকবে কীভাবে? কাজের সময় কোনো ইঞ্জিনিয়ার ছিল না। পরে ঠিকাদারের ম্যানেজার ভুল স্বীকার করে এবং ঢালাই ভেঙে দেয়।
পঞ্চগড় শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরের নির্বাহী প্রকৌশলী আবু তাহের বলেন, ঠিকাদার যেমন অনিয়ম করেছে তেমনি ঢালাই ভেঙে ফেলেছে। আমাদের ইঞ্জিনিয়ার ও বিদ্যালয়ের কেউ ছিল না। তারা একাই কাজটি করেছে।