ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২৭ জুলাই ২০২৪, ১২ শ্রাবণ ১৪৩১

নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ হলে অবশ্যই সবার কাছে গ্রহণযোগ্য হবে 

নিজস্ব সংবাদদাতা, শেরপুর

প্রকাশিত: ১৯:৩৪, ৫ ডিসেম্বর ২০২৩

নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ হলে অবশ্যই সবার কাছে গ্রহণযোগ্য হবে 

শেরপুরে ইসি আলমগীর

নির্বাচন কমিশনার (ইসি) মো. আলমগীর বলেছেন, নির্বাচনে বড় দুটি দল এসেছে, একটি আসেনি। নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু, শান্তিপূর্ণ ও নিরপেক্ষ হলে অবশ্যই সবার কাছে গ্রহণযোগ্য হবে। 

মঙ্গলবার (৫ ডিসেম্বর) বিকেলে শেরপুরে জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষ রজনীগন্ধায় জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে জেলার নির্বাচনী কাজে নিয়োজিত কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময় সভা শেষে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, সুষ্ঠু নির্বাচন হওয়া মানেই হলো, যার ভোট তিনি দেবেন, যাকে খুশি তাকে দেবেন। এটার জন্য নির্বাচন কমিশন সকল প্রার্থীর প্রতি সমআচরণ, প্রত্যেক প্রার্থী যাতে আচরণবিধি মেনে তার প্রচার চালাতে পারে, তার এজেন্ট যাতে ভোটকেন্দ্রে থাকতে পারে এবং ভোটাররা যাতে নির্বিঘ্নে স্বাধীনভাবে ভোটকেন্দ্রে গিয়ে ভোট দিয়ে আসতে পারে সেজন্য যা যা প্রস্তুতি দরকার সেগুলো নিয়েছে। আমরা মনে করি একটি শান্তিপূর্ণ ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন হবে। এছাড়া অতীতে জাতীয় নির্বাচনগুলোতে সেনাবাহিনী ছিল। প্রয়োজন হলে এবারও সেনাবাহিনী থাকবে। এটা আমরা আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেব। 

বিএনপি নির্বাচনে না এসে অবরোধ ও আগুন সন্ত্রাসসহ নানা কর্মকান্ড চালাচ্ছে, এ পরিস্থিতিতে ভোটাররা ভোটকেন্দ্রে আসতে কতটা নিরাপদ বোধ করবেন- এমন প্রশ্নের জবাবে ইসি আলমগীর বলেন, তারা যে কাজটি করছে সে বিষয়টি দেখার জন্য আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী রয়েছে। তবে সেটি যে খুব অ্যালার্মিং অবস্থা হয়েছে তা না। শেরপুর নিয়ে ৮টি জেলায় আমি গিয়েছি। আমি তো সব জায়গায় দেখলাম মানুষ স্বাভাবিকভাবেই চলছে। অর্থনৈতিক কর্মকান্ডসহ সবকিছুই চলছে স্বাভাবিক। এটা নিয়ে ভোটাররা মোটেই ভয় পাবে না। তারা ভোটের দিন ঠিকই ভোট দিতে আসবে।

সংখ্যালঘু ভোটারদের নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, তাদের জন্য তো আলাদা নিয়ম নেই ভোট নেওয়ার। তবে ভোটের আগে বা পরে তাদের যাতে কেউ ভয়-ভীতি দেখাতে না পারে, অন্যায় আচরণ করতে না পারে সেজন্য ঢাকায় সংশ্লিষ্ট বিভাগের লোকজন নিয়ে সভা করেছি।

প্রার্থীদের আচরণবিধি লঙ্ঘন নিয়ে তিনি বলেন, আমাদের আচরণবিধিতে নির্বাচনের প্রার্থীদের কি কি নিষেধ সেগুলো লেখা আছে। প্রার্থীরা নির্বাচনী মিছিল-মিটিং করতে পারবেন না। বাইরে পাবলিকলি মিটিং করতে পারবেন না। তবে তার বাসায় কর্মীদের নিয়ে সভা করতে পারবেন। পলিটিক্যাল অ্যাকটিভিটিস তো বন্ধ নাই।

এর আগে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে শেরপুর জেলার রিটার্নিং অফিসার, সহকারী রিটার্নিং অফিসার, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর স্থানীয় কর্তৃপক্ষ ও নির্বাচন সংশ্লিষ্ট অন্যান্য ব্যক্তিবর্গের সঙ্গে মতবিনিময় করেন নির্বাচন কমিশনার মো. আলমগীর। জেলা প্রশাসক ও জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা আব্দুল্লাহ আল খায়রুমের সভাপতিত্বে সভায় পুলিশ সুপার মোনালিসা বেগম পিপিএম, বিজিবি ময়মনসিংহ অঞ্চলের উপ-অধিনায়ক মেজর মো. রাশেদসহ নির্বাচন সংশ্লিষ্ট অন্যান্যরা উপস্থিত ছিলেন।

 

 

এস

×