ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

চিলমারীতে নড়বড়ে রেলপথে চলে ট্রেন

​​​​​​​স্টাফ রিপোর্টার, কুড়িগ্রাম

প্রকাশিত: ২২:০৬, ২৪ মার্চ ২০২৩; আপডেট: ২২:০৭, ২৪ মার্চ ২০২৩

চিলমারীতে নড়বড়ে  রেলপথে চলে ট্রেন

লক্কড়-ঝক্কড় রেলপথে ঝুঁকি নিয়ে চলছে ট্রেন

চিলমারী উপজেলায় আজও যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়ন হয়নি। রাজনৈতিক নেতারা সময়ে সময়ে উন্নয়নের প্রতিশ্রুতি দিলেও তার মাঝেই সীমাবদ্ধ থাকে। বছরের পর বছর ভোগান্তিতে থাকে লাখ লাখ মানুষ। দিন বদলের পালায় যেন পিছিয়ে থাকছে চিলমারী। দেশের বিভিন্ন স্থানে উন্নয়ন হলেও যোগাযোগে উন্নয়নের ছোঁয়া লাগেনি চিলমারীতে। জন্ম থেকে যেন পিছিয়ে চিলমারীর রমনাবাজার রেলপথ। ভাঙাচোরা  স্টেশনটিও। স্লিপারের সঙ্গে লাইনের সংযোগের জন্য নাট- বোল্ট থাকার কথা থাকলেও অনেক স্থানেই তা  নেই। চিলমারী রমনা থেকে কুড়িগ্রাম পর্যন্ত লাইনের  কোনো  কোনো স্থানে পাথরের অস্তিত্ব  নেই বললেই চলে।  ট্রেন এলেও থাকছে ধীরগতি। রয়েছে দুর্ঘটনার আশঙ্কা।

জানা গেছে, চিলমারী উপজেলায় দুটি রেলওয়ে স্টেশন রয়েছেÑ বালাবাড়িহাট ও রমনাবাজার স্টেশন। স্বাধীনতার পর থেকে রয়েছে বেহাল দশায়। লাগেনি উন্নয়নের ছোঁয়া। স্টেশনের সঙ্গে রেলপথও পায়নি উন্নয়নের হাওয়া। ট্রেন চলে ধীরগতিতে। লালমনিরহাটের তিস্তা  থেকে কুড়িগ্রামের চিলমারীর রমনা  স্টেশন পর্যন্ত প্রায় ৫০ কিলোমিটার  রেলপথের  বেহাল দশার কারণে ঝুঁকি নিয়ে বছরের পর বছর  ট্রেন চলাচল করছে এই রুটে। ফলে  যে  কোনো সময় বড় দুর্ঘটনা ঘটতে পারে এমন আশঙ্কা নিয়েই যাত্রীরা এই  রেলপথ দিয়ে যাতায়াত করে। তিস্তা থেকে কুড়িগ্রাম পর্যন্ত নামমাত্র সংস্কার করা হলেও কুড়িগ্রাম থেকে চিলমারী রমনা পর্যন্ত রেলপথ রয়েছে ঝুঁকিতে। ২০২১ সালের নভেম্বর মাসে রেলমন্ত্রী চিলমারী রমনা স্টেশন পরির্দশনকালে রেলপথ সংস্কার করার কথা বললেও দীর্ঘদিন পর কুড়িগ্রাম থেকে উলিপুর পর্যন্ত সংস্কারের কাজ শুরু করে কর্তৃপক্ষ। রয়েছে নানা অভিযোগও। কিন্তু উলিপুর থেকে চিলমারী রমনা পর্যন্ত সংস্কার কবে হবে জানা নেই কারও।

 ট্রেন চালক আরিফুল হক বলেন, রমনাবাজার থেকে কুড়িগ্রাম পর্যন্ত ঘণ্টায় ২০কিমি বেগে চলার অনুমতি দেওয়া হয়েছে যদিও রেললাইনের সমস্যার কারণে ঘণ্টায় ১২ থেকে ১৫ কিমি বেগে চালাতে হয়। এছাড়াও লাইনের সমস্যার কারণে খুব ঝুঁকি নিয়ে ট্রেন চালাতে হয়। একটু গতি বেশি বা কমবেশি হলে ট্রেন লাইনচ্যুত হওয়ার আশঙ্কা থাকে। এ বিষয়ে লালমনিরহাট পঞ্চিম অঞ্চল  রেলওয়ে ম্যানেজার (ডিআরএম) বলেন, আমরা জানিয়েছি লাইনের অবস্থা খারাপ। উলিপুর পর্যন্ত লাইন  মেরামতের কাজ চলছে। তবে আগামী এক-দুই বছরের মধ্যে এই  রেলপথে বড় পরিবর্তন আসবে বলে মনে করি।

×