ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ১৯ মার্চ ২০২৪, ৫ চৈত্র ১৪৩০

দাফনের সাড়ে ৬ মাস পর কবর থেকে মরদেহ উত্তোলন

নিজস্ব সংবাদদাতা, রংপুর

প্রকাশিত: ১৫:৫৬, ২০ মার্চ ২০২৩

দাফনের সাড়ে ৬ মাস পর কবর থেকে মরদেহ উত্তোলন

নিহত তরুণী

রংপুরে দাফনের সাড়ে ছয় মাস পর বর্ষা হোসাইন বর্না (২০) নামে এক তরুণীর মরদেহ কবর থেকে উত্তোলন করা হয়েছে। 

সোমবার (২০ মার্চ) সকালে নগরীর খাসবাগ এলাকার পারিবারিক কবরস্থান থেকে তার মরদেহ উত্তোলন করে ময়না তদন্তের জন্য রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠিয়েছে সিআইডি পুলিশ। বর্না ওই এলাকার বেলাল হোসেনের মেয়ে।

পুলিশ ও মামলা সূত্রে জানা গেছে, বর্ষা হোসাইন বর্না  আউট সোর্সিংয়ের কাজ করতেন।  তার মা শাহিনা বেগম ও  বাবা বেলাল হোসেন দুই সন্তান বর্ষা ও বাঁধনকে বাড়িতে রেখে ঢাকায় কাজ করতে যান। এদিকে একই এলাকার রিপন মিয়ার ছেলে  জিয়াদ হোসেনের (২৫) সঙ্গে বর্ষার সুসম্পর্ক থাকার জেরে তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। এক পর্যায়ে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে বর্নার সঙ্গে শারীরিক মেলামেশা করেন জিহাদ। এতে বর্না অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়লে বিষয়টি জানাজানি হয়। পরে জিয়াদ ও তার পরিবারকে জানানো হলে তারা বর্নার গর্ভের সন্তান নষ্ট করতে বলেন। কিন্তু বর্না রাজি না হওয়ায় তাদের সঙ্গে সম্পর্কের অবনতি ঘটে। তারা বিভিন্নভাবে বর্নাকে মানসিক নির্যাতন করতে থাকেন। একপর্যায়ে  জিয়াদ ও তার পরিবারের সদস্যদের কটূক্তি সহ্য করতে না পেরে গত বছরের ২ সেপ্টেম্বর রাতে বর্না আত্মহত্যা করেন। এ ঘটনায় তাৎক্ষণিক ইউডি মামলা করা হয়।  

পরবর্তীতে  রংপুরের নারী শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-১ এ ৬ জনকে আসামি করে মা শাহিনা বেগম মামলা করেন। মামলার আসামিরা হলেন, জিয়াদ হোসেন, ছবি বেগম, মনি বেগম, সিরাজউদ্দিন, সাজু মিয়া ও মো. রিফাত। 

এদিকে মামলার সুষ্ঠু তদন্ত ও প্রকৃত রহস্য উদঘাটনের স্বার্থে গত ১২ জানুয়ারি পারিবারিক কবরস্থান হতে মরদেহ উত্তোলনের আদেশ দেন আদালত। এরই ধারাবাহিকতায় সোমবার সকালে বর্নার মরদেহ কবর থেকে উত্তোলন করা হয়। এসময় সহকারী কমিশনার ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট মলিহা খানম ও মেট্রোপলিটন কোতোয়ালি থানা পুলিশ উপস্থিত ছিলেন। রংপুর সিআইডির পরিদর্শক শামসুল আলম বলেন, মরদেহ উত্তোলন করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে।

টিএস

×