ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ০৬ ডিসেম্বর ২০২৪, ২২ অগ্রাহায়ণ ১৪৩১

চাকরির প্রলোভনে প্রতারনা

৪২ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ দুই কর্মচারীর বিরুদ্ধে

স্টাফ রিপোর্টার, বরিশাল 

প্রকাশিত: ২০:১৯, ১২ ফেব্রুয়ারি ২০২৩

৪২ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ দুই কর্মচারীর বিরুদ্ধে

গ্রেফতার

চাকরির প্রলোভনে কৌশলে চার যুবকের কাছ থেকে ৪২ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের অফিস সহায়ক রিয়াজুল ইসলাম ও জেলা জজ কোর্টের পিয়ন ফোরকান হোসেন। প্রতারনার মাধ্যমে নগদ ও ব্যাংক চেকের মাধ্যমে তারা এ বিপুল অংকের টাকা গ্রহণ করে আত্মসাত করেছেন।

চাকরি না পেয়ে টাকা ফেরত চাইতে গেলে প্রতারিত চার যুবককে বিভিন্নধরনের ভয়ভীতিসহ প্রাণনাশের হুমকি প্রদান করা হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় রথীন্দ্রনাথ রায় নামের এক ভূক্তভোগী জেলা প্রশাসকসহ সরকারের বিভিন্ন দপ্তরে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেও কোন সুফল পায়নি। ফলে উপায়অন্তুর না পেয়ে রথীন্দ্রনাথ রায় অভিযুক্ত দুই প্রতারকের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা দায়ের করেছেন।

এতে ক্ষিপ্ত হয়ে সরকারী কর্মচারী ওই দুই প্রতারকের ভাড়াটিয়া সন্ত্রাসীরা মামলা প্রত্যাহারের জন্য রথীন্দ্রনাথ রায়কে ভয়ভীতির পাশাপাশি কয়েকবার অপহরণের চেষ্টা করেন। ফলে ভাড়াটিয়া সন্ত্রাসীদের ভয়ে গত কয়েকদিন থেকে নিজ এলাকা পিরোজপুর থেকে পালিয়ে বরিশাল শহরে আশ্রয় নিয়েছেন ভূক্তভোগী রথীন্দ্রনাথ রায়।

রবিবার সকালে চাকরির প্রলোভনে প্রতারনার শিকার হয়ে নিঃস্ব হয়ে পরা ভূক্তভোগী রথীন্দ্রনাথ রায় অভিযোগ করে বলেন, পিরোজপুর জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের আরএম শাখার অফিস সহায়ক রিয়াজুল ইসলাম ও জেলা জজ কোর্টের পিয়ন ফোরকান হোসেন পরস্পর যোগসাজসে আমি, শন্তু মন্ডল, শিপু ঘরামীসহ চারজনকে জেলা জজ কার্যালয়ে চাকরি দেওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে বিভিন্ন মাধ্যমে মোট ৪২ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন।

এ ব্যাপারে অভিযুক্ত পিরোজপুর জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের অফিস সহায়ক রিয়াজুল ইসলামের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি চাকরির প্রলোভনে টাকা আত্মসাতের বিষয়টি সরাসরি স্বীকার না করলেও এ প্রতিবেদকের সাথে সমঝোতা করার প্রস্তাব দিয়ে রির্পোট না করার অনুরোধ করেন। অপর অভিযুক্ত পিরোজপুর জেলা জজ কোর্টের পিয়ন ফোরকান হোসেন বলেন, টাকা আত্মসাতের সাথে আমার কোন সম্পৃক্ততা নেই।

পিরোজপুরের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ জাহিদুর রহমান বলেন, এ ঘটনায় লিখিত অভিযোগ পেয়ে পুরো বিষয়টি তদন্তের জন্য অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মনিরা পারভীনকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। তদন্তে অভিযোগ প্রমানিত হলে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
 

এমএস

সম্পর্কিত বিষয়:

×