ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ১৩ মে ২০২৫, ৩০ বৈশাখ ১৪৩২

উল্লাপাড়ায় পাঁচ বছরে আবাদী জমি কমেছে ৮১৬ হেক্টর

সংবাদদাতা, উল্লাপাড়া, সিরাজগঞ্জ 

প্রকাশিত: ১৬:২৮, ৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৩

উল্লাপাড়ায় পাঁচ বছরে আবাদী জমি কমেছে ৮১৬ হেক্টর

আবাদী জমিতে চলছে পুকুর খনন। ছবি: জনকণ্ঠ

গত পাঁচ বছরে সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়ায় ৮১৬ হেক্টর আবাদী জমির পরিমাণ কমেছে। যত্রতত্র পুকুর খনন ও ফসলি জমি ভরাট করে বসত ঘর,বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলায় আবাদী জমির পরিমাণ কমছে। 

কয়েক বছর আগেও যেসব জমিতে ধানসহ নানান রকম ফসল চাষ হতো এখন সেসব জমিতে পুকুর ও ইট পাথরের দালান শোভা পাচ্ছে। এভাবে আবাদী জমির পরিমাণ কমতে থাকলে আগামীতে খাদ্য নিরাপত্তা আর পরিবেশ বিপর্যয়ের হুমকির আশঙ্কা করছেন সংশ্লিষ্টরা। 

উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, পাঁচ বছর আগে উল্লাপাড়ায় কৃষি জমির পরিমাণ ছিল ৩৩ হাজার ৪শ হেক্টর। পাঁচ বছর পর তা কমে দাড়িয়েছে ৩২ হাজার ৬শ হেক্টরে। সরেজমিনে ঘুরে উপজেলার বাঙ্গালা ইউনিয়নের সামাইলদহ, গাছগাড়া মধুখোলা মৌজায় সদ্য ধননকৃত ৫টি পুকুর দেখা গেছে। 

বাঙ্গালা ও রামকৃষ্ণপুর ইউনিয়নের একাধিক ক্ষতিগ্রস্থ জমির মালিক জানান, চেয়ারম্যানের লোকজন ও মাটি ব্যবসায়ী উত্তম কুমার অধিকাংশ পুকুর খননের সঙ্গে জড়িত। প্রভাবশালী হওয়ায় তাদের কেউ কিছু বলতে পারে না। 

এছাড়া উপজেলার রামকৃষ্ণপুর, সলঙ্গা, উধুনিয়া ইউনিয়নের ফসলি জমিতে একাধিক পুকুর খনন চলছে। অপরদিকে উপজেলার ঢাকা,বগুড়া,রাজশাহী ও পাবনা মহাসড়কের দুপাশের আবাদী জমি ভরাট করে নির্মিত হচ্ছে বাণিজ্যিক ভবন। 

সম্প্রতি পাবনা মহাসড়কের চড়িয়া শিকার,পাটধারী বোয়ালিয়া, পাগলাসহ বেশ কিছু স্থানে আবাদী জমি ভরাট করা হয়েছে ভবন নির্মাণের উদ্দেশ্যে। 

উল্লাপাড়া উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সুবর্না ইয়াসমিন সুমি বলেন, দিনদিন কৃষি জমির পরিমাণ কমছে। এভাবে কমতে থাকলে এক সময় আবাদী জমিই থাকবে না। পুকুর খনন রোধ এবং স্থানীয়দের সচেতন হওয়া দরকার।

উল্লাপাড়া উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ইসরাত জাহান বলেন, পুকুর খনন বন্ধে নিয়মিত অভিযান চালানো হচ্ছে। নির্দেশনা অমান্য করে যারা পুকুর খনন করছে নোটিস দেয়া হচ্ছে। তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

 এসআর

আরো পড়ুন  

×