ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১

বর্জ্যকে সম্পদে পরিণত করাই এখন মূল লক্ষ্য

প্রকাশিত: ২০:৩৫, ৭ ডিসেম্বর ২০২২

বর্জ্যকে সম্পদে পরিণত করাই এখন মূল লক্ষ্য

কেসিসি মেয়র তালুকদার আব্দুল খালেক

খুলনা সিটি করপোরেশনের মেয়র তালুকদার আব্দুল খালেক বলেছেন, মহানগরীর বর্জ্য-ব্যবস্থাপনাকে আরও উন্নত ও টেকসই করতে কেসিসি বিভিন্ন প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে। সরকারের পাশাপাশি বিভিন্ন দাতা সংস্থাও এ কাজে সহযোগিতা করছে। নগরীতে স্বাস্থ্যসম্মত পরিবেশ সৃষ্টির পাশাপাশি বর্জ্যকে সম্পদে পরিণত করাই এখন মূল লক্ষ্য।

বুধবার (৭ ডিসেম্বর) দুপুরে নগর ভবনের জিআইজেড মিলনায়তনে কেসিসি’র বর্জ্য ব্যবস্থাপনার মাস্টারপ্ল্যান প্রণয়ন সম্পর্কিত মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এ কথা বলেন। 

সাসটেইনেবল ক্যাপাসিটি বিল্ডিং টু রিডিউস ইরিভার্সিবল পলিউশন বাই প্লাস্টিকস (এসসিপিআই) প্রকল্পের আওতায় এ সভার আয়োজন করা হয়। খুলনা সিটি করপোরেশনসহ খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (কুয়েট) এবং জার্মানের বাউহাউস বিশ্ববিদ্যালয় বাইমার (বিইউডব্লিউ) যৌথভাবে খুলনা মহানগরীতে প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করছে।

সভায় মেয়র তালুকদার আব্দুল খালেক আরও বলেন, বর্জ্য পৃথকীকরণ এবং ব্যবস্থাপনার জন্য কিছু অস্থায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হলেও পরবর্তীতে প্রযুক্তিগত, লজিস্টিক ও অর্থনৈতিক সুযোগগুলোর যথাযথ ব্যবহার নিশ্চিত করতে মাস্টারপ্ল্যান গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। জাতীয় নীতি নির্দেশিকা ও গৃহীত প্ল্যান সামুদ্রিক প্লাস্টিক দূষণ নিয়ন্ত্রণেও অবদান রাখবে। এছাড়া প্রকল্পের মাধ্যমে বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় জড়িত স্টেকহোল্ডারদের উন্নত প্রশিক্ষণ প্রদানের পাশাপাশি জনসচেতনা সৃষ্টির লক্ষ্যে কাজ করা হবে।

প্রকল্প পরিচালক ও কুয়েটের অধ্যাপক ড. মো. রাফিজুল ইসলামের সভাপতিত্বে মতবিনিময় সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তৃতা করেন প্রকল্পের সাইন্টিফিক এক্সপার্ট ও বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের সদস্য অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ আলমগীর। 

এছাড়াও অধ্যাপক ড. খান মাহবুব, প্রফেসর ড. এস এম মনিরুজ্জামান, সহকারি অধ্যাপক ড. মো. ইসমাইল হোসেন, প্রকল্পের সহকারি পরিচালক সুব্রত পাল, কেসিসি’র প্রধান বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা প্রকৌশলী মো. আব্দুল আজিজ, কনজারভেন্সী অফিসার প্রকৌশলী মো. আনিসুর রহমান, প্রধান পরিকল্পনা কর্মকর্তা আবির উল জব্বার, আর্কিটেক্ট রেজবিনা খানম, সহকারি কনজারভেন্সী অফিসার নূরুন্নাহার এ্যানীসহ প্রকল্পের কর্মকর্তাগণ সভায় মতামত ব্যক্ত করেন।  
 

 

এমএস

×