ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

আজ হানাদারমুক্ত দিবস যেখানে

জনকণ্ঠ ডেস্ক

প্রকাশিত: ২১:৩৯, ৬ ডিসেম্বর ২০২২

আজ হানাদারমুক্ত দিবস যেখানে

বীর মুক্তিযোদ্ধা ও মিত্র বাহিনীর প্রতিরোধের মুখে ৭ ডিসেম্বর হানাদারমুক্ত হয়

বীর মুক্তিযোদ্ধা ও মিত্র বাহিনীর প্রতিরোধের মুখে ৭ ডিসেম্বর হানাদারমুক্ত হয় চুয়াডাঙ্গা, শেরপুর, গাইবান্ধা ও মাগুরা। এ সব এলাকা মুখরিত হয় জয় বাংলা ধ্বনিতে, ওড়ে লাল-সবুজ পতাকা। এ দিনটি উপলক্ষে গ্রহণ করা হয়েছে নানা কর্মসূচি। খবর স্টাফ রিপোর্টার ও নিজস্ব সংবাদদাতাদের।


চুয়াডাঙ্গা
আজ ৭ ডিসেম্বর। ১৯৭১ সালের এই দিনে চুয়াডাঙ্গা জেলায় লাল-সবুজ পতাকা ওড়ে। এ দিন মুক্তিযোদ্ধা ও ভারতীয় মিত্র বাহিনীর তুমুল প্রতিরোধের মুখে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী এক রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের পর চুয়াডাঙ্গা ছেড়ে পাশের কুষ্টিয়া ও ঝিনাইদহ জেলা অভিমুখে পালিয়ে যায়। জেলা হয় হানাদারমুক্ত। এ দিনটি উপলক্ষে চুয়াডাঙ্গা জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন নানা কর্মসূচির আয়োজন করেছে।


শেরপুর
৭ ডিসেম্বর, শেরপুর পাক হানাদারমুক্ত দিবস। ১৯৭১ সালের এ দিনে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীকে পরাজিত করে ভারতীয় মিত্র বাহিনীর সহায়তায় মুক্তিযোদ্ধারা শেরপুর অঞ্চলকে শত্রুমুক্ত করেন। এ দিন ভারতীয় সেনাবাহিনীর পূর্বাঞ্চলীয় কমান্ডার ও মিত্র বাহিনীর সর্বাধিনায়ক লে. জেনারেল জগজিৎ সিং অরোরা হেলিকপ্টারযোগে শেরপুর শহীদ দারোগ আলী পৌরপার্ক মাঠে অবতরণ করেন। ওই সময় শেরপুরের মুক্তিকামী ছাত্র-জনতা জেনারেল অরোরাকে এক সংবর্ধনা দেন। তিনি সংবর্ধনা সভায় আনুষ্ঠানিকভাবে শেরপুরকে হানাদারমুক্ত বলে ঘোষণা দেন। ওই সময় মুক্ত শেরপুরে প্রথম স্বাধীন বাংলাদেশের পতাকা উত্তোলন করা হয়।


গাইবান্ধা
৭ ডিসেম্বর, গাইবান্ধা হানাদারমুক্ত দিবস। ১৯৭১ সালে নয় মাস রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের পর আজকের এই দিনে গাইবান্ধাকে মুক্ত করেছিলেন মুক্তিযোদ্ধারা। পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর সঙ্গে দীর্ঘ লড়াইয়ের পর গাইবান্ধার আকাশে ওড়ে স্বাধীন বাংলাদেশের পতাকা। বিজয়ের আনন্দ-উল্লাসে ফেটে পড়ে গাইবান্ধার মুক্তিযোদ্ধা ও মুক্তিকামী সাধারণ মানুষ। দিবসটি উপলক্ষে দোয়া মাহফিল ও আলোচনা সভাসহ বিভিন্ন কর্মসূচির আয়োজন করেছেন স্থানীয় মুক্তিযোদ্ধারা।


মাগুরা
আজ বুধবার, মাগুরামুক্ত দিবস। ১৯৭১ সালের এই দিনে মাগুরা পাক হানাদারমুক্ত হয়। দিবসটি মাগুরাবাসীর কাছে একদিকে আনন্দের, অন্যদিকে বেদনার। এই দিনে মাগুরায় ওড়ে স্বাধীন বাংলাদেশের পতাকা। মুক্তিযোদ্ধা ও সাধারণ মানুষের জয়বাংলা ধ্বনিতে মুখরিত হয়ে উঠেছিল। দিবসটি পালন উপলক্ষে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে নানা কর্মসূচির আয়োজন করা হয়েছে। কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে শহরের শহীদ মুক্তিযোদ্ধা স্মৃতিস্তম্ভে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে শ্রদ্ধা নিবেদন, আছাদুজামান মিলনায়তনে আলোচনা সভা, সন্ধ্যায় ব্ল্যাক আউট ও মমবাতি প্রজ্বালন প্রভৃতি।


লাখাই
আজ ৭ ডিসেম্বর লাখাই উপজেলা পাকহানাদারমুক্ত হয়। বিকেল প্রায় ৩টায় ১২৯ পাক হানাদার বাহিনীর দোসর রাজাকার উপজেলার জিরুন্ডা খেলার মাঠে মুক্তিযুদ্ধকালীন লাখাই পশ্চিমাঞ্চলের কমান্ডার সৈয়দ শফিকুল ইসলামের কাছে আত্মসমর্পণ করে।

×