ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

সুনামগঞ্জে আকস্মিক ঘূর্ণিঝড়ে অর্ধশত বসত ঘর লন্ডভন্ড

নিজস্ব সংবাদদাতা, সুনামগঞ্জ 

প্রকাশিত: ১৯:৪৬, ১৮ অক্টোবর ২০২২; আপডেট: ২০:০২, ১৮ অক্টোবর ২০২২

সুনামগঞ্জে আকস্মিক ঘূর্ণিঝড়ে অর্ধশত বসত ঘর লন্ডভন্ড

ঘূর্ণিঝড়ে লন্ডভন্ড ঘরবাড়ি

সুনামগঞ্জের শান্তিগঞ্জ উপজেলার পাথারিয়া ইউনিয়নে আকস্মিক ঘূর্ণিঝড়ে অর্ধশত বসত ঘর লন্ডভন্ড হয়েছে। সোমবার (১৭ অক্টোবর) দিবাগত মধ্যরাতে ইউনিয়নের দরগাহপুর ও আসামমুড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। 

জানা যায়, কাঁচা ঘর, টিনশেডের ঘর, সেমিপাকা ঘর মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এছাড়া গাছপালা ভেঙে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। বিদ্যুতের খুঁটিও অনেক স্থানে হেলে পড়ে গেছে। এতে বেশ কয়েকজন আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। ঘূর্ণিঝড়ে ঘরবাড়ি বিধ্বস্ত ও গাছপালা উপড়ে যাওয়ার খবর পেয়ে উপজেলার দমকলকর্মীরা ঘটনাস্থলে ছুটে গিয়ে ক্ষতিগ্রস্তদের উদ্ধার করেন।

ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের লোকজনের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, ঘূর্ণিঝড়ে তাদের ঘরবাড়ি ছিন্নভিন্ন হয়ে গেছে। স্বল্প আয়ে দিনাতিপাত করা এসব পরিবারের। এই অবস্থায় সরকারি সহযোগিতার দাবি তাদের। 

তারা জানান, শুধুমাত্র তাদের ইউনিয়নের আসামমুড়া ও দরগাহপুর গ্রামের অন্তত ৪০টি পরিবারেই ব্যাপক ক্ষক্ষতি হয়েছে।

ঘূর্ণিঝড়ে বেশী ক্ষতিগ্রস্তরা হলেন- দরগাহপুর গ্রামের আহমদ শফির, শফিকুল ইসলাম, কিবরিয়া, ইউনুছ আলী, জমির আলী, নিজাম উদ্দিন, সাহাব উদ্দিন, আঙ্গুর মিয়া, আলিফ পাঠান, মকদ্দুছ আলী, মাছুম, আব্দুল হাদি, মুজাক্কির, আব্দুর রউফ, কাইয়ূম, শামছুল আলম, মাসুক মিয়া, মন্না মিয়া, সেলাল মিয়া, আছকিয়া খান, আব্দুর রহমান, হাকি মিয়া, সিদ্দিকুর খান, ইকবাল খান, তাই মিয়া, সেলিম পাঠান, মুক্তার আলী, কবির মিয়া, বসির মিয়া, মাহমুদা বেগম, সামাদসহ প্রায় ৪০টি পরিবার। মধ্যরাতে ঘূর্ণিঝড়ে দিশেহারা এসব পরিবার। ঘর হারিয়ে খোলা আকাশের নিচে বসবাস করছেন তারা।

মঙ্গলবার (১৮ অক্টোবর) দুপুরে শান্তিগঞ্জ উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) সকিনা আক্তার, শান্তিগঞ্জ উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান প্রভাষক নুর হোসেন, উপজেলা দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা বিভাগের কর্মকর্তা শাহাদাত হোসেন ভূইয়া ও ইউপি সদস্য হাবিবুর রহমান হাবিব ঘূর্ণিঝড়ে ক্ষতিগ্রস্ত ঘরবাড়ি পরিদর্শন করেন এবং সরকারি সহায়তার আশ্বাস দেন।

এ ব্যাপারে শান্তিগঞ্জ উপজেলা দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা বিভাগের কর্মকর্তা শাহাদাত হোসেন ভূঁইয়া জানান, পাথারিয়া ইউনিয়নে ঘূর্ণিঝড়ে বসতঘর একদম লন্ডভন্ড হয়ে গেছে। উপজেলা প্রশাসন এবং উপজেলা দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা বিভাগ ইতোমধ্যে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের তালিকা তৈরির কাজ করেছে। ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোকে সরকারিভাবে সকল সহায়তা প্রদান করা হবে।

শান্তিগঞ্জ উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আনোয়ার উজ জামান জানান, দরগাহপুর গ্রামে অধিকাংশ পরিবার ঘরবাড়ি হারিয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ নিরূপণ ও তা দ্রুততার সঙ্গে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে পাঠানো হবে। আশা করি খুব তাড়াতাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোকে সহযোগিতা করা সম্ভব হবে।

এমএইচ

সম্পর্কিত বিষয়:

×