দাউদকান্দি, কুমিল্লা
নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করে বাড়ি নির্মাণ কাজ শুরু করায় ৯টি পরিবার অবরুদ্ধ হয়ে পড়েছে। দাউদকান্দি উপজেলার গৌরীপুর ইউনিয়নের পেন্নাই হাজারীবাড়ির ভুক্তভোগী পরিবারগুলো এমন অভিযোগ তোলেন প্রতিবেশী খালেক হাজারীর বিরুদ্ধে। প্রায় শত বছরের চলাচলের পথ বন্ধ করে ইমারত নির্মাণ কাজ শুরু করায় যাতায়াত বন্ধ হয়ে গেছে ওই পরিবারগুলোর। মানা হচ্ছে না ইমারত নির্মাণ আইন ও ইমারত নির্মাণ বিধিমালা। অভিযোগ রয়েছে, নির্মিতব্য ভবনের নকশা নিয়েও।
বিষয়গুলো ইউনিয়ন চেয়ারম্যান, পুলিশ ও উপজেলা প্রশাসনকে জানিয়েও কোন সুরাহা পায়নি ভুক্তভোগী পরিবারগুলো। এতে কালাম হাজারী, প্রবাসী শফিক হাজারী ও জাকির হাজার ৯টি পরিবারের চলাচলের একমাত্র পথ বন্ধ হয়ে যায়।
ভুক্তভোগী কালাম হাজারী, জাকির হাজারী ও সেলিম হাজারী জানান, গৌরীপুর ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ডের পেন্নাই হাজারীবাড়ির প্রতিবেশী হাজী খালেক হাজারীবাড়িতে বহুতল ভবন নির্মাণ শুরু করেন। স্থানীয়ভাবে চলাচলের পথ রেখে কাজ করার জন্য বলা হলেও তিনি শোনেননি। পরে আমরা চেয়ারম্যানের কাছে সমাধানের জন্য মঙ্গলবার লিখিত দরখাস্ত করি। চেয়ারম্যানের নোটিস নিয়ে দফাদার মমিন খালেক হাজারীর বাড়িতে গেলে নোটিস গ্রহণ না করে উল্টো গালাগালি করে।
পরে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এবং গৌরীপুর পুলিশ ফাঁড়িতে লিখিত আবেদন করেও কোন সুরাহা হয়নি। বরং অভিযোগ করায় উল্টো আমাদের নামে মামলা করার হুমকি দেয়। অভিযোগের বিষয়ে খালেক হাজারী বলেন, আমার মালিকানাধীন জায়গায় আমি ঘর করছি। তাদের দাবি মতে পাঁচ ফুট রাস্তা আমি দিতে পারব না। গৌরীপুর পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ রাকিবুল হাসান বলেন, ভুক্তভোগীদের অভিযোগের প্রেক্ষিতে বিষয়টি সমাধানের জন্য উভয় পক্ষকে নিয়ে বৈঠকে বসেছিলাম।
কিন্তু খালেক হাজারীর অনড় অবস্থানের কারণে মীমাংসা করা যায়নি। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ মহিনুল হাসান বলেন, ভুক্তভোগীদের অভিযোগ পেয়েছি, সরেজমিন তদন্ত করে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।