ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৩ জুন ২০২৫, ৩০ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২

টানা ২৩ বিশ্বকাপে ব্রাজিল

স্পোর্টস রিপোর্টার

প্রকাশিত: ০১:১৩, ১২ জুন ২০২৫

টানা ২৩ বিশ্বকাপে ব্রাজিল

হাতাহাতিতে জড়িয়ে পড়েন কলম্বিয়ার রিচার্ড রাইওস ও আর্জেন্টিনার নিকোলাস ওতামেন্ডি

বিশ্বকাপ ফুটবলের ইতিহাসে একমাত্র দেশ হিসেবে সব আসরে খেলার রেকর্ড ধরে রেখেছে ব্রাজিল। ১৯৩০ সালে শুরু হওয়া বিশ্ব ক্রীড়াঙ্গনের সবচেয়ে জনপ্রিয় আসরের পরবর্তী মেলা বসবে ২০২৬ সালে যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা ও মেক্সিকোয়। এটা হবে বিশ্বকাপ ফুটবলের ২৩তম আসর। এই আসরেও খেলা নিশ্চিত করেছে বিশ্ব ফুটবলের সবচেয়ে সফল ও জনপ্রিয় দেশ ব্রাজিল। 
বুধবার সকালে বিশ্বকাপ বাছাইপর্বে দক্ষিণ আমেরিকা অঞ্চলের ম্যাচে প্যারাগুয়েকে ১-০ গোলে হারিয়ে এ কৃতিত্ব দেখিয়েছে সেলেসাওরা। সাওপাওলোতে অনুষ্ঠিত ম্যাচে ব্রাজিলের হয়ে জয়সূচক গোলটি করেন তারকা ফরোয়ার্ড ভিনিসিয়াস জুনিয়র। ১৯৩০ সালে বিশ্বকাপ শুরুর পর শুধুমাত্র ব্রাজিলই সব আসরে খেলার যোগ্যতা অর্জন করেছে। লিমায় পেরুর সঙ্গে গোলশূন্য ড্র করে বিশ্বকাপ খেলা নিশ্চিত করেছে ইকুয়েডরও। সবমিলিয়ে এখন পর্যন্ত বিশ্বকাপ খেলা নিশ্চিত হয়েছে ১৩টি দেশের। আগামী বছরের ১১ জুন পর্দা উঠবে বিশ্বকাপের। এই হিসেবে আসর শুরু হতে আর বাকি ৩৬৪ দিন। 
বাছাইপর্বে ১৬ ম?্যাচে ২৫ পয়েন্ট নিয়ে আপাতত তিন নম্বরে আছে ব্রাজিল। সমান পয়েন্ট নিয়ে দুইয়ে আছে ইকুয়েডর। কলম্বিয়ার সঙ্গে ১-১ গোলে ড্র করা আর্জেন্টিনা ৩৫ পয়েন্ট নিয়ে আছে সবার উপরে। ম্যাচে দলের পারফরম্যান্সে শতভাগ খুশি না হলেও ব্রাজিল তারকা ভিনিসিয়াস জুনিয়র আপাতত এই জয়ের উৎসবে মেতে থাকতে চান। তিনি বলেন, বিশ্বকাপে কোয়ালিফাই করতে জয় প্রয়োজন ছিল আমাদের। এখন কাজ করার জন্য কোচ সময় পাবেন। অবশ্যই পারফরম্যান্স আমাদের সেরা পারফরম্যান্সগুলোর একটি ছিল না। কিন্তু গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে সবসময়ই জেতা।

এখন সময় কোয়ালিফাই করার উপলক্ষ উদ্যাপন করার। প্যারাগুয়েকে হারিয়ে ব্রাজিলের কোচ হিসেবে প্রথম জয়ের স্বাদ পেয়েছে কার্লো আনচেলত্তি। এই জয়ে দল বিশ্বকাপ বাছাইয়ের বৈতরণী পেরিয়েছে বলে আনন্দের মাত্রা আরও বেশি তার। তবে জয়ের আনন্দে ভেসে যেতে চান না আনচেলত্তি। বলেছেন বিশ্বকাপের মহারণে নামার আগে কিছু কাজ বাকি আছে এখনও।
অন্যদিকে ঘরের মাঠে বুয়েন্স আয়ার্সের এস্তাদিও মনুমেন্তালে কলম্বিয়ার সঙ্গে ১-১ গোলে ড্র করেছে আর্জেন্টিনা। ম্যাচে একপর্যায়ে আর্জেন্টিনার দল পরিণত হয়েছে দশ জনে। মাঠ ছাড়েন সবচেয়ে বড় ভরসা লিওনেল মেসি। চোখ রাঙাচ্ছিল হারের। সে সময় ত্রাতা হয়ে আসেন থিয়াগো আলমাদা। এই তরুণের গোলে হার এড়িয়েছে আর্জেন্টিনা। লুইস দিয়াসের গোলে এগিয়ে গিয়েছিল কলম্বিয়া। প্রথম দেখায় ২-১ গোলে জেতা দলটি জাগিয়েছিল আরেকটি জয়ের আশা।

এঞ্জো ফার্নান্দেজের লালকার্ডে সেটা উজ্জ্বল হয়েছিল আরও। শেষদিকে আলমাদার গোলে ড্র করতে পেরেছে স্কালোনির দল। কলম্বিয়া-আর্জেন্টিনার ম্যাচে উত্তপ্ত পরিস্থিতি তৈরি হয়। সেই রেশ ছিল ম্যাচ শেষেও। যখন দুই দলের ফুটবলাররা হাত মিলিয়ে মাঠ ছাড়বেন, তখনই ফের উভয়পক্ষের মাঝে বাগবিত-া দেখা যায়।

×