
ছবিঃ সংগৃহীত
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে কনটেন্ট নির্মাতাদের আয়ের অন্যতম বড় উৎস হলো ভিডিও ভিউ থেকে আসা বিজ্ঞাপন রাজস্ব। সম্প্রতি ফেসবুকের রিলস থেকে আয় কমে যাওয়ার অভিযোগ করছেন অনেক কনটেন্ট ক্রিয়েটর। তারা বলছেন, ফেসবুক কন্টেন্ট মনিটাইজেশন চালুর পর থেকেই রিলস ভিডিও থেকে আগের তুলনায় অনেক কম আয় হচ্ছে।
এই নিয়ে সম্প্রতি এক কনটেন্ট নির্মাতা নিজের ফেসবুক ও ইউটিউব চ্যানেলে একটি বিশ্লেষণধর্মী ভিডিও প্রকাশ করেন, যেখানে তিনি একই ভিডিও থেকে দুই প্ল্যাটফর্মে আয়ের পার্থক্য স্পষ্টভাবে তুলে ধরেন।
তিনি জানান, ফেসবুকে তার একটি ভাইরাল ভিডিও তে ১.৯ মিলিয়ন ভিউ পেয়েছে। অথচ এই বিপুল ভিউ থেকেও তার আয় হয়েছে মাত্র ১৯২ টাকা।
অন্যদিকে একই ভিডিও YouTube Shorts-এ ২.৬ মিলিয়ন ভিউ পেয়েছে এবং সেখান থেকে তার আয় হয়েছে ২৫.৬৭ ডলার, যা বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ৩,১০৬ টাকা।
এই হিসেবে দেখা যাচ্ছে, ফেসবুক প্রতি হাজার ভিউয়ে গড়ে দেয় মাত্র ০.১০ টাকা (বা তারও কম), যেখানে ইউটিউব প্রতি হাজার ভিউয়ে দিচ্ছে প্রায় ১.২০ টাকা।
তিনি বলেন,
"একই ভিডিও, একই ভিউ সংখ্যা অথচ ইনকামের পার্থক্য প্রায় ২০ গুণ। এটা দেখে যে কেউ চমকে যাবেন।"
তিনি আরও বলেন, অনেক কনটেন্ট নির্মাতা এখন ফেসবুক ছেড়ে ইউটিউবেই বেশি গুরুত্ব দিচ্ছেন। কারণ, আয় তো বটেই, ইউটিউবের অ্যালগরিদম, সাপোর্ট ও পেমেন্ট সিস্টেমও অনেক স্বচ্ছ।
তবে তিনি মনে করেন, ফেসবুক পুরোপুরি ছেড়ে না দিয়ে, বরং দুই জায়গাতেই কনটেন্ট আপলোড করা উচিত। কারণ এক প্ল্যাটফর্মে আয় কম হলেও অন্য প্ল্যাটফর্ম তা পূরণ করতে পারে।
কেন এই পার্থক্য?
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ফেসবুকে বিজ্ঞাপন শেয়ারের অনুপাত ইউটিউবের চেয়ে তুলনামূলক কম। তাছাড়া ইউজার জিওগ্রাফি, ভিডিওর ধরন এবং অডিয়েন্স এনগেজমেন্টের ওপরেও ইনকামের পরিমাণ নির্ভর করে।
যারা ভিডিও কনটেন্ট তৈরি করেন বা করতে চান, তাদের জন্য এই প্রতিবেদন গুরুত্বপূর্ণ। শুধুমাত্র ফেসবুকে নির্ভর না করে ইউটিউব শর্টসেও মনোযোগ দেওয়া এখন সময়ের দাবি। কারণ, একই পরিশ্রমে যদি ২০ গুণ বেশি আয় করা যায়, তাহলে কৌশল বদলানোই যুক্তিযুক্ত।
ইমরান