
ছবি : সংগৃহীত
সকালে ঘুম থেকে উঠে মাথা ভার? অফিসে গিয়ে ঝিমুনি? আর কাজের ফাঁকে ফাঁকে মনে হয় বিছানায় একটু গড়াগড়ি দিতে পারলেই বাঁচি! যদি এমনটাই হয়, তাহলে আপনি একা নন। আজকাল অনেকেই দিনের অধিকাংশ সময় ক্লান্তি আর অমনযোগের শিকার হচ্ছেন। তবে আশার কথা হলো, মাত্র ৫টি সহজ অভ্যাস পরিবর্তন করলেই এই পরিস্থিতির আমূল পরিবর্তন সম্ভব।
🔷 ১. সকালে ঘুম থেকে উঠেই ফোন নয়, পানি খান
অনেকেই সকালে উঠে সোজা ফোনে স্ক্রল করতে শুরু করেন। এতে চোখ ও মস্তিষ্কের ওপর চাপ পড়ে। বদলে এক গ্লাস কুসুম গরম পানি খেয়ে ৫ মিনিট নিরবভাবে বসে থাকুন। এতে শরীর হাইড্রেটেড থাকবে ও স্নায়ুতন্ত্র সক্রিয় হবে।
🔷 ২. সকালটা রাখুন আলো ও হালকা ব্যায়ামে ভরপুর
দিনের প্রথম ৩০ মিনিট আপনি যেভাবে কাটাবেন, সারাদিনে তার প্রভাব পড়ে। জানালা খুলে প্রাকৃতিক আলোতে হাঁটুন, হালকা স্ট্রেচিং করুন—এতে এন্ডোরফিন হরমোন নিঃসরণ হয়, যা মন ভালো রাখতে সাহায্য করে।
🔷 ৩. ভারী খাবার নয়, প্রোটিন ও ফাইবারে ভরপুর সকালের নাস্তা
সকালে বিরিয়ানি কিংবা পরোটা খেলে ক্লান্তি বাড়ে। বদলে ওটস, ডিম, ফলমূল, বাদাম খেলে শরীর দীর্ঘ সময় ধরে এনার্জি পায় এবং ঝিমুনি আসে না।
🔷 ৪. এক নাগাড়ে কাজ নয়, ২৫ মিনিট পর পর ছোট বিরতি নিন
‘পমোডোরো টেকনিক’ অনুসারে প্রতি ২৫ মিনিট কাজ করে ৫ মিনিট বিরতি নিন। এতে মনোযোগ বাড়ে, ক্লান্তি কমে এবং মানসিক সতেজতা বজায় থাকে।
🔷 ৫. রাত ১১টার মধ্যে ঘুমিয়ে পড়ার অভ্যাস করুন
রাত জেগে সোশ্যাল মিডিয়া স্ক্রল করলে সকালে উঠে ক্লান্ত থাকবেনই। প্রতিদিন নির্দিষ্ট সময়ে ঘুমালে দেহঘড়ি সঠিকভাবে কাজ করে। ঘুম ঠিক থাকলে মনও ঠিক থাকবে।
সারাদিন ক্লান্ত লাগার পেছনে বড় কোনো শারীরিক সমস্যা না থাকলে এই অভ্যাসগুলো মেনে চললেই জীবনে ইতিবাচক পরিবর্তন আসবে। একটু নিয়ম, একটু নিয়ন্ত্রণ—আর একটু সচেতনতাই পারে আপনাকে কর্মক্ষম ও প্রাণবন্ত করে তুলতে।
Mily