
ছবি: সংগৃহীত
হোয়াইট হাউজে ডোনাল্ড ট্রাম্পের ফেরার পর থেকেই ইউক্রেন যুদ্ধ থামাতে একাধিক উদ্যোগ নিতে দেখা গেছে যুক্তরাষ্ট্রকে। তবে নানা প্রচেষ্টা ব্যর্থ হওয়ার পর এবার রাশিয়ার সঙ্গে সরাসরি উত্তেজনায় জড়িয়েছে দেশটি।
রুশবিরোধী একের পর এক অবস্থান নিলেও পুতিন প্রশাসনের অনমনীয় মনোভাব বদলায়নি। এরই মধ্যে নতুন করে চরম উত্তেজনার সৃষ্টি করেছে মস্কোর ঘোষণা—১৯৮৭ সালে সোভিয়েত আমলে স্বাক্ষরিত ‘ইন্টারমিডিয়েট রেঞ্জ নিউক্লিয়ার ফোর্সেস ট্রিটি’ (INF) থেকে বেরিয়ে যাচ্ছে রাশিয়া। অর্থাৎ, স্বল্প ও মাঝারি পাল্লার পারমাণবিক ক্ষেপণাস্ত্র মোতায়েনে আর কোনো আন্তর্জাতিক বিধিনিষেধ মানবে না তারা।
মস্কোর দাবি, যুক্তরাষ্ট্র ও ন্যাটোর উসকানিমূলক তৎপরতার জবাবেই এই সিদ্ধান্ত।
প্রসঙ্গত, ৫০০ থেকে ৫,৫০০ কিলোমিটার পাল্লার ভূমি থেকে উৎক্ষেপণযোগ্য পারমাণবিক ক্ষেপণাস্ত্র নিষিদ্ধ করতে ১৯৮৭ সালে সোভিয়েত নেতা মিখাইল গরবাচেভ ও তৎকালীন মার্কিন প্রেসিডেন্ট রোনাল্ড রিগান INF চুক্তি স্বাক্ষর করেন। কিন্তু ২০১৯ সালে ট্রাম্প প্রশাসন রাশিয়ার বিরুদ্ধে চুক্তিভঙ্গের অভিযোগ তুলে চুক্তি থেকে সরে দাঁড়ায়।
বহু বছর পর এবার আনুষ্ঠানিকভাবে একই পথ ধরল মস্কো। রুশ কর্তৃপক্ষের ভাষ্য, ‘আমরা INF চুক্তির কোনো বিধিনিষেধ আর মানতে বাধ্য নই। নিজেদের সীমাবদ্ধ করার আর কোনো কারণ নেই। প্রয়োজন অনুযায়ী যথাযথ পদক্ষেপ নেওয়ার অধিকার এখন আমাদের আছে।’
এদিকে, ট্রাম্প প্রশাসনের বিরুদ্ধে রাশিয়াকে যুদ্ধের দিকে ঠেলে দেওয়ার অভিযোগ তুলেছেন দেশটির সাবেক প্রেসিডেন্ট দিমিত্রি মেদভেদেভ। পাশাপাশি রাশিয়ার পারমাণবিক সক্ষমতা নিয়েও উসকানিমূলক বক্তব্য দিয়েছেন তিনি। এর প্রতিক্রিয়ায় ডোনাল্ড ট্রাম্প মার্কিন নৌবাহিনীর দুটি পারমাণবিক সাবমেরিন কৌশলগত অবস্থানে মোতায়েনের নির্দেশ দিয়েছেন বলে জানা গেছে।
বিশ্লেষকদের মতে, রাশিয়া ও যুক্তরাষ্ট্র—এই দুই পরাশক্তির পাল্টাপাল্টি অবস্থান ও উত্তেজনাকর ভাষ্য পারমাণবিক সংঘাতের ঝুঁকি দিন দিন বাড়িয়ে তুলছে।
বিশ্বরাজনীতিতে নতুন করে উদ্বেগের ছায়া ফেলেছে এই ঘোষণাগুলো। এখন দেখার বিষয়, দুই দেশের মধ্যে এই সংঘাত কোথায় গিয়ে দাঁড়ায়।
সূত্র: https://www.youtube.com/watch?v=sO-fe4RtJQw
রাকিব