
ছবি: সংগৃহীত
কারাবন্দী অবস্থায় দুই বছর পার করলেন পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও পিটিআই প্রধান ইমরান খান। এই সময়সীমাকে কেন্দ্র করে মঙ্গলবার দেশজুড়ে উত্তাল হয়ে ওঠে পাকিস্তানের রাজপথ। হাজারো সমর্থকের অংশগ্রহণে জনসমুদ্রে রূপ নেয় ইমরান খানের মুক্তির দাবিতে আয়োজিত বিক্ষোভ।
পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই) নেতার কারাবন্দী দ্বিতীয় বর্ষপূর্তিতে খাইবার পাখতুনখাওয়া, লাহোর, করাচি ও মুজাফফরাবাদসহ বিভিন্ন অঞ্চলে ব্যাপক প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
প্রতিবাদ দমন করতে আগেভাগেই দেশের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ শহরে মোতায়েন করা হয় অতিরিক্ত নিরাপত্তা বাহিনী। করাচিতে শান্তিপূর্ণ মিছিলের পথরোধ করে পুলিশ, এতে সংঘর্ষ ছড়িয়ে পড়ে। কাঁদানে গ্যাস ছুড়লে বিক্ষোভকারীরাও ইট-পাটকেল ছুড়ে পাল্টা জবাব দেয়। মুহূর্তেই রণক্ষেত্রে পরিণত হয় রাজপথ।
একাধিক জেলায় ১৪৪ ধারা জারি করে জমায়েত নিষিদ্ধ করা হয়। পিটিআই-এর মুখপাত্র জুলফিকার বুখারীর দাবি, বিক্ষোভ ঠেকাতে দেশজুড়ে তাদের অন্তত ২৫০ জন সমর্থককে আটক করেছে সরকার।
তবে সরকারপন্থি দমনপীড়নের মুখেও আন্দোলন থেকে সরে না আসার ঘোষণা দিয়েছেন ইমরান খান। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্স-এ (আগে টুইটার) দেওয়া এক পোস্টে তিনি বলেন, ‘গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার না হওয়া পর্যন্ত শান্তিপূর্ণ আন্দোলন চলবে।’
ইমরানের কারাবন্দী অবস্থান নিয়ে দেশজুড়ে বিতর্কের মাঝেই পাঞ্জাব প্রদেশের আঞ্চলিক সরকারের মুখপাত্র উজমা বুখারী পিটিআইকে ‘সন্ত্রাসী সংগঠন’ বলে আখ্যা দেন। পিটিআই এ মন্তব্যের তীব্র প্রতিবাদ জানিয়ে তা সরাসরি প্রত্যাখ্যান করেছে।
২০২৩ সালের ৫ আগস্ট থেকে কারাবন্দী ইমরান খানের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রীয় উপহার আত্মসাৎ, নির্বাচনী নিয়ম লঙ্ঘন, সন্ত্রাসবাদ ও রাষ্ট্রবিরোধী কর্মকাণ্ডসহ শতাধিক মামলা চলছে। এরই মধ্যে কিছু মামলায় রায় ঘোষিত হয়েছে। তবে প্রতিটি অভিযোগ অস্বীকার করে নিজেকে নির্দোষ বলে দাবি করে আসছেন তিনি।
সাবেক প্রধানমন্ত্রীকে ঘিরে পাকিস্তানের রাজনীতিতে ফের শুরু হয়েছে উত্তেজনার নতুন ঢেউ। বিশ্লেষকদের মতে, জনগণের রাস্তায় নামা ও ইমরানের কারাবন্দী বার্তা—দুই মিলে দেশটির গণতান্ত্রিক ভবিষ্যৎ নতুন করে প্রশ্নের মুখে ফেলেছে।
সূত্র: https://www.youtube.com/watch?v=q-TXON4siLE
রাকিব